পোশাকের রং আর ধরন
কর্পোরেট জগতে ব্লেজার বেশ জনপ্রিয়। ইন্টারভিউ দিতে গিয়ে অনেক নারী প্রার্থীও এই পোশাক পরেন। এর নিচে ভি-গলার কোনো টি-শার্ট বা অন্য পোশাক আপনাকে ডুবিয়ে দিতে পারে। মেয়েরা যদি গোল গলার টি-শার্ট বা কোনো শার্ট পরতে চান, তবে তা অবশ্যই শোভনীয় হতে হবে। ছেলেরা একটা ঝকঝকে শার্ট বেছে নিলে ভালো করবেন। সবচেয়ে বড় কথা, চোখে অস্বস্তি তৈরি করে এমন কোনো পোশাকই পরবেন না।
পারফিউম আর কোলন
ইন্টারভিউয়ে সুগন্ধী ব্যবহার করা যেতেই পারে। কিন্তু একজনের পছন্দের সুগন্ধি আরেকজনের পছন্দ নাও হতে পারে। তাই চাকরি দাতার রুচি বুঝে সঠিক পারফিউম বা কোলন ব্যবহার করা সম্ভব নয়। তবে নিরাপদ থাকা যায়। হালকা গন্ধের কোনো একটি ব্যবহার করা যেতে পারে।
ভুলেও হেডফোন নয়
হয়তো মেজাজ ফুরফুরে রাখতে অনেকে কানে হেডফোন লাগিয়ে গান শুনতে শুনতে অফিসের দিকে রওনা দেন। এটাকে কেবল কান থেকে নামিয়ে গলায় ঝুলিয়ে ইন্টারভিউয়ে বসা যাবে না। এটা বন্ধুদের আড্ডা নয়।
ক্যাজুয়াল পোশাকে সাবধান
হতে পারে ক্যাজুয়াল পোশাকেই যাওয়া যাবে ইন্টারভিউয়ে। তাই বলে যা মন চায় তাই পরা যাবে না। ফাটা বা আঁচড়কাটা জিন্স আর রংচঙা টি-শার্ট চাইলেই চাকরি বাছাইয়ের পরীক্ষায় পরে যাওয়া যায় না।
মেকআপে মিতব্যয়ী হতে হবে
বিশেষ করে মেয়েদের জন্য পরামর্শটা জরুরি। অতিরিক্ত মেকআপে নিজেকে ইন্টারভিউয়ে হাজির করা যাবে না। এতে হিতে বিপরীত ঘটবে। বিশেষ করে চোখে মাস্কারা, ঠোঁটে লিপস্টিক আর গালে মেকআপ ব্যবহারে উদার হওয়া যাবে না। আবহাওয়া আর পরিবেশের জন্য চলনসই মেকআপটুকুই নেওয়া যেতে পারে।
অলংকরণ
মেয়েরা অলংকার যতটা কম পরবে, ততই ভালো। চাকরির ইন্টারভিউয়ে প্রার্থীকে বিয়ের সাজে দেখতে চাইবে না কর্তৃপক্ষ। কানে ছোট দুল, হাতে একটা আংটি বা ব্লেজারে ক্লাসিক স্টাডসই যথেষ্ট। কাফলিং পরা যেতে পারে।