বিশেষ খবর



Upcoming Event

ক্যাম্পাস পত্রিকার সাথে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ঢাবি শিক্ষক সমিতির নবনির্বাচিত সভাপতি ড. মাকসুদ কামাল

ক্যাম্পাস ডেস্ক শিক্ষা সংবাদ
img

বিপুল লোকের ব্যবধানে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে পরাজিত করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির নবনির্বাচিত সভাপতি প্রফেসর মাকসুদ কামাল ক্যাম্পাস পত্রিকার প্রতিনিধির কাছে তাৎক্ষণিক অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন, দেশের প্রাচীনতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, এশিয়ার সেরা বিদ্যাপীঠ শিক্ষা-গবেষণা জ্ঞান বিতরণের অনন্য প্রতিষ্ঠান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত শিক্ষকদের নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করছি। শিক্ষকদের সরাসরি ভোটে আমি তাঁদের প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছি, এজন্য তাঁদের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। এখন শিক্ষান্নোয়ন ও শিক্ষাসমাজের কল্যাণে আমার দায়িত্ব আরো বেড়ে গেলো।
বর্তমান দায়িত্বে থেকে শিক্ষক সমাজের কল্যাণে আপনি কি কর্মসূচি গ্রহণ করবেন- এমন প্রশ্নে প্রত্যয়দীপ্ত আশাবাদী শিক্ষক প্রফেসর মাকসুদ কামাল বলেন, রাষ্ট্রীয়ভাবে এখনও শিক্ষকদের মর্যাদা নিশ্চিত হয়নি, এজন্য আমাদেরকে অনেক আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। আমরা জাতীয় বেতন কাঠামোয় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের গ্রেড ওয়ানে সংযুক্ত করতে পেরেছি, শিক্ষকদের বিশেষ মর্যাদা আদায়ের সংগ্রামেও আমরা জয়ী হবো আশা করি। বিশেষ মর্যাদাসম্পন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বীকৃতি পেতে হলে কোয়ালিটি শিক্ষা এবং কোয়ালিটি শিক্ষকের কোনো বিকল্প নেই। আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ শিক্ষকদের জন্য পরিকল্পিত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবো। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু স্কলারশিপ চালু ছিল যার মাধ্যমে শিক্ষকগণ উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করে দেশে ফিরে নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে জ্ঞান বিতরণের সুযোগ পেতেন, কিন্তু বিএনপি সরকার ক্ষমতায় এসে সেই স্কলারশিপ বন্ধ করে দেয়। আমরা সেই স্কলারশিপ আবার চালু করছি। এর সর্বোত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে আমরা আগামীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে গড়ে তুলবো। শিক্ষার সার্বিক উন্নয়নের ব্যাপারে বিশেষ গুরুত্ব দিব। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত উন্নয়নের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে সরকারের উর্ধ্বতন মহলে যোগাযোগের মাধ্যমে বিশেষ বরাদ্দ নিয়ে কর্মসূচি বাস্তবায়ন করবো। প্রফেসর মাকসুদ কামাল আরও বলেন, আমরা সেমিনার-সিম্পোজিয়াম করে শিক্ষার উৎকর্ষ সাধনের উপায় বের করবো, এর বাস্তবায়নের মাধ্যমে শিক্ষাক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনার চেষ্টা করবো। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, এখানে অপসংস্কৃতি, জঙ্গিবাদ যাতে মাথা তুলতে না পারে সে ব্যাপারে শিক্ষকদের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি করা হবে।
উল্লেখ্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির কার্যকরী পরিষদ নির্বাচন-২০১৭ তে সব ক’টি পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত নীল দলের প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। এতে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস সায়েন্স অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. রহমত উল্যাহ নির্বাচিত হয়েছেন।
সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাব ভবনে নির্বাচন কমিশনার রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. তোফায়েল আহমেদ চৌধুরী এ ফলাফল ঘোষণা করেন। নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে আওয়ামী লীগ সমর্থিত নীলদল, বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত সাদা দল ও বাম সমর্থিত গোলাপী দল। সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ করা হয়। নির্বাচনে ভোট পড়ে ১ হাজার ৫০২। বাতিল হয় ২৬টি ভোট। বৈধ ভোটের সংখ্যা ১ হাজার ৪৭৬।
সভাপতি পদে নীল দলের অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল ৮৯০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। নিকটতম প্রার্থী সাদা দলের অধ্যাপক ড. সিরাজুল ইসলাম পান ৩৫৯ ভোট ও গোলাপী দলের প্রার্থী অধ্যাপক এম এম আকাশ পান ১৭৩ ভোট। সহ-সভাপতি পদে নীল দলের অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলাম ৭৯৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। অপরদিকে সাদা দলের অধ্যাপক ড. লায়লা নূর ইসলাম ৪৫৪ ভোট ও গোলাপী দলের অধ্যাপক ড. নেহাল করিম ১৫২ ভোট পান।
কোষাধ্যক্ষ পদে নীল দলের অধ্যাপক ড. আব্দুস ছামাদ ৮১৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। আর সাদা দলের প্রার্থী অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান ৪৬৭ ভোট ও গোলাপী দলের অধ্যাপক মোহাম্মদ মহিউদ্দীন ১২০ ভোট পেয়েছেন।
সাধারণ সম্পাদক পদে নীল দলের অধ্যাপক ড. রহমত উল্লাহ ৭৩২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। অপরদিকে সাদা দলের প্রার্থী অধ্যাপক লুৎফর রহমান পান ৫৮৮ ভোট ও গোলাপী দলের শেখ হাফিজুর রহমান পেয়েছেন ১০২ ভোট। এছাড়া সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, ড. ইমদাদুল হক, অধ্যাপক ড. মাহবুবা নাসরীন, অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূঁইয়া, অধ্যাপক ড. বায়তুল্লাহ কাদেরী, অধ্যাপক ড. এস এম আব্দুর রহমান , অধ্যাপক ড. তাজিন আজিজ চৌধুরী, অধ্যাপক ড. আফতাব আলী শেখ, অধ্যাপক ড. বিমান চন্দ্র বড়–য়া, সহযোগী অধ্যাপক মিসেস লাফিফা জামাল।


বিশ্ববিদ্যালয় কম্পাস পত্রিকার সংখ্যা সমূহ

আরো সংবাদ

শিশু ক্যাম্পাস

বিশেষ সংখ্যা

img img img