ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আর সি মজুমদার আর্টস অডিটোরিয়ামে ২০ মার্চ নাগরিক কমিটির পক্ষ থেকে মুক্তমনা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রগতিশীল লেখক ড. অভিজিৎ রায় স্মরণে এক নাগরিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের এমিরিটাস অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সাবেক ডেপুটি স্পিকার কর্ণেল শওকত আলী, অভিজিৎ রায়ের পিতা অধ্যাপক অজয় রায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধি এবং নাগরিক সমাজের সম্মানিত ব্যক্তিবর্গ।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক ‘মুক্তমনা’ ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রগতিশীল বিজ্ঞান লেখক ড. অভিজিৎ রায়-এর হত্যাকারীদের অবিলম্বে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি দাবি জানান। ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদ বিরোধী প্রতিরোধ সংগ্রাম গড়ে তুলতে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করে এই আন্দোলন বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে উপাচার্য বলেন, উগ্র ধর্মীয় সন্ত্রাস পৃথিবীব্যাপী একই রূপ, তারা নানা নামে আমাদের দেশসহ সারা পৃথিবীতে আধুনিকতা, প্রগতিশীলতা ও সভ্যতা বিরোধী সংঘর্ষে লিপ্ত। তারা আধুনিক প্রযুক্তির অপব্যবহার করে তার মাধ্যমে সন্ত্রাসকে বিশ্বব্যাপী সম্প্রসারিত করছে। এর বিরুদ্ধে আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ অব্যাহত রাখতে হবে। কেননা, এটি আমাদের অস্তিত্বের সংগ্রাম। উপাচার্য বলেন, অভিজিৎ-এর পিতা যখন বলেন, অভিজিৎকে হত্যা করা হলেও অভিজিৎ-এর চিন্তা ও দর্শনকে হত্যা করা যাবে না, এই সাহসী প্রত্যয় আমাদেরও সাহসী ও উদীপ্ত করে। অভিজিৎ-এর পিতা ও পরিবারের প্রতি উপাচার্য সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
সমাবেশে শিক্ষাবিদ, অভিজিতের বন্ধু-বান্ধব, শুভানুধ্যায়ী, প্রকাশক, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সভার শুরুতে নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে প্রতিবাদপত্র পাঠ করেন জিয়াউদ্দিন তারেক আলী, অভিজিতের জীবনী পাঠ করে শোনান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস।