জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড, ঢাকা এবং বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাবোর্ড অধিভুক্ত এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আলহাজ্ব মকবুল হোসেন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ। মানবিক গুণাবলি সমৃদ্ধ, জ্ঞানের আলোয় উদ্ভাসিত মানবসম্পদ তৈরির অনন্য এ প্রতিষ্ঠানটি গুণগত মানের শিক্ষাদানে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।
বিশিষ্ট শিক্ষাদ্যোক্তা, কল্যাণব্রতী শিল্পপতি, উদারপ্রাণ সমাজসেবী, সাবেক এমপি ও সিআইপি আলহাজ্ব মকবুল হোসেন গুণগত শিক্ষার পাদপীঠ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন এ কলেজটি। মকবুল হোসেন ঢাকা মহানগরীতে গড়ে তুলেছেন উচ্চশিক্ষার বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান, যা সগৌরবে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে চারদিকে দীপ্তি ছড়াচ্ছে, অকাতরে বিলিয়ে যাচ্ছে জ্ঞানের আলো। এর মধ্যে আলহাজ্ব মকবুল হোসেন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ অন্যতম। কলেজটি ১৯৯৯ সালে এমপিওভুক্ত হয়। ২০০১ সাল থেকে আধুনিক নিজস্ব ভবনে কলেজের কার্যক্রম শুরু হয়। বর্তমানে ৪০ জন এমপিওভুক্ত শিক্ষক ছাড়াও ৩০ জন নন-এমপিও শিক্ষক এবং সরকারি কলেজ ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বনামধন্য শিক্ষকগণ অতিথি শিক্ষক হিসেবে বিভিন্ন কোর্সে নিয়মিত পাঠদান করে আসছেন।
অত্র কলেজে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের অধীন এইচএসসি- বিজ্ঞান, মানবিক, ব্যবসায় শিক্ষা, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন মাস্টার্স হিসাব বিজ্ঞান, ব্যবস্থাপনা, সমাজকর্ম, ইসলামিক স্টাডিজ, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি (নিয়মিত ও প্রাইভেট), অনার্স হিসাব বিজ্ঞান, ব্যবস্থাপনা, মার্কেটিং, ফিন্যান্স, সমাজকর্ম, বাংলা, ইংরেজি, অর্থনীতি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি, গণিত. প্রফেশনাল (অনার্স) বিবিএ, কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ও ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট, ডিগ্রি (পাস)- বিএ, বিএসএস, বিবিএস (নিয়মিত ও প্রাইভেট), বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন- এইচএসসি, ডিগ্রি বিএ, বিএসএস, বিবিএস প্রোগ্রাম এবং বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের অধীন বি.এম, ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং সিভিল, ইলেকট্রিক্যাল, ইলেকট্রনিক্স, কম্পিউটার কোর্সে পাঠদান করানো হয়।
কলেজের সম্মানিত প্রতিষ্ঠাতা জনাব আলহাজ্ব মকবুল হোসেন বিক্রমপুরের সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। শিক্ষাজীবনের শুরু থেকেই তিনি মেধাবী ছাত্র হিসেবে পরিচিত ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স ও এলএলবি ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের একজন সিনিয়র এডভোকেট এবং ঢাকা বার এসোসিয়েশনের আজীবন সদস্য। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্নেহধন্য আলহাজ্ব মকবুল হোসেন। ছাত্রাবস্থায় রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। তিনি ছাত্রাবস্থায় বহুবার কারাবরণ করেন। তিনি ও তাঁর পরিবারের সদস্যগণ সক্রিয়ভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ করায় তাঁকে আবারও কারাবরণ করতে হয়। আলহাজ্ব মকবুল হোসেন ১৯৯০ সালের গণআন্দোলন ও গণঅভ্যুত্থানের সফল সংগঠক। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান। ১৯৯৬ সালে ঢাকার ধানমন্ডী-মোহাম্মদপুর নির্বাচনী এলকা থেকে বিপুল ভোটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। একজন শিক্ষাদ্যোক্তা হিসেবে তিনি বিপুল খ্যাতি লাভ করেছেন। তিনি বাংলাদেশ বেসরকারি মেডিকেল এসোসিয়েশনের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। যেসব প্রতিষ্ঠান তাঁর উদ্যোগে ও পরিচালনায় প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে এবং সুনামের সাথে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে সেগুলো হলো সিটি ইউনিভার্সিটি, আলহাজ্ব মকবুল হোসেন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, এম এইচ শমরিতা কলেজ এন্ড হসপিটাল, সিটি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড আইটি, মোহাম্মদপুর ইসলামিক সেন্টার (হাফেজিয়া, জামিয়া মাদ্রাসা ও এতিম খানা), পূরবী জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিঃ, সন্ধানী ক্রেডিট কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিঃ, টেক্সটাইল মিলস লিঃ, পান্না স্পিনিং মিলস লিঃ, এ্যামিকো ল্যাবরেটরিজ লিঃ, মোনা ফিন্যান্সিয়াল কনসালটেন্সি এন্ড সিকিউরিটি লিঃ (কর্পোরেট মেম্বার- ঢাকা স্টক একচেঞ্জ ও চট্টগ্রাম স্টক একচেঞ্জ লিঃ) মোনা গ্রুপ অব গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রিজ, মোনা প্রোপার্টিজ কমপ্লেক্স, মোনা প্রিন্টিং এন্ড প্যাকেজিং ইন্ডাস্ট্রিজ।
আলহাজ্ব মকবুল হোসেন সরকারি ও বেসরকারি দলের সদস্য হিসেবে এবং ব্যবসায়িক কাজে প্রায় ৪০টি দেশ ভ্রমণ করেন। তিনি তাঁর গ্রামের বাড়িতে পিতা-মাতার নামে একটি আধুনিক হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেছেন। তিনি আলহাজ্ব মকবুল হোসেন ডিগ্রি কলেজের ৬০০ জন দরিদ্র ও মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীর বিনামূল্যে থাকা-খাওয়াসহ সকল শিক্ষা-ব্যয় বহন করছেন।
এ সফল রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী ও শিক্ষানুরাগী ব্যক্তির সফলতার পেছনে যে প্রেরণাদায়িনী শক্তি কাজ করে যাচ্ছে তিনি হলেন তারই সুযোগ্য সহধর্মিণী আলহাজ্ব গোলাম ফাতেমা তাহেরা খানম। যিনি ছাত্র-জীবন থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠনের সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িত এবং সমাজসেবায় নিবেদিতপ্রাণ। তিনি বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ ও বহু সমাজসেবামূলক প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা ও দাতা হিসেবে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। এ মহীয়সী নারীর প্রত্যক্ষ দিকনির্দেশনায় সফলতার সাথে পরিচালিত হচ্ছে আলহাজ্ব মকবুল হোসেন কলেজের একাডেমিক কার্যক্রম। তিনি পারিবারিক জীবনেও একজন সফল নারী।
আলহাজ্ব মকবুল হোসেন শিক্ষাক্ষেত্রে অসাধারণ অবদানের জন্য প্রতিষ্ঠান-প্রধান হিসেবে রাষ্ট্রীয় পদকে ভূষিত হন। সমাজসেবায় অনন্য অবদানের জন্য শেরে বাংলা জাতীয় স্বর্ণপদক, বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্বর্ণপদক, শহীদ সোহরাওয়ার্দী জাতীয় স্বর্ণপদক, শহীদ বদিউজ্জামান স্বর্ণপদক, বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী স্বর্ণপদক, আমরা সূর্যমুখী স্বর্ণপদক ও বাংলাদেশ উন্নয়ন সংসদ স্বর্ণপদক প্রাপ্ত হন। সমাজসেবা ও সমাজের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন।
আলহাজ্ব মকবুল হোসেন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন আ ফ ম রেজাউল হাসান। যিনি এ কলেজের উত্তরোত্তর উন্নয়নের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন শিক্ষা বিস্তারের স্বপ্ন ও অঙ্গীকার নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় আলহাজ্ব মকবুল হোসেন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ। এ প্রতিষ্ঠানে অভিজ্ঞ ও তরুণ শিক্ষকের সমন্বয়ে প্রতিশ্রুতিশীল শিক্ষকমন্ডলী দ্বারা নিয়মিত পাঠদানের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মেধা-মনন ও সৃজনশীলতা বিকাশে সহপাঠ্যক্রমিক কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে। বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে ছাত্র-ছাত্রীদের আধুনিক প্রযুক্তির সাথে সম্পৃক্ত করার জন্য কলেজটিতে গড়ে তোলা হয়েছে উন্নত কম্পিউটার ল্যাব এবং কলেজ ক্যাম্পাসকে করা হয়েছে ওয়াই-ফাই সমৃদ্ধ। সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে কলেজটিকে সিসি ক্যামরার আওতায় আনা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটিতে রয়েছে আধুনিক বিজ্ঞানাগার, যেখানে শিক্ষার্থীরা হাতে-কলমে বিজ্ঞান শিক্ষা গ্রহণ করতে পারছে। আরও রয়েছে সমৃদ্ধ ডিজিটাল লাইব্রেরি, যেখানে শিক্ষার্থীরা পাঠ্যক্রমিক শিক্ষার পাশাপাশি সৃজনশীল শিক্ষা গ্রহণের মাধ্যমে নিজেদের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার সুযোগ পায়। শিক্ষা বিস্তারের যে স্বপ্ন নিয়ে কলেজটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, তা অব্যাহত রাখতে এবং সুশিক্ষিত, আধুনিক বিজ্ঞানমনস্ক সুনাগরিক গড়ে তুলতে আমরা সর্বদা সচেষ্ট।
কলেজের বৈশিষ্ট্য
- মনোরম পরিবেশ ও ধূমপানমুক্ত নিজস্ব ক্যাম্পাস;
- সহশিক্ষার আদর্শ পরিবেশ এবং ছাত্র-ছাত্রীর জরুরি চিকিৎসার ব্যবস্থা;
- শিক্ষাবর্ষের শুরুতে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে পাঠ পরিকল্পনা ও পরীক্ষার সময়সূচি প্রদান করা হয়;
- অনুপস্থিত ছাত্র-ছাত্রীদের বিষয়ে অভিভাবকের সঙ্গে তাৎক্ষণিক যোগাযোগ ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ;
- ইন্টারনেটে সংযুক্ত কম্পিউটার ল্যাব, পদার্থ, রসায়ন, জীববিদ্যা, ইঞ্জিনিয়ারিং, সিভিল, ইলেকট্রিক্যাল, ইলেকট্রনিক্সসহ অন্যান্য বিষয়ের আধুনিক ল্যাব;
- সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে ক্লাস পর্যবেক্ষণ এবং ছাত্র-ছাত্রীর সার্বিক কর্মকা- তদারকির ব্যবস্থা;
- কোর্সভিত্তিক আলাদা কোর্স কো-অর্ডিনেটর এর মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীর পড়াশুনাসহ সার্বিক বিষয় তদারকি।
একাডেমিক সুবিধা
- সিমেস্টার পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে প্রতি বিভাগের প্রথম তিনজনকে পুরস্কৃত করা হয়।
- সিমেস্টার পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে দরিদ্র ও মেধাবী ১০ জনকে টিউশন ফি এর উপর বিশেষ সুবিধা প্রদান করা হয়।
- গ্রন্থাগার থেকে লাইব্রেরি কার্ড জমা দিয়ে/নিয়ে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বিষয়ভিত্তিক বই দেয়া হয়।
- ইন্টারনেট ভিত্তিক কম্পিউটার ল্যাব, পদার্থ, রসায়ন, জীববিদ্যাসহ অন্যান্য বিষয়ের আধুনিক ল্যাবে ব্যবহারিক ক্লাস নেয়া হয়।
পরীক্ষা পদ্ধতি
- প্রতি সিমেস্টার পরীক্ষার পূর্বে ২টি টিউটোরিয়াল পরীক্ষা নেয়া হয়। টিউটোরিয়াল পরীক্ষার নম্বর সিমেস্টার পরীক্ষার নম্বরের সাথে যোগ করা হয়।
- ২য় বর্ষে প্রাক-নির্বাচনী ও নির্বাচনী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
- প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষার পূর্বে ২টি টিউটোরিয়াল পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরাই শুধু বোর্ড পরীক্ষার ফরম ফিলাপের অনুমতি পায়।
- বোর্ড পরীক্ষার জন্য ফরম ফিলাপের পর স্পেশাল ক্লাস ও মডেল টেস্ট নেয়া হয়।
সহ পাঠ্যক্রম
- রোভার স্কাউটঃ অত্র কলেজের ছাত্র-ছাত্রীর জন্য আলাদা রোভার স্কাউট কার্যক্রম চালু আছে। আগ্রহী শিক্ষার্থীদের নিয়ে উক্ত রোভার স্কাউট দল গঠন করা হয়।
- পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণার পর বিশেষ দিবস ও অনুষ্ঠানে অভিভাবকদের আমন্ত্রণ জানানো হয়।
- ছাত্র-ছাত্রীদের মেধা বিকাশের জন্য বিশেষ দিবসে দেয়ালিকা, সাময়িকী ও ম্যাগাজিন প্রকাশিত হয়।
- ছাত্র-ছাত্রীদের মানসিক বিকাশ, চিত্তবিনোদনের জন্য দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে শিক্ষা সফর ও বনভোজনের আয়োজন করা হয়।
আলহাজ্ব মকবুল হোসেন এর প্রতিষ্ঠিত আরও দু’টি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান
এমএইচ শমরিতা মেডিক্যাল কলেজ এন্ড হসপিটাল
বাংলাদেশ ১৬ কোটি মানুষের একটি ঘনবসতিপূর্ণ দেশ। বাংলাদেশের রয়েছে এক অনন্যসাধারণ স্বাস্থ্য পদ্ধতি, যেটি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে শুরু করে তৃণমূল হেল্থ এসিস্ট্যান্ট পর্যন্ত বিস্তৃত। কিন্তু প্রয়োজনীয় বাজেট স্বল্পতার কারণে সে কার্যক্রম ব্যাপক এবং সারাদেশে একইরূপ নিতে পারেনি। এ প্রসঙ্গে বলা যায় স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম বেসরকারি পরিচালনায় ন্যস্ত করা খুবই প্রয়োজনীয়।
এ চিন্তা-চেতনাকে সামনে রেখে আল্লাহর অশেষ মেহেরবানীতে ২০১০ সালে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যথাযথ অনুমোদনে এম এইচ শমরিতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল যাত্রা শুরু করে।
এমএইচ শমরিতা মেডিক্যাল কলেজে এমবিবিএস ছাড়াও রয়েছে ডেন্টাল ইউনিট এবং নার্সিং ডিপ্লোমা। এমএইচ শমরিতা মেডিক্যাল কলেজের সাথে সংযুক্ত রয়েছে একটি ৫০০ বেডের প্রশিক্ষণ হাসপাতাল। এ হাসপাতালটি একটি বিশেষায়িত হাসপাতাল যাতে রয়েছে ওঈট, ঈঈট, ঘওঈট, ঐউট এবং ডায়ালিসিস ইউনিট।
এ মেডিক্যাল কলেজ এবং সংযুক্ত হাসপাতালটিকে সেন্টার অব এক্সিলেন্স হিসেবে গড়ে তুলতে এবং চিকিৎসা সেবার গুণগত মান বৃদ্ধিতে প্রত্যেকে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। চিকিৎসাসেবা নিতে আসা রোগীদের সন্তুষ্টিলাভে কর্তৃপক্ষ বদ্ধপরিকর। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে হাসপাতালটি সুনাম-সুখ্যাতি নিয়ে ৪ বছর অতিক্রম করেছে। বর্তমানে কলেজটি দেশি এবং বিদেশি শিক্ষার্থীদেরকে সুশিক্ষা দানের যোগ্যতা অর্জন করেছে। বর্তমান সেশন থেকে কলেজটি আশা করছে যে, অন্যান্য দেশের মেডিক্যাল শিক্ষা গ্রহণেচ্ছু শিক্ষার্থীরা এ কলেজে ভর্তি হবে। প্রতিবছর অত্র প্রতিষ্ঠান থেকে একজন কোরআনে হাফেজকে বিনাখরচে এমবিবিএস পড়ার সুযোগ দেয়া হয়।
শিক্ষার্থীরা এ কলেজে দীর্ঘ ৫ বছরের জন্য তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক শিক্ষা গ্রহণ করে চিকিৎসক হিসেবে যোগ্যতার সাথে মানবতার সেবায় আত্মনিয়োগ করে। চিকিৎসাসেবায় অনন্য প্রতিষ্ঠান ভারতের মেডিকা গ্রুপ এর সাথে এমএইচ শমরিতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের রয়েছে মেডিক্যাল পার্টনারশীপ চুক্তি।
সিটি ইউনিভার্সিটি
বাংলাদেশের সাধারণ নাগরিকদের কাছে শিক্ষার দ্বার উন্মোচন করার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল সিটি ইউনিভার্সিটি, যা বাংলাদেশের প্রথম স্থায়ী সনদপ্রাপ্ত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। ঢাকার সাভারে খাগান এলাকায় সুদৃশ্য স্থায়ী ক্যাম্পাসে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে আকর্ষণীয় এই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার আলো ছড়িয়ে যাচ্ছে।
নিজস্ব স্থায়ী ক্যাম্পাসে অবস্থিত সেরা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের মধ্যে অন্যতম। এছাড়া পান্থপথ ও বনানীতেও রয়েছে এর ক্যাম্পাস। আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রেক্ষিতে উন্নত শিক্ষাদানের মাধ্যমে একটি দেশ তার জনগণকে মানব-সম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে পারে, যা আর্থ-সামাজিক অবস্থার পরিবর্তনের ক্ষেত্রে চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করতে পারে। ২০০২ সালে প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সিটি ইউনিভার্সিটি উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে কালচারাল এক্সিলেন্স গড়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়টি শিক্ষা ও গবেষণা ক্ষেত্রে উচ্চমান বজায় রেখে চলছে।
উচ্চশিক্ষায় এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছে দেয় বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কর্মসূচি এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা। শিক্ষার্থী এবং কর্মচারীর প্রয়োজনীয় চাহিদার প্রতি রয়েছে মানবিক সাড়া। শিক্ষা ও উদ্ভাবনী কর্মকান্ডের দিকে রয়েছে তীক্ষ্ন দৃষ্টি। দারিদ্র্যের কষাঘাতে মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা গ্রহণ যাতে কোনোভাবে ব্যাহত না হয়, সে ব্যাপারে সিটি ইউনিভার্সিটি অত্যন্ত সচেতন। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোক্তাগণ মনে করেন, সামাজিক দায়বদ্ধতা এবং ধর্মীয় দায়িত্ববোধ থেকে এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন।
এ বিশ্ববিদ্যালয়ের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ছাত্র-ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয় প্রদত্ত এসব সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছে নামমাত্র মূল্যে অথবা বিনামূল্যে উচ্চশিক্ষার সুযোগ পাচ্ছে। সুবিধাবঞ্চিত শ্রমজীবী শ্রেণির ছেলে-মেয়েরা এখানে নির্বিঘ্নে পড়ালেখা করছে। শারীরিক প্রতিবন্ধিরাও অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে বিনাবেতনে পড়াশুনার সুযোগ পাচ্ছে। সিটি ইউনিভার্সিটি ২০০২ সালে প্রতিষ্ঠালগ্নে সরকারের পক্ষ থেকেই কল্যাণমূলক কার্যক্রম পরিচালনার অনুমোদন পেয়েছে। ২০০৫ সাল থেকে পূর্ণমাত্রায় শুরু করেছে এর শিক্ষা কার্যক্রম। ২০০২ সালে প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল মাত্র ৪৮ জন, বর্তমানে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে প্রায় ৮ হাজার ছাত্র-ছাত্রী নিষ্ঠার সাথে অধ্যয়ন করছে।
শিক্ষার্থী, শিক্ষাব্রতী, শিক্ষাপ্রেমীদের সিটি ইউনিভার্সিটি তার নান্দনিক ভুবনে আমন্ত্রণ জানায়।