বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন নতুন জ্ঞান সৃষ্টি ও চর্চার মাধ্যমে দেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিতে শিক্ষকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
সম্প্রতি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (খুবি) দিবসে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
খুবিতে শিক্ষা ও গবেষণার অগ্রগতির প্রশংসা করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, গত ২৫ বছরের এ অর্জন নিঃসন্দেহে উৎসাহব্যঞ্জক এবং সামনে এগিয়ে যাওয়ার পথে সুদৃঢ় ভিত্তি রচনা করেছে। আশা করি ভবিষ্যতে এ ধারা অব্যাহত থাকবে।
জাতিকে দ্রুত অগ্রগতির পথে ধাবিত করতে বিশ্বমানের শিক্ষা ও গবেষণা প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে শিক্ষকদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
দীর্ঘ বক্তব্যে সরকারের শিক্ষানীতিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অর্জিত সাফল্য ও ভিশন ২০২১ এবং ২০৪১ সালে উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তোলায় সরকারের নানা পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন নুরুল ইসলাম নাহিদ।
আলোচনা শেষে মন্ত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের রাইঙ্গামারী সমীক্ষা গ্রাম কর্মসূচির ফলক উন্মোচন করেন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান। তিনি তাঁর বক্তব্যে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশের ধারাবাহিকতা বজায় রাখা, বর্তমান সরকারের আমলে দু’পর্যায়ে ২৭৫ কোটি টাকার উন্নয়ন বরাদ্দ, শিক্ষা ও গবেষণার মানোন্নয়নে শিক্ষক-গবেষকদের নিরন্তর প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরে বলেন আমরা নতুন কিছু করতে চাই। আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ট্রেজারার খান আতিয়ার রহমান। ।
স্বাগত বক্তব্য দেন- রেজিস্ট্রার (চলতি দায়িত্ব) খান মোঃ আলিয়ার রহমান ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন কমিটির সভাপতি জীববিজ্ঞান স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. মোঃ নাজমুল আহসান।
এর আগে বেলুন উড়িয়ে শিক্ষা মেলার উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি নুরুল ইসলাম নাহিদ। পরে মেলায় স্থাপিত ৩০টি স্টল ঘুরে দেখেন তিনি।
এ সময় খুলনা-১ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) পঞ্চানন বিশ্বাস, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আলমগীর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে ছিলো বিকেলে মুক্তমঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সন্ধ্যায় শহীদ মিনার চত্ত্বর, অদম্য বাংলা ও কটকা স্মৃতিসৌধে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন। ক্যাম্পাসে আলোকসজ্জা এবং হলসমূহে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন।