বিশেষ খবর



Upcoming Event

পাবলিক পরীক্ষার সময় আগামীতে আরও কমিয়ে আনা হবে -শিক্ষামন্ত্রী

ক্যাম্পাস ডেস্ক শিক্ষা সংবাদ
img

প্রশ্ন ফাঁস বা অন্য কোনো জটিলতা ছাড়াই শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সারাদেশে শুরু হয়েছে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। দুই হাজার ৪শ’ ৫২টি কেন্দ্রে একযোগে শুরু হওয়া এ পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে ১২ লাখেরও বেশি শিক্ষার্থী। তবে প্রথম দিন ফরম পূরণ করেও পরীক্ষা কেন্দ্রে অনুপস্থিত ছিল ১২ হাজার ৮৮৭ জন। বহিষ্কার হয়েছে ৪৩ জন। এদিকে পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করলেও পরীক্ষার্থীদের অসুবিধার কথা বিবেচনায় নিয়ে দীর্ঘদিনের রেওয়াজ ভেঙ্গে হলের ভেতরে যাওয়া বন্ধ রাখলেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। পরীক্ষা কেন্দ্রের ভবনের বারান্দা থেকে দরজা-জানালা দিয়ে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা দেয়ার দৃশ্য দেখেছেন তিনি। বারান্দায় ডেকে কথা বলেছেন পরিদর্শকদের সঙ্গে। প্রথম দিনের পরীক্ষা শেষে শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, পাবলিক পরীক্ষার সময়সূচি আগামীতে আরও কমিয়ে আনা হবে। দীর্ঘ সময় ধরে টানা পরীক্ষা দেয়া নিয়ে শিক্ষার্থীদের দুশ্চিন্তার কথা বিবেচনা করে পরীক্ষার সময় আরও কমিয়ে আনার জন্য কাজ করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে অভিভাবকদের সহযোগিতাও কামনা করেন শিক্ষামন্ত্রী।
এসএসসি’র মতো এইচএসসিতেও এবার থেকে প্রথমে বহুনির্বাচনী ও পরে সৃজনশীল/রচনামূলক (তত্ত্বীয়) অংশের পরীক্ষা হচ্ছে। এই দুই অংশের পরীক্ষার মধ্যে ১০ মিনিট সময় রাখা হয়েছে। সকাল ১০টায় বহুনির্বাচনী পরীক্ষা শুরু হয়। আর ১০টা ৫০ মিনিটে শুরু হয় সৃজনশীল অংশের পরীক্ষা। তবে ট্র্যাডিশনাল বিষয়ের ক্ষেত্রে রচনামূলক পরীক্ষা ১০টায় শুরু। এবার এইচএসসিতে আটটি সাধারণ বোর্ডের অধীনে ১০ লাখ ২০ হাজার ১০৯ জন, মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে আলিমে ৯১ হাজার ৫৯১ জন, কারিগরি বোর্ডের অধীনে এইচএসসি বিএম-এ এক লাখ দুই হাজার ১৩২ জন এবং ডিআইবিএসে চার হাজার ৭৯৬ জন পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। এবার পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ছয় লাখ ৫৪ হাজার ১১৪ জন ছাত্র এবং পাঁচ লাখ ৬৪ হাজার ৫১৪ জন ছাত্রী। ঢাকার বাইরে এবার বিদেশের সাতটি কেন্দ্রে ২৬২ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। এর মধ্যে ১২৪ জন ছাত্র এবং ১৩৮ জন ছাত্রী। এ বছর ১৯টি বিষয়ের ৩৬টি পত্রের পরীক্ষা সৃজনশীল পদ্ধতিতে হচ্ছে। এইচএসসিতে ২০১২ সালে বাংলা প্রথমপত্রের পরীক্ষা সৃজনশীল প্রশ্নে হয়। গত বছর ১৩টি বিষয়ের ২৫টি পত্রের পরীক্ষা সৃজনশীল পদ্ধতিতে হয়েছিল।
এবার এইচএসসি ও সমমানের লিখিত পরীক্ষা আগামী ৯ জুন শেষ হবে। আর ব্যবহারিক পরীক্ষা ১১ জুন শুরু হয়ে শেষ হবে ২০ জুন। দীর্ঘ সময় পরীক্ষা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, এটা আমাদেরও প্রশ্ন। আমরা পরীক্ষা দীর্ঘায়িত করতে চাই না। আমার মত আমরা এসব পরীক্ষা খুব বড়জোর ৫-৬ দিনের মধ্যে নিতে চাই, সে পথেই আমরা এগোব।
পরীক্ষা উপলক্ষে সচিবালয়ে একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খুলেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। যে কোনো প্রয়োজনে এ নিয়ন্ত্রণ কক্ষের (৯৫৪০৩০২, ৯৫৭৬৭৮০, ০১৭৭৭-৭০৭৭০৫ এবং ০১৭৭৭-৭০৭৭০৬) সঙ্গে যোগাযোগ করা যাবে।


বিশ্ববিদ্যালয় কম্পাস পত্রিকার সংখ্যা সমূহ

আরো সংবাদ

শিশু ক্যাম্পাস

বিশেষ সংখ্যা

img img img