সম্প্রতি জঙ্গিবাদ দমন ইস্যুতে রাস্তায় এসে দাঁড়িয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের লাখো শিক্ষক-শিক্ষার্থী। হাতে হাত রেখে জঙ্গিবাদ ও ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে নিজেদের অবস্থান ঘোষণা করে তারা; শপথ নেয় জঙ্গিবাদ প্রতিরোধের। দেশবাসীকেও প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানায় তারা।
জঙ্গিবাদ প্রতিরোধের এ ডাক দেয়া হয় উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে। গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় জঙ্গি হামলার এক মাস পূর্তির দিন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) আহ্বানে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে যুগপৎভাবে এ কর্মসূচি পালিত হয়। আশপাশের স্কুল-কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের কর্মীরাও এতে অংশ নেয়। রাজধানীর অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাদের প্রতিষ্ঠানের পাশের রাস্তায় দাঁড়িয়ে মানববন্ধন রচনা করে জঙ্গিবাদ ও ধর্মান্ধতার প্রতিবাদ জানায়।
দেশের সব সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং অন্যান্য স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার ৪০ থেকে ৫০ লাখ শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে বলে ইউজিসি’র পক্ষ থেকে জানানো হয়।
সারা দেশে ৯৪টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, ৩৭টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ভুক্ত ২২টি কলেজ এবং বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে কর্মসূচি পালিত হয়েছে। এ ছাড়া অন্যান্য স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসায় স্বতঃস্ফূর্তভাবে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
মানববন্ধনে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীরা বলেছে, যে দেশের তরুণ শিক্ষার্থীরা রক্ত দিয়ে মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষা করে, মুক্তিযুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করে, সে দেশে জঙ্গিবাদের ঠাঁই নেই। দেশের মান-মর্যাদা রক্ষার জন্য তরুণ শিক্ষার্থীরাই বুক চিতিয়ে দাঁড়াবে।
শিক্ষার্থীরা বলে, দেশ সংকটময় অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে যাঁরা রয়েছেন তাঁদের আরো বেশি সচেতন ও দায়িত্বশীল হতে হবে। সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে জঙ্গিবাদ নির্মূলের কাজে নামতে হবে।
বিভিন্ন সেøাগান লেখা ফেস্টুন-প্ল্যাকার্ড নিয়ে অংশগ্রহণকারীরা মানববন্ধন করে। কর্মসূচির কেন্দ্রীয় আয়োজন ছিল রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। এতে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হারুন অর রশিদ প্রমুখ অংশ নেন। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ভুক্ত বেগম বদরুননেসা সরকারি মহিলা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, শেখ বোরহানুদ্দিন পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কলেজ, তেজগাঁও কলেজ ও ঢাকা নার্সিং কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ বিপুলসংখ্যক মানুষ শহীদ মিনারের কর্মসূচিতে অংশ নেয়।
শহীদ মিনারে দেয়া বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে শিক্ষক-শিক্ষার্থী-অভিভাবক এবং সংশ্লিষ্ট সবাইকে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান। শিক্ষকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ছাত্র-ছাত্রীরা ক্লাসে আসছে কি না, তারা কী কী ধরনের কাজে সংশ্লিষ্ট তার খোঁজ রাখতে হবে। অভিভাবকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ছেলেমেয়েরা কী করছে, তাদের আচার-আচরণে পরিবর্তন আসছে কি না -এসব বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বাংলা ভাষা ও সাহিত্য এবং বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস পড়াতেই হবে জানিয়ে নাহিদ বলেন, আমরা সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এ দু’টি বিষয় বাধ্যতামূলক করেছি। যারা মানবে না তারা টিকে থাকবে না। কুশিক্ষা দেয়ার জন্য কাউকে অ্যালাও করব না; আইন না মানলে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দেব।
জঙ্গিবাদ মোকাবিলায় খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড এবং বইপড়া কার্যক্রম জোরদার করা হচ্ছে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এসবের মাধ্যমে সচেতনতা সৃষ্টি করে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। পর্যায়ক্রমে স্কুলভিত্তিক কমিটি গঠন করে জঙ্গিবিরোধী কার্যক্রম চালানো হবে বলেও জানান তিনি।
ইউজিসি চেয়ারম্যান প্রফেসর আবদুল মান্নান বলেন, শিক্ষার্থীদের জঙ্গিবাদের কুফল ও পরিণতির কথা জানাতে ও বোঝাতে হবে। আমাদের সন্তানদের বোঝাতে হবে যারা জঙ্গি হিসেবে নিহত হয়েছে তাদের লাশ কেন তাদের পরিবার গ্রহণ করছে না।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর হারুনুর রশীদ বলেন, বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের কোনো স্থান নেই। তিনি জানান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ভুক্ত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
অন্যদিকে, জঙ্গি ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে দেশের প্রত্যেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি করে মনিটরিং সেল গঠন করার নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)।
মনিটরিং সেল গঠন এবং সেলের কার্যক্রম ইউজিসি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানোরও নির্দেশ দেয়া হয়।
ইউজিসি’র অতিরিক্ত পরিচালক (জনসংযোগ) মোঃ ওমর ফারুখ বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে জঙ্গি ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে সচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণের লক্ষ্যে এই মনিটরিং সেল গঠন করার নির্দেশ দেয়া হয়। সব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে সেল গঠন সংক্রান্ত অফিস আদেশ (সদস্যদের নাম ও পদবি) এর কপি ইউজিসিতে পাঠাতে বলা হয়েছে।
সেলের গৃহীত কার্যক্রম সংক্রান্ত মাসিক প্রতিবেদন ইউজিসি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠাতেও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলেও জানান ইউজিসির অতিরিক্ত পরিচালক (জনসংযোগ) মোঃ ওমর ফারুখ।
ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিলেন, ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩৩ জন জঙ্গি আছে। এর মধ্যে সরকারি চারটিতে ১৮ জন এবং বেসরকারি ৫টিতে ১৫ জন ছাত্র জড়িত।
সাম্প্রতিক জঙ্গি হামলায় বেসরকারি নর্থসাউথ ইউনিভার্সিটির শিক্ষক ও ছাত্রের নাম আসায় বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করেছে ইউজিসি।
গুলশান হামলায় নর্থসাউথ ইউনিভার্সিটির প্রাক্তন শিক্ষক হাসনাত রেজাউল করিমকে আদালতে হাজির করে রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে জঙ্গি সংশ্লিষ্টতা তদারকির জন্য তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করে দেয় ইউজিসি।
এই কমিটি অভিযুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আকস্মিক পরিদর্শন করবে বলেও জানানো হয়।
ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. মোঃ আখতার হোসেনের নেতৃত্বে কমিটিতে আছেন কমিশনের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগের উপ-পরিচালক জেসমিন পারভীন ও উপ-সচিব মোঃ শাহীন সিরাজ। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগের সংশ্লিষ্ট ডিলিং অফিসার কমিটির সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববন্ধন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। ‘সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলুন’ –এ স্লোগানে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। নীলক্ষেতের গণতন্ত্র ও মুক্তি তোরণ থেকে স্মৃতি চিরন্তন হয়ে রাজু ভাস্কর্য, চারুকলা, কার্জন হল এলাকা পর্যন্ত মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিজ নিজ ব্যানার নিয়ে মানববন্ধনে যোগ দেয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালের সঞ্চালনায় কর্মসূচিতে উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. নাসরীন আহমাদ, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মোঃ আখতারুজ্জামান, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বক্তব্য দেন। সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্য, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগের চেয়ারম্যান, ইনস্টিটিউটের পরিচালক, হলের প্রভোস্ট, প্রক্টর ও অফিসপ্রধানরা কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন।
উপাচার্য আরেফিন সিদ্দিক বলেন, আগস্ট মাস শোকের মাস, এ মাসে জঙ্গিবাদকে নিন্দা জানানোর ভাষা নেই। হত্যাকান্ডে জড়িতরা, তাদের আশ্রয়দাতা ও অর্থদাতারা অমানুষ। এ অশুভ শক্তিকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ করতে হবে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন বেগম ফজিলাতুননেসা মুজিব হলের গেট থেকে শুরু হয়ে বাহাদুর শাহ্ পার্ক, রায়সাহেব বাজার পর্যন্ত জঙ্গিবাদবিরোধী মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
কর্মসূচিতে উপাচার্য মীজানুর রহমান বলেন, সাংস্কৃতিক জাগরণই জঙ্গিবাদকে রুখতে পারে। পুরান ঢাকাকে কেন্দ্র করে সাংস্কৃতিক বলয় তৈরি করতে হবে। বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ অসাম্প্রদায়িক। বাংলাদেশে কখনোই জঙ্গিবাদ প্রতিষ্ঠিত হবে না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী; সাংবাদিক সমিতি, কর্মচারী সমিতি, শিক্ষক সমিতি, নীল দল, কর্মকর্তা সমিতি, ছাত্রলীগ, প্রগতিশীল বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন, বুলবুল একাডেমি অব ফাইন আর্টস (বাফা), বঙ্গবন্ধু সাহিত্য সাংস্কৃতিক গবেষণা পরিষদের সদস্য; পোগোজ ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ, রোকনপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ঢাকা সেন্ট্রাল গার্লস হাই স্কুল, হিড ইন্টারন্যাশনালসহ পুরান ঢাকার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা এতে অংশগ্রহণ করে।
রাবিতে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমাবেশ
বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের অন্যতম অংশ এর শিক্ষার্থীরা। তাদের অর্জন ও কর্মকান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য বয়ে এনেছে গৌরব। কিন্তু আজ বিপথগামী, ধর্মের অপব্যাখ্যায় বিভ্রান্ত কতিপয় শিক্ষার্থীর জন্য গোটা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। যে শিক্ষার্থীরা একদিন দেশ ও জাতির মর্যাদা রক্ষায় সোচ্চার হয়েছে তাদেরই কিছুসংখ্যকের অপকর্মকান্ডে জাতীয় নিরাপত্তা হুমকির সম্মুখীন। এই অবস্থা থেকে উত্তরণে আমাদের সবাইকে হতে হবে সচেতন, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে হতে হবে সোচ্চার। আমাদের ভবিষ্যতের স্বার্থেই এই সব বিপথগামী সন্ত্রাসীদের খুঁজে বের করতে হবে। সে লক্ষ্যে আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যেতে হবে। দেশব্যাপী জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তাগণ একথা বলেন।
সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় সিনেট ভবনের সামনের রাস্তায় এই মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর মুহম্মদ মিজানউদ্দিন, উপ-উপাচার্য প্রফেসর চৌধুরী সারওয়ার জাহান, কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর সায়েন উদ্দিন আহমেদ, রেজিস্ট্রার প্রফেসর মুহাম্মদ এন্তাজুল হক উপস্থিত ছিলেন।
ইবিতে জঙ্গি বিরোধী পথনাটক
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) জঙ্গি বিরোধী সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে পথনাটক ‘মৃতের জবানবন্দি’ প্রদর্শিত হয়েছে।
সম্প্রতি দ্বিতীয়বার ক্যাম্পাসের ডায়না চত্বরে এ নাটক প্রদর্শিত হয়। এ সময় ডায়না চত্বরে নাটকটি উপভোগ করতে শিক্ষার্থীদের ভিড় লক্ষ্য করা যায়।
নাট্যকার আদনান হোসেন চৌধুরীর পরিচালনায় ও আশ্বাস এম এ চৌধুরীর রচনায় নাটকটি প্রদর্শিত হয়।
নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অহিদুজ্জামান শাওন, মিনহাজ কাদির, শাওন, আল্পনা, নোমান, আশিকুর রহমান বনি, আতিকুর রহমান অনি প্রমুখ অভিনয় করেন।
বাকৃবিতে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ বিরোধী র্যালি ও মানববন্ধন
সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ মোকাবেলায় জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) ১ আগস্ট জঙ্গিবাদ বিরোধী র্যালি ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) কর্তৃক ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে ওই কর্মসূচি পালিত হয়।
র্যালিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের হ্যালিপেড থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান সড়কে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে উপস্থিত বক্তারা বলেন, দেশের উন্নয়নের ধারাকে ব্যাহত করতে এবং রাজনৈতিকভাবে অস্থিতিশীল করতে পরিকল্পিতভাবে একদল লোক এধরনের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালনা করছে। জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হলে পরিবার থেকেই সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি ধর্মীয়, সামাজিক, নৈতিক ও মূল্যবোধের শিক্ষা দিতে হবে।
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববন্ধন
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে ক্যাম্পাসে মানববন্ধন ও শোভাযাত্রা হয়েছে। কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মোঃ গোলাম শাহি আলম, রেজিস্ট্রার বদরুল ইসলাম শোয়েব, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক ড. মোঃ মতিয়ার রহমান হাওলাদার প্রমুখ।
ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়ে জঙ্গিবাদ বিরোধী মানববন্ধন
চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে জঙ্গিবাদ বিরোধী মানব বন্ধন ও র্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও জাকির হোসেন রোডে অনুষ্ঠিত দীর্ঘ মানববন্ধনে নেতৃত্ব দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ। এতে অংশগ্রহণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বস্তরের শিক্ষক, কর্মকর্তা, ছাত্রছাত্রী ও কর্মচারীবৃন্দ।
মানব বন্ধন চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ তাঁর বক্তব্যে বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সবাই ঐক্যবদ্ধ হলে দেশ থেকে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস নির্মূল করা সম্ভব হবে। সকলকে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে উদ্বুদ্ধ হতে হবে। বাংলাদেশ সম্প্রীতির দেশ। এদেশে জঙ্গিবাদের কোনো স্থান হবে না। মানববন্ধন ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের মাধ্যমে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জনমত তৈরি করতে হবে। সাধারণ মানুষ সচেতন থাকলে জঙ্গিবাদী মনোভাব বিলুপ্ত হবে।
শাবিপ্রবিতে মানববন্ধন ও শোভাযাত্রা
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার ভবনের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। পরে কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে হয়েছে আলোচনা সভা। মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. আমিনুল হক ভূঁইয়া, ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক ড. রাশেদ তালুকদার, অধ্যাপক ড. কবির হোসেন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে জঙ্গিবাদ বিরোধী মানববন্ধন
দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মতো জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়েও প্রশাসনিক ভবনের সামনে সম্প্রতি জঙ্গিবাদ বিরোধী মানবন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহীত উল আলম এই মানববন্ধনে নেতৃত্ব প্রদান করে বক্তব্য রাখেন।
উপাচার্য তাঁর বক্তব্যে বলেন, এ পর্যন্ত যারা এধরনের জঙ্গি হামলা চালিয়েছে তারা বাংলাদেশের সংস্কৃতি থেকে অনেক দূরে থেকেছে। তারা কেউ মাদ্রাসায় আবার কেউ ইংরেজি শিক্ষায় শিক্ষা গ্রহণ করেছে। মাতৃভাষার মাধ্যমে তাদের জ্ঞান চর্চা হয়নি। ফলে তারা বাংলাদেশের সংস্কৃতিকে পুরোপুরি লালন করতে পারেনি। তাই তারা নিজের মাকে চিনতে পারেনি, দেশপ্রেম তাদের মধ্যে জাগ্রত হয়নি। এজন্য মাতৃভাষার মাধ্যমে জ্ঞান চর্চা করতে হবে।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকমণ্ডলী, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং শিক্ষার্থীবৃন্দ।
খুবিতে জঙ্গিবাদ বিরোধী মানববন্ধন, র্যালি ও আলোচনা সভা
ঢাকার হলি আর্টজান রেস্টুরেন্ট, কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া ঈদগাহ্সহ সাম্প্রতিক দেশে সংগঠিত জঙ্গি হামলা ও হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ১ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) আহবানে সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে একযোগে জঙ্গিবিরোধী কর্মসূচি পালনের অংশ হিসেবে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের হাদী চত্বরে র্যালি, মানববন্ধন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান। তিনি বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মরণকালের এই বৃহত্তম র্যালি, মানববন্ধন ও সমাবেশে সকল শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীর অংশগ্রহণই প্রমাণ করে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে তথা বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের স্থান নেই।
নোবিপ্রবিতে জঙ্গিবাদ বিরোধী মানববন্ধন, র্যালি ও সভা
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) জঙ্গি ও মৌলবাদ বিরোধী মানববন্ধন, র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে সমবেত জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের উদ্ধোধন করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. এম অহিদুজ্জামান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় চার হাজার শিক্ষার্থীসহ সকল শিক্ষক-কমকর্তা-কর্মচারী জঙ্গিবাদ বিরোধী নানা স্লোগান সম্বলিত ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে এ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে।
বক্তব্যের শুরুতে উপাচার্য প্রফেসর ড. এম অহিদুজ্জামান বলেন, ‘জাগো তারুণ্য জাগো দেশ, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস হবে শেষ’ এ মূলনীতিকে এখন থেকে স্লোগান হিসেবে প্রতিটি তরুণের মননে ধারণ করতে হবে। তবেই এ ক্রান্তিকাল থেকে জাতি রক্ষা পাবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে এত বিশাল সংখ্যক শিক্ষার্থীর উপস্থিতিকে নজিরবিহীন উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, সবাই মিলে এক সুরে জাতীয় সঙ্গীত উচ্চারণ কেবল পরিবেশন নয়, মূলত এর মাধ্যমে ত্রিশ লাখ শহীদের রক্তে ভেজা আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের মানুষের প্রতি আমাদের অকৃত্রিম ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ করা। পাশাপাশি এর মাধ্যমে এদেশের রাজনীতি, সংস্কৃতি, অর্থনীতি তথা স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার প্রকাশ পায়।
সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে ঐক্যবদ্ধ চুয়েট
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) এর আয়োজনে কয়েক হাজার শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীর অংশগ্রহণে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ বিরোধী র্যালি, মানববন্ধন ও সমাবেশ সম্প্রতি চুয়েট ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয়। চুয়েট’র ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলমের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত এসব কর্মসূচি ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান ঘটনার ১ মাস পূর্তিতে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের নির্দেশনার আলোকে পালিত হয়।
‘দেশকে ভালোবাসুন, জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ করুন’ সেøাগানে র্যালির মাধ্যমে কর্মসূচি শুরু হয়। র্যালিটি চুয়েট ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। মানববন্ধনে ‘সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ রুখে দাঁড়াও বাংলাদেশ’, ‘অসাম্প্রদায়িক বাংলায়,সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের ঠাঁই নাই’, ‘সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের ঠিকানা চুয়েটে হবে না’ প্রভৃতি স্লোগান সম্বলিত ব্যানার-প্ল্যাকার্ড নিয়ে চুয়েট পরিবারের বিপুল সদস্য কর্মসূচিতে অংশ নেয়।
সমাবেশে চুয়েট’র ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, আমাদের হাজার বছরের ঐতিহ্য অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ। স্বাধীনভাবে মানুষ ধর্ম-কর্ম পালন করে আসছেন। এমন সুন্দর পরিবেশকে বিনষ্ট করার অপচেষ্টা চলছে।
চুয়েটের সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বাংলাদেশের মানুষ জঙ্গিবাদ সমর্থন করে না। চুয়েট পরিবারও এ ব্যাপারে ঐক্যবদ্ধ।
চুয়েটের জঙ্গিবাদ বিরোধী মনিটরিং সেলের সভাপতি ও ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মশিউল হকের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরো বিভিন্ন অনুষদের ডিনগণও বক্তব্য রাখেন।
কুয়েটে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ বিরোধী মানববন্ধন
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ বিরোধী মানববন্ধন, আলোচনা সভা ও গণস্বাক্ষর গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্প্রতি ক্যাম্পাসের দুর্বার বাংলা’র পাদদেশ সম্মুখে এ কর্মসূচি পালিত হয়। কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন। এসময় তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তিরাই জঙ্গিবাদের মদতদাতা। বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা যারা রুখতে চায় তাদের ইন্ধনেই জঙ্গিরা চলছে। কুয়েট ভিসি সকলকে সাবধান করে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী যদি জঙ্গিবাদের পক্ষে থাকে তাহলে তাদেরকে ছাড় দেয়া হবে না।
মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীগণ ও বিভিন্ন হল, বিভাগ, এসোসিয়েশন ও সংগঠনের ছাত্র-ছাত্রীরা অংশগ্রহণ করেন। মানববন্ধন ও আলোচনা শেষে অডিটরিয়াম সম্মুখে উপস্থিত সকলের অংশগ্রহণে গণস্বাক্ষর গ্রহণ কর্মসূচি পালিত হয়।
শেকৃবিতে জঙ্গি বিরোধী মানববন্ধন, র্যালি ও সমাবেশ
গুলশান ও শেলাকিয়াসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে চলমান জঙ্গি হামলার প্রতিবাদে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববনন্ধন, র্যালি ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়োজনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে অংশ নেন শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক ড. মোঃ সেকেন্দার আলীর নেতৃত্বে প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে একটি প্রতিবাদ র্যালি বের হয়।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শতাধিক শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
সমাবেশে বক্তারা গুলশান ও শোলাকিয়াসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে জঙ্গি হামলার তীব্র নিন্দা ও হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে সন্ত্রাসী কর্মকা- এড়াতে সকলকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তারা।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে জঙ্গিবিরোধী মানববন্ধন
‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি’ এই শ্লোগানকে প্রতিপাদ্য রেখে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে দেশের অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সংগতি রেখে ১ আগস্ট অনুষ্ঠিত হয়ে গেল জঙ্গিবাদ ও জঙ্গি তৎপরতার বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও সমাবেশ। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এস এম ইমামুল হক’র নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬টি অনুষদের অধীন ১৮ টি বিভাগের সকল শিক্ষার্থী, সম্মানিত শিক্ষকমন্ডলী, সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী এ কর্মসূচিতে অংশ নেয়। মানববন্ধন শেষে ক্যাম্পাসে জঙ্গিবাদ ও জঙ্গি তৎপরতার বিরুদ্ধে এক সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সমাবেশে উপাচার্য উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে বলেন, আজকের এই দীর্ঘ মানববন্ধন এটাই প্রমাণ করে বাঙালিরা জঙ্গিবাদ ও জঙ্গি তৎপরতার বিরুদ্ধে জেগে উঠেছে। ধর্মের নামে কোনো ধরনের সহিংসতা ও অপতৎপরতা বাঙালিরা মেনে নেবে না। উপাচার্য বলেন, বহুমাত্রিক শিক্ষাব্যবস্থার কারণে শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি থেকে অনেকটাই দূরে সরে গেছে। উপাচার্য মহোদয় আরও বলেন বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে চলছে এবং তাঁর দক্ষ ও যোগ্য নেতৃত্বের মাধ্যমে অচিরেই বাংলাদেশ থেকে জঙ্গিবাদের মূল উৎপাটন সম্ভব হবে।
পবিপ্রবিতে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে মানববন্ধন
‘হঠাৎ জঙ্গিবাদ বাঁচাও দেশ, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াও বাংলাদেশ’ এ স্লোগানকে সামনে রেখে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস বিরোধী এক মানববন্ধন এর আয়োজন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারী। মানববন্ধনে বক্তৃতা করেন প্রফেসর আ ক ম মোস্তফা জামান, প্রফেসর ড. মোঃ রবিউল হক, প্রফেসর ড. মোঃ হারুনর রশীদ, প্রফেসর ড. সুলতান মাহমুদ, প্রফেসর মোহাম্মদ আলী, সহকারী অধ্যাপক সন্তোষ কুমার বসু প্রমুখ।
হাবিপ্রবিতে জঙ্গিবাদ বিরোধী মানববন্ধন
সম্প্রতি ঘটে যাওয়া গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরা ও শোলাকিয়া হামলাসহ সব ধরনের জঙ্গি হামলার প্রতিবাদে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের কর্মসূচির অংশ হিসেবে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে জঙ্গিবাদ বিরোধী মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর মোঃ রুহুল আমিন এর নেতৃত্বে দিনাজপুর-ঢাকা মহাসড়কে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।
মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর মোঃ রুহুল আমিন, কৃষি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোঃ আনিস খান, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. বলরাম রায়, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা শাখার পরিচালক প্রফেসর ডাঃ এস এম হারুন-উর-রশীদ প্রমুখ।
মানববন্ধনে প্রফেসর মোঃ রুহুল আমিন বলেন, জঙ্গিরা দেশ, সমাজ ও মানবতার শত্রু। আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর একার পক্ষে সম্পূর্ণরূপে জঙ্গিবাদ নির্মূল করা সম্ভব নয়। এজন্য আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই অপশক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, শিক্ষার্থী, কর্মচারীসহ সকলকে এগিয়ে আসার আহবান জানান তিনি।
মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক, কর্মকর্তা, শিক্ষার্থী ও কর্মচারী অংশগ্রহণ করেন।
নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ বিরোধী মানববন্ধন
সারা দেশে একের পর এক জঙ্গি হামলার প্রতিবাদে জঙ্গিবাদ বিরোধী মানববন্ধন পালন করেছে নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ এর শিক্ষক-শিক্ষার্থী,কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।
নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ এর ক্যাম্পাসের সামনে জঙ্গিবাদ বিরোধী মানববন্ধন আয়োজন করে নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ ।
জঙ্গিবাদ,সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে আয়োজিত মানববন্ধনের নেতৃত্ব দেন নর্দান ইউনিভার্সিটি ট্রাস্ট্রের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আবু ইউসুফ মোঃ আব্দুল্লাহ ।
এছাড়া মানববন্ধনে আরো উপস্থিত ছিলেন দেশের প্রবীণ শিক্ষাবিদ, নর্দান ইউনির্ভাসিটির ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য প্রফেসর ড. আব্দুল হক, নর্দান বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ এর উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. আনোয়ারুল করীম , ট্রেজারার মোঃ আনোয়ার হোসাইন ও রেজিস্ট্রার লে. কর্ণেল (অবঃ) একতেদার আহমদ সিদ্দিকী ।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে ড. আবু ইউসুফ মোঃ আব্দুল্লাহ বলেন, জঙ্গিরা যে সন্ত্রাস ও অন্যায় যুদ্ধ চাপিয়ে দিচ্ছে তাতে কারও নিরপেক্ষ থাকার সুযোগ নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যাতে করে কোনো ধরনের উগ্রপন্থায় উৎসাহী হতে না পারে সেজন্য সবাইকে সজাগ থাকার আহবান জানান। তিনি আরো বলেন, তরুণ প্রজন্মের মধ্যে মানবিক মূল্যবোধ জাগ্রত করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ঐক্যবদ্ধভাবে জঙ্গিবাদ মোকাবেলা করতে হবে।
এশিয়ান ইউনিভার্সিটিতে জঙ্গিবাদ বিরোধী মানববন্ধন
এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ ১ আগস্ট সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ বিরোধী মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। এইউবি’র প্রতিষ্ঠাতা ও উপাচার্য প্রফেসর ড. আবুল হাসান মুহাম্মদ সাদেক এবং উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলী হোসেন খান এ মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন।
উপাচার্য তাঁর বক্তব্যে বলেন, এইউবি জঙ্গিবাদ কিংবা সন্ত্রাসবাদকে কখনো প্রশ্রয় দেয়নি, কখনো দেবে না। এইউবি শিক্ষার্থীদেরকে নৈতিক শিক্ষা দেয়। এই শিক্ষার্থীরা তাই অন্যায় কোনো কাজের সাথে সম্পৃক্ত হতে পারে না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজ এর চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ জাফার সাদেক, বোর্ড অব ট্রাস্টিজ ও সিন্ডিকেট সদস্য এস এম ইয়াছিন আলী, ট্রেজারার এড. আবুল কালাম আজাদ, রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. মুহাম্মদ সাইফুল ইসলামসহ ডিন মহোদয়গণ, বিভাগীয় প্রধানগণ, শিক্ষকমন্ডলী, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা এ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন।
ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটিতে জঙ্গিবাদ বিরোধী মানববন্ধনে ব্যাপক অংশগ্রহণ
ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে জঙ্গিবাদ বিরোধী এক বিশাল মানব বন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শত শত শিক্ষাথীর্, শিক্ষক ও কর্মকর্তাগণ অংশগ্রহণ করেন। এ মানব বন্ধনে শিক্ষার্থীরা জঙ্গিবাদ বিরোধী নানান শ্লোগান সম্বলিত বিভিন্ন ব্যানার ও ফেস্টুন প্রদর্শন করে।
ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারপার্সন ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এম শহিদুল হাসান, কোষাধ্যক্ষ এ জেড এম শফিকুল আলমসহ বিভিন্ন অনুষদের ডিনগণ, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারপার্সনগণ, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারও এই মানব বন্ধনে যোগ দেন।
এ সময় ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন বলেন, বাংলাদেশ সব-সময়ই অসাম্প্রদায়িক ও শান্তিপূর্ণ দেশ হিসেবে পরিচিত। কিছু বিপথগামী জঙ্গির কারণে বাংলাদেশের সেই সুনাম ক্ষুন্ন হতে দেয়া যাবে না। উপাচার্য অধ্যাপক এম এম শহিদুল হাসান বলেন, আজ আমরা বাংলাদেশসহ সারা পৃথিবীর জঙ্গিবাদি র্কমকান্ডের বিরুদ্ধে সমবেত হয়েছি। তাঁর মতে মনুষ্যত্ববোধ থাকলে কোনো মানুষ কোনোদিন জঙ্গি বা সন্ত্রাসী হতে পারে না।
গ্রিন ইউনিভার্সিটিতে জঙ্গিবাদ বিরোধী র্যালি, মানববন্ধন ও আলোচনা সভা
গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এর উদ্যোগে বিরাজমান জঙ্গিতৎপরতা রোধে সরকারি সিদ্ধান্ত মোতাবেক জঙ্গি ও সন্ত্রাস বিরোধী মানববন্ধন, র্যালি ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। ‘ধর্ম, সমাজ ও রাষ্ট্রবিরোধী জঙ্গি ও সন্ত্রাসী তৎপরতা বন্ধ করকরতে হবে’ এ স্লোগানকে সামনে রেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ গোলাম সামদানী ফকিরের নেতৃত্বে ছাত্র-শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অংশগ্রহণে এক বর্ণাঢ্য র্যালী রোকেয়া সরণিস্থ ক্যাম্পাস থেকে বের হয়ে আগারগাওস্থ বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সামনের সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এ র্যালীতে আরও অংশগ্রহণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার ও ডাইরেক্টর (স্টুডেন্ট এ্যাফেয়ার্স) মোঃ শহীদ উল্লাহ, রেজিস্ট্রার লেঃ জেনারেল মোঃ মইনুল ইসলাম (এলপিআর), গ্রিন বিজনেস স্কুলের প্রফেসর এম এম খান, ডিন, স্কুল অব বিজনেস, প্রফেসর ড. গোলাম আহমেদ ফারুকী, ডিন, ফ্যাকাল্টি অব সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, প্রফেসর ড. মোঃ ফয়জুর রহমানসহ বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যানগণ।
ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটিতে জঙ্গিবাদ বিরোধী মানব বন্ধন
ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এর উদ্যোগে ‘জঙ্গিবাদ বিরোধী মানব বন্ধন’ ধানমন্ডি সায়েন্স ল্যাব মোড় থেকে কলাবাগান হয়ে রাসেল স্কয়ার পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, অধ্যাপক ড. আবদুল মান্নান চৌধুরীর নেতৃত্বে অত্যন্ত সুশৃঙ্খল অবস্থায় ব্যানার ফেস্টুন হাতে নিয়ে প্রায় পাঁচ হাজার শিক্ষার্থীসহ শিক্ষকবৃন্দ ও কর্মকর্তাকর্মচারীগণ অংশগ্রহণ করেন। এ মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের জঙ্গি বিরোধী কেন্দ্রীয় কমিটির কনভেনর, মোর্শেদা চৌধুরী এবং স্বাধীনতা শিক্ষা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক, শাহজাহান আলম সাজু।
আইইউবিএটি ইউনিভার্সিটিতে জঙ্গি কার্যকলাপের বিরুদ্ধে মানববন্ধন
ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এগ্রিকালচার এন্ড টেকনোলজি (আইইউবিএটি ইউনিভার্সিটি) গুলশান আর্টিজন ও শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলায় নিহতদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও জঙ্গি কার্যকলাপ প্রতিহত করার অঙ্গীকার নিয়ে একটি আলোচনা সভা, র্যালি ও মানববন্ধন করে। আলোচনা সভায় দায়িত্বরত উপাচার্য প্রফেসর মাহমুদা খানম এর সভাপতিতে বক্তব্য রাখেন রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. আব্দুল জব্বারসহ আরও অনেকে। এর পর জঙ্গি কার্যকলাপের বিরুদ্ধে মানববন্ধনে সাড়া দিয়ে আইইউবিএটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গেট হতে শুরু করে উত্তরার কামারপাড়া ও আবদুল্লাপুর পর্যন্ত জঙ্গিবাদ বিরোধী মানববন্ধনে সারিবদ্ধ ও শান্তিপূর্ণভাবে সকল শিক্ষক ও শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। সন্ত্রাসী ও জঙ্গিদের সামাজিকভাবে প্রতিহত করা এবং বাংলাদেশ সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে এ রকম নানা সেøাগান নিয়ে মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক, শিক্ষার্থী।
লিডিং ইউনিভার্সিটিতে জঙ্গিবিরোধী মানববন্ধন
সিলেটের প্রথম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় লিডিং ইউনিভার্সিটির উদ্যোগে সম্প্রতি ‘জঙ্গিমুক্ত শিক্ষাঙ্গন ও সমাজ গড়াই হোক আমাদের অঙ্গীকার’ ব্যানারে মানববন্ধন ও র্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে। র্যালি পরবর্তী ‘সন্ত্রাস ও জঙ্গিমুক্ত শিক্ষাঙ্গন নিশ্চিতকরণ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভা লিডিং ইউনিভার্সিটির সুরমা টাওয়ার ক্যাম্পাসের হলরুমে অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত মানব বন্ধন, র্যালি ও আলোচনা সভায় লিডিং ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ কামরুজ্জামান চৌধুরীসহ শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
আলোচনায় লিডিং ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ কামরুজ্জামান চৌধুরী বলেন- জঙ্গিবাদ যেন আমাদের শিক্ষাঙ্গনকে আক্রান্ত করতে না পারে এবং শিক্ষার্থীদের যেন দুষ্কৃতকারীরা প্রভাবিত করতে না পারে সে জন্য শিক্ষক ও কর্মকর্তাদেরকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে লিডিং ইউনিভার্সিটি জিরো টলারেন্স দেখাচ্ছে এ ঘোষণা করে উপাচার্য আরো বলেন- আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে বিজ্ঞান ভিত্তিক ও গবেষণামূলক শিক্ষা ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বর্তমান সরকারের ভিশন ২১ বাস্তবায়ন করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে জঙ্গিবিরোধী সমাবেশ
সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উদ্যোগে নগরের শামীমাবাদ এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ক্যাম্পাসে মানববন্ধন, শোভাযাত্রা ও সমাবেশ হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য মোঃ মনির উদ্দিনের সভাপতিত্বে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সিলেটের মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির উদ্যোগে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবিরোধী মানববন্ধনে ইউনিভার্সিটির উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় প্রধান, সব শিক্ষক, ছাত্রছাত্রী, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোকজন অংশ নেয়।
এ ছাড়া ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি, মদনমোহন কলেজ, সিলেট সিভিল সার্জন অফিস, পার্কভিউ মেডিকেল কলেজ, নর্থইস্ট মেডিকেল কলেজসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান একই কর্মসূচি পালন করে।
সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটিতে জঙ্গিবিরোধী সমাবেশ
সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটিতে ১ আগস্ট জঙ্গিবাদ বিরোধী মানববন্ধন এবং সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর আনোয়ার হোসেন। এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ হুমায়ুন কবীর চৌধুরী, রেজিস্ট্রার মেজর জেনারেল কাজী ফকরুদ্দীন আহমেদ, এসপিপি, পিএসসি (অবঃ), বোর্ড অব ট্রাস্টিজ এর চিফ কো-অর্ডিনেটর উইং কমান্ডার এএইচএম মোস্তফা মোর্শেদ (অবঃ)।
বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুলসমূহের ডিন, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, শিক্ষকমন্ডলী, কর্মকর্তা এবং শিক্ষার্থীরা সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন।
বাউয়েট ক্যাম্পাসে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ বিরোধী মানববন্ধন
বাংলাদেশ আর্মি ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি (বাউয়েট) এর কাদিরাবাদ সেনানিবাস ক্যাম্পাসের প্রধান সড়কে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ বিরোধী মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।
দীর্ঘ মানববন্ধন কর্মসূচিতে উপস্থিত থেকে শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য উৎসাহ প্রদান করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এএইচএম শহীদউল্লাহ, পিএসসি (অব.)। পরে স্থানীয় সংসদ সদস্য (লালপুর বাগাতিপাড়া) মোঃ আবুল কালাম এবং বাগাতিপাড়া উপজেলার নির্বাহী অফিসার খন্দকার ফরহাদ আহমেদ মানববন্ধন কর্মসূচিতে যোগদান করেন এবং একাত্মতা ঘোষণা করেন।
‘জঙ্গিবাদ রুখবো সোনার বাংলা গড়বো’ স্লোগানে ইউআইটিএস এ মানব বন্ধন
হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্ট, গুলশান এবং পরবর্তীতে ৭ জুলাই কিশোরগঞ্জে শোলাকিয়া ঈদগাহ মর্মন্তুদ জঙ্গি হামলার প্রতিবাদে সম্প্রতি র্যালি, মানব বন্ধন ও আলোচনা সভা করলো ইউনিভার্সিটি অব ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সায়েন্সেস (ইউআইটিএস)। ইউআইটিএস এর উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ সোলায়মান এর নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস প্রাঙ্গণ থেকে শুরু করে বারিধারা, গুলশান, বাড্ডাসহ পার্শ্ববর্তী এলাকাসমূহে মানব বন্ধন ও র্যালি শেষে ক্যাম্পাস প্রাঙ্গণে আলোচনা সভা ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ইউআইটিএস এর জঙ্গিবাদ বিরোধী এ অনুষ্ঠানের আলোচনা সভায় স্থানীয় সংসদ সদস্য এ কে এম রহমতুল্লাহ উপস্থিত হয়ে বক্তব্য রাখেন। এসব অনুষ্ঠানে ইউআইটিএস বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সম্মানিত উপদেষ্টা প্রফেসর ড. কে এম সাইফুল ইসলাম খান, কোষাধ্যক্ষ ড. এস আর হিলালী, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ কামরুল হাসান শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে।