দেশের সেরা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ‘ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি’ একটি অনন্য নাম। মানসম্মত উচ্চশিক্ষা এবং শিক্ষার সুনিবিড় পরিবেশ গড়ে তুলে ইতোমধ্যে এ বিশ্ববিদ্যালয়টি ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছে। দক্ষ ও যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষক, যুগোপযোগী কারিকুলাম, গবেষণার যথাযোগ্য পরিবেশ, সমৃদ্ধ লাইব্রেরি, ব্যতিক্রমী নানা কার্যক্রম এখানকার শিক্ষার্থীদের মধ্যে এক ধরনের স্বাতন্ত্র্য তথা ভিন্নতা এনে দিয়েছে। তাই শিক্ষার্থীদের প্রথম পছন্দের তালিকায় রয়েছে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম। আসুন, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে জেনে নিই।
ইতিহাস
উচ্চশিক্ষার প্রধান কাজ জ্ঞান সৃষ্টি, বিতরণ ও যুগোপযোগী শিক্ষার প্রসার ঘটানো। সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে ২০০১ সালে যাত্রা শুরু করে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়টি উচ্চতর শিক্ষার প্রসারে বিভিন্নভাবে কাজ করছে। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রমে যুগোপযোগী জ্ঞানবিনিময়ের মাধ্যমে আধুনিক জ্ঞানে সমৃদ্ধ হচ্ছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সবাই। বস্তুত জ্ঞানের নতুন দীপশিখা জ্বালিয়ে নিয়ে এগিয়ে চলছে এ বিশ্ববিদ্যালয়।
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য
জাতীয় সকল কাজে সহযোগিতা দানের মানসিকতায় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ করেই ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের গড়ে তোলা হয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়কে জ্ঞান অর্জনের শ্রেষ্ঠ ক্ষেত্র হিসেবে গড়ে তোলার প্রক্রিয়াটি সর্বদাই অব্যাহত রয়েছে। যাতে এখানকার শিক্ষার্থীরা দেশের উন্নয়নে নেতৃত্ব দিতে পারেন এবং সৃষ্টি করতে পারেন জ্ঞানের নতুন নতুন ক্ষেত্র।
কর্মক্ষেত্রে অভাবনীয় উন্নতির লক্ষ্যে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জ্ঞানের সীমানা প্রসারিত করা হয়। এতে করে শিক্ষার্থীরা নিজেদের মেধা ও যোগ্যতাকে সঠিকভাবে মেলে ধরতে পারেন। সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য নিজের জগৎকে সাজিয়ে নিতে পারেন নিজের মতো করে। দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে এখানকার শিক্ষার্থীরা যাতে দেশের উন্নয়নের পথসন্ধানে ব্যস্ত থাকেন, সেটাই এ বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল লক্ষ্য। শিক্ষার্থীরা যাতে গবেষণার মাধ্যমে নতুন জ্ঞান সৃষ্টিতে নিজেকে যোগ্য করে গড়ে তুলতে পারে, সেজন্য এ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচেষ্টা চলমান। এ ছাড়াও গোটা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের জ্ঞানবিজ্ঞান আহরণ করার জন্য ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় একাধিক গবেষণা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে।
পড়ার বিষয়
ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে অনেকগুলো স্কুল ও ইনস্টিটিউটের আওতায় বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনার ব্যবস্থা রয়েছে। এগুলো হলো- ব্র্যাক বিজনেস স্কুল, ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্নেন্স এ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট, স্কুল অব পাবলিক হেলথ, ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব ল্যাঙ্গুয়েজ, ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব এডুকেশনাল ডেভেলপমেন্ট, স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিং এ্যান্ড কম্পিউটার সায়েন্স, স্কুল অব ল’।
আবাসস্থল
শিক্ষার্থীদের আবাসিক সুবিধা দেয়ার জন্য, বিশেষ করে দূর থেকে পড়তে আসা ছাত্রীদের জন্য এই বিশ্ববিদ্যালয়ের রয়েছে সুন্দর পরিবেশের হোস্টেল। এর দেখাশোনার দায়িত্বে রয়েছে ব্যবস্থাপনা সম্পর্ক অফিস (আরএমও)। এই অফিসের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সার্বিক সহায়তা প্রদান করা হয়। আরএমও’র মাধ্যমে ছাত্রীদের আবাসন সংক্রান্ত যে কোনো সমস্যার সমাধান দেয়া হয়।
আবাসিক ক্যাম্পাস
সাভারে রয়েছে এর আবাসিক ক্যাম্পাস। এখানে শিক্ষার্থীরা এক সিমেস্টার পড়াশোনা করে। এখানে ইংরেজি, বাংলাদেশ স্টাডিজ, নৈতিকতা ও সংস্কৃতি বিষয়ে বিশেষ জোর দেয়া হয়।
শিক্ষার্থী বিষয়ক অফিস
শিক্ষার সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি করে শিক্ষার্থীরা যাতে নিজেদের দক্ষতা আরও বাড়াতে পারেন, সেজন্য এই অফিস তাদের যে কোনো এ্যাকাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনার কাজ করে থাকে। এ অফিস শিক্ষার্থী ও তাদের পিতামাতা, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদ এবং স্টাফদের মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে কাজ করে। শুধু তাই নয়, শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বাড়িয়ে তাদের শারীরিক, নৈতিক, সামাজিক বিকাশ ও কর্মজীবনের উপযোগী করে গড়ে তোলার কাজটিও এই অফিস করে থাকে।