ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে হলে প্রযুক্তির উৎকর্ষের কোনো বিকল্প নেই। তাই আমরা চিন্তা করছি, ছাপা পাঠ্য বইয়ের বদলে শিক্ষার্থীদের হাতে ট্যাব তুলে দেব। এসব ট্যাবে পাঠ্য বই ডাউনলোড করে দেয়া হবে। তবে তা আগামী বছরেই সম্ভব হবে না, বললেন শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ।
সম্প্রতি বাংলা একাডেমি ও উত্তরা ইউনিভার্সিটি আয়োজিত বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
যুগান্তকারী পরিবর্তন হতে পারে বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থায়। প্রযুক্তির উৎকর্ষে ছাপানো পাঠ্য বইয়ের বদলে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করতে পারে ট্যাবে। পাঠ্য বইয়ের বদলে শিক্ষার্থীদের হাতে ট্যাব তুলে দেয়ার চিন্তাভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ।
রাজধানীর উত্তরা ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে সাত দিনব্যাপী এই বইমেলা শুরু হয়েছে। মেলায় বই কিনলে ৩০ থেকে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত কমিশন দেওয়া হচ্ছে। সেই অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। প্রথমে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুমের কথা বলায় অনেকেই পাগলের প্রলাপ বলে আখ্যায়িত করেছিলেন। কিন্তু এখন দেশে সাড়ে ২৩ হাজার প্রতিষ্ঠানে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম রয়েছে।’
পড়াশোনায় ডিজিটালাইজেশনের ভাবনা থাকলেও বই পড়ার যে বিকল্প নেই, সেটাও বলেছেন নূরুল ইসলাম নাহিদ। ‘যাই হোক বই পড়ার কোনো বিকল্প নেই। প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হলেও তা আগে জানতে হবে। এ জন্য পড়া দরকার। আর বই পড়া মানে এটা নয় যে ফেব্রুয়ারিতে কয়েকটি বই কিনলাম। সারা বছরই বই পড়তে হবে।’
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান, ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম আজিজুর রহমান, উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. ইয়াসমীন আরা লেখা প্রমুখ।