বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে সংশ্লিষ্ট সকলকে দলমত নির্বিশেষে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডাঃ কামরুল হাসান খান। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হলো জাতীয় সম্পদ। একজন রোগীও যাতে অবহেলায় মারা না যায় তা শতভাগ নিশ্চিত করতে হবে।
১২ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) শহীদ ডাঃ মিলন হলে শিক্ষকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ সব কথা বলেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডাঃ মোঃ রুহুল আমিন মিয়া, উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডাঃ মোঃ শহীদুল্লাহ সিকদার, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডাঃ মোঃ জুলফিকার রহমান খান, সার্জারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডাঃ কনক কান্তি বড়ুয়া, প্রিভেনটিভ এ্যান্ড সোস্যাল মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডাঃ মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডাঃ মোঃ আসাদুল ইসলাম প্রমুখসহ বিভাগীয় চেয়ারম্যান ও শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।
অধ্যাপক ডাঃ কামরুল হাসান খান বলেন, শিক্ষা ও চিকিৎসা সেবায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়কে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করতে হবে। এক্ষেত্রে শিক্ষকদের দায়িত্ব সবচেয়ে বেশি। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা হলেন এ বিশ্ববিদ্যালয়ের হৃদপি- আর শিক্ষার্থীরা হলেন রক্তপ্রবাহ। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে জাতির প্রত্যাশা অনেক বেশি। এখানে ভর্তি হওয়া সকল রোগীর এমনভাবে দায়িত্ব নিতে হবে, যাতে রোগীর স্বজনরা হাসপাতালে রোগীকে রেখে নিশ্চিন্ত থাকতে পারেন। এটা নিশ্চিত করতে পারলে হাসপাতালে আসা অতিরিক্ত ভিজিটরদের চাপ কমে আসবে। দায়িত্বপালনরত সংশ্লিষ্ট সকল চিকিৎসককে সতকর্তার সঙ্গে পুরোপুরি দায়িত্ব পালন করতে হবে।
উপাচার্য তার বক্তব্যে আইন ও প্রবিধি মেনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করারও আহ্বান জানান। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতিকে আরও গতিশীল, উন্নত ও কার্যকর করা দরকার। বিভাগীয় চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা, শিক্ষা ও চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম আরও গতিশীল ও উন্নত করতে হবে। রোগীর প্রতি সংশ্লিষ্ট সকলকে আরও যত্নবান হওয়া, সর্ব-সাধারণের জন্য চিকিৎসা সেবা গ্রহণ সংক্রান্ত পর্যাপ্ত তথ্যপ্রাপ্তির সহজীকরণ ও পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। আর চিকিৎসকদের হাসপাতালে অধিক সময় দেয়ার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন উপাচার্য। এছাড়া উপাচার্য বিএসএমএমইউতে টিএসসি ও ইউনিভার্সিটি টিচার্স ক্লাব চালুর কথাও উল্লেখ করেন তিনি।