নিজেকে সুখী ভাবলেই আয়ু বাড়ে
সুখী মানুষরা বেশিদিন বাঁচে -এ তত্ত্ব নতুন কিছু নয়। সাম্প্রতিক গবেষণায়ও দেখা গেছে- বয়স্কদের মধ্যেও সুখের ইতিবাচক প্রভাব রয়েছে; আর এ প্রভাবে বার্ধক্যে থাকা ব্যক্তিদেরও আয়ু বাড়ে।
লন্ডনের ইউনিভার্সিটি কলেজের গবেষকরা সম্প্রতি ৫২ থেকে ৭৯ বছর বয়সী ৩,৮০০ ব্যক্তির ওপর গবেষণাটি পরিচালনা করেন। এতে দেখা যায়- যারা নিজেদের বেশ সুখী বলে দাবি করেছেন, তাদের মধ্যে পরবর্তী ৫ বছরে মৃত্যুর হার অনেক কম পাওয়া গেছে। আর যারা নিজেদের সুখী নয় বলে মনে করেছেন, তাদের মধ্যে ঐ সময়ে মৃত্যুর হার প্রথম ধরনের ব্যক্তিদের তুলনায় বেশি দেখা গেছে।
গবেষক দলের প্রধান অধ্যাপক এন্ড্রু স্টেপটো জানিয়েছেন, বয়স হয়ে যাওয়া ব্যক্তিদের জীবনের যেকোনো সময় ও দিক সম্পর্কে মূল্যায়নের মাধ্যমে তাদের মধ্যে সুখী বোধ করার মাত্রা খুঁজে দেখা হয়েছে। এতে দেখা গেছে- ব্যক্তি যদি সুখী বোধ করে, তবে তার বয়স এবং রোগ-ব্যাধি থাকার পরও সে আরও অনেকটা সময় পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে।
এজন্যই আমার সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ক্যাম্পাস সমাজ উন্নয়ন কেন্দ্র আয়োজিত প্রোএকটিভ সেমিনারে একটি বিষয় বারংবার আলোকপাত করা হয়; তা হচ্ছে- সুখে থাকার প্রধান সোপান নিজেকে সুখী ভাবা। এরূপ প্রোএকটিভ ও পজিটিভ ভাবনাই সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু লাভের নিয়ামক শক্তি।
বেশি বয়সে ভালো ঘুম
এতদিন ধারণা করা হতো বয়স বাড়লে মানুষের ঘুম কমে। এখন এ ধারণাকে বদলে দিয়েছে একটি গবেষণার ফল। যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সিøপ এন্ড সার্কাডিয়ান নিওরোবায়োলজি সেন্টার পরিচালিত ঐ গবেষণায় দেখা গেছে, বয়স বাড়লে মানুষের ঘুম আরও ভালো হয়।
প্রকল্পের গবেষক ও মনোবিজ্ঞানী ড. মাইকেল গ্র্যান্ডনার বলেন, আমরা আগে জানতাম বয়স হলে মানুষের ঘুম কমে এবং মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়। এ গবেষণার ফল পূর্বের ধারণা বদলে দিয়েছে। তবে শারীরিক দুর্বলতা ও মানসিক উদ্যমহীনতার কারণেও বেশি ঘুম হতে পারে।
বার্ধক্য রোধে করণীয়
বয়স তিন রকম; ক্রমান্বয়িক, জৈবিক ও মনোগত। প্রথমটি গণনা করা হয় জন্ম তারিখের ওপর ভিত্তি করে অর্থাৎ বয়স কত বছর হলো, তা দিয়ে। দ্বিতীয়টি গণনা করা হয় স্বাস্থ্যের অবস্থা অনুযায়ী অর্থাৎ স্বাস্থ্য কতটা ভালো বা কতটা খারাপ। আর শেষটা হলো মনের বয়স অর্থাৎ মনের সতেজতা ও সজীবতা কতখানি আছে।
প্রথম ধরনের বয়সের ওপর নিয়ন্ত্রণ নেই আমাদের। তবে দৈহিক বা জৈবিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে পারি স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্য খেয়ে, ব্যায়াম করে এবং মনকে প্রফুল্ল রেখে। মনের বয়সকে দমিয়ে রাখা যায়, জীবন সম্পর্কে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করে এবং আশাবাদী চিন্তাভাবনা দিয়ে।
তাই মনোদৈহিক স্বাস্থ্য ভালো রাখলেই তাতে বার্ধক্য বিলম্বিত হয়ে শতায়ুলাভ সহজ হয়, জীবন হয় ফুরফুরে এবং উপভোগ্য। মনোদৈহিক সুস্বাস্থ্য রক্ষার ক’টি টিপস নিম্নরূপ।
স্বাস্থ্যযতœ নিশ্চিত করাঃ সন্তান, জীবনসঙ্গী বা আত্মীয়-স্বজনদের যদি সত্যি ভালোবাসেন, যদি পৃথিবী ছেড়ে দ্রুত চলে যেতে না চান -তাহলে নিজের স্বাস্থ্যের দেখভাল খুবই জরুরি ও গুরুত্বপূর্ণ। এতে আপনি বুড়ো বয়সে কারুর বোঝা হবেন না।
শিথিলায়ন ও বিনোদনঃ শরীর ও মন শিথিল করা এবং বিনোদনের জন্য স্রষ্টার আরাধনা, সুনিদ্রা, সঙ্গীত ও ভ্রমণ এবং হাসি-ঠাট্টা খুব গুরুত্বপূর্ণ। স্রষ্টায় বিশ্বাস রাখুন, সুনিদ্রার চেষ্টা করুন, ভালো গান শুনুন এবং জীবনের পজিটিভ বিষয় ও মজার দিকগুলো দেখার চেষ্টা করুন।
ক্ষমা করে দেয়া এবং বিবাদ ভুলে থাকাঃ ভুলটা যদি অন্যেরও হয়ে থাকে তথা অন্যে যদি ভুল করে থাকে, তাতেও আপনি বাড়াবাড়ি না করা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য মঙ্গলজনক। তবে ন্যায়ের ঝান্ডা উড্ডীন রাখতে অন্যায়ের প্রতিবাদ যতটুকু দরকার, ততটুকু করা উচিত। নিজের স্বাস্থ্যসুখ এবং সামাজিক স্বস্তির বিবেচনায় এসব পরিমিতিবোধ এবং ভারসাম্যপূর্ণ মনোভাব বিশেষ প্রয়োজন। তবে সর্বাগ্রে মনে রাখতে হবে এবং সর্বতোভাবে মেনেও চলতে হবে- ক্ষমা মহত্ত্বের লক্ষণ। ক্ষমার মাধ্যমে নিজের মধ্যকার উত্তেজনা ও হতাশার চাপ কমে যায়।
মোদ্দাকথা হচ্ছে, জটিল-কুটিল ও বিবাদ-বিসম্বাদের পরিস্থিতি বা কথাবার্তা ভুলে যাওয়া ব্যক্তিগত সুখ ও সামাজিক শান্তির জন্য অপরিহার্য। বিবাদ ও বৈপরীত্য একদিকে রক্তচাপ ও স্নায়ুযুদ্ধ বাড়ায়, অন্যদিকে সামাজিক বিশৃঙ্খলার অনুঘটক এটি।
প্রতিটি বিষয় সহজভাবে গ্রহণঃ জীবনতরীর যে প্রেক্ষাপটে যে ঘটনা যেভাবেই আসুক না কেন, তাকে সহজ বা প্রাকৃতিকভাবে গ্রহণ করা উচিত। নিজের মধ্যে সেরূপ ম্যাচিং ক্যাপাসিটি তৈরি করা তথা ব্রেন প্রোগ্রামিং করে রাখা নিরাপদ। এমনকি আশপাশের মানুষদের মধ্যেও অনুরূপ এডজাস্টমেন্ট ক্যাপাসিটি ডেভেলপ করিয়ে রাখা আবশ্যক। তাহলে এমনকি ভূমিকম্পের মতো মহা মহা বিপর্যয়েও আঁৎকে ওঠার কিছু নেই; বরং অনুরূপ যেসকল কঠিন অথচ বাস্তব বিপর্যয় ঠেকানোর মতো শক্তি নিজের মধ্যে থাকে না, সেসব বিপর্যয়ও মোকাবেলা করে টিকে থাকা সম্ভব। যেমন- প্রচন্ড জলোচ্ছ্বাস বা সাইক্লোনে হাজার মানুষের জীবনাবসান হলেও অনেক শিশু-বাচ্চাকে বেঁচে থাকতে দেখা যায়। আবার প্লেন বিধ্বস্তে সব যাত্রী নিহত হয়ে কেবল একটি শিশু বেঁচে থাকার দৃষ্টান্তও রয়েছে কিন্তু! এগুলো অলৌকিক নয় বরং প্রোএকটিভ ও পজিটিভ এটিচিউডের বিজ্ঞানসম্মত ফলাফল। অবুঝ বা অবোধ শিশু প্রকৃতির তান্ডবে রিএক্ট না করে, তান্ডবকে নির্মমতা হিসেবে না নিয়ে বরং তা উপভোগ করে কৌতূহলী উল্লাসে। তারা বেঁচে যায় প্রকৃতির তান্ডবের সাথে ম্যাচ করে। যেরূপ সহজ-সরল ও প্রোএকটিভ চেতনাশক্তি সঞ্চয়ন করে থাকেন আধ্যাত্মিক ব্যক্তিগণ, অবিরাম সাধনার মাধ্যমে। সাধারণ মানুষদের কেউ কেউ এরূপ সরল সমীকরণের জ্যোতির্ময় শক্তি কখনো সখনো স্পর্শ করলেও অধিকাংশ মানুষই এরূপ প্রাকৃতিক শক্তির কথা তথা বিরূপ পরিবেশে নিজকে মানিয়ে নেয়া বা খাপ খাইয়ে চলার সহজতা জানেই না। তাই আপনি যদি সুস্বাস্থ্য ও শতায়ু লাভ করতে চান, তাহলে সবকিছু সহজভাবে নেয়ার মানসিকতা তৈরি ও লালন করুন।
মৃত্যুভয় অতিক্রম করতে হবেঃ মৃত্যু অবধারিত; আমাদের সবাইকে এ সুন্দর পৃথিবী ছেড়ে একদিন চলে যেতে হবে। তবু আমরা ভাবি, আমাদের জীবনসঙ্গী ও সন্তানরা সেই শোক সহ্য করতে পারবে কিনা। অথচ নির্মম হলেও সত্য যে- স্বজনেরা বিষণœ বা শোকাহত হবে কিছুকাল পর্যন্ত; অতঃপর সবাই ফিরে যাবে নিজ জীবনের বাস্তব ব্যস্ততায়। সময় সবকিছুকে নিরাময় করে, ক্ষত শুকিয়ে যায়; এভাবেই মনুষ্য জীবন ও মানব সভ্যতা এগিয়ে চলে নিরবধি। তাই মৃত্যুভয় অতিক্রম করে একে নিতে হবে স্বাভাবিকভাবে, প্রাকৃতিকভাবে।
বার্ধক্য জয়ের ক’টি টিপস
্র গড়ে প্রতিদিন ৬ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুম;
্র চিনি না খাওয়াই ভালো, মিষ্টিজাতীয় খাবার কদাচিৎ;
্র কোমল বা ফ্রিজিং পানীয় একদম নয়;
্র টেনশন ও চাপমুক্ত থাকা;
্র নিয়মিতভাবে গভীর শ্বাসক্রিয়ার ব্যায়াম তথা ইয়োগা ও মেডিটেশন করা;
্র নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম (দৈনিক ৩০ মিনিট করে সপ্তাহে অন্তত ৫ দিন);
্র উচ্চশব্দ এড়িয়ে চলা এবং জোরে গান-বাজনা না শোনা;
্র ভালো বন্ধু বা শিশুর সাথে সময় কাটানো;
্র প্রতিদিন ফল ও সব্জি খাওয়া;
্র কঠিন চর্বি বর্জন;
মাছের চর্বি, জলপাই তেল, বাদাম তেল গ্রহণ;
্র ্র হাসি-খুশি ও সহজ-সরল জীবনযাপন, ধর্মকর্ম করা এবং প্রাকৃত ও প্রকৃত হওয়া।
নেতিবাচক চিন্তা ও কথা
পরিহার করুন, সুস্থ থাকুন
নেতিবাচক অথবা ইতিবাচক হোক, মিথ্যা কিংবা সত্য হোক -একই কথা যখন বারবার অন্যের থেকে শোনা বা নিজ থেকে আওড়ানো হয়, তখন সেই কথাটি এতই সত্যরূপ ধারণ করে, যা স্রষ্টার কথা বলে প্রতীয়মান হয়। প্রবাদেও আছে, দশচক্রে ভগবান ভূত। অন্যকথায়, The words of the people are the words of God.
বারবার শোনা কথা কান দিয়ে প্রবেশ করে ব্রেনে গেঁথে যায়। আমাদের দেহ-মনের নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনায় যে ব্রেন সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে, সে কোনো বিষয়ের ভালো-মন্দ বা নেগেটিভ-পজিটিভ বাছবিচার করে না। ব্রেন কেবলই শোনা কথাগুলোর স্বরূপ দেহাভ্যন্তরে প্রতিপালনের জন্য সংশ্লিষ্ট সকল অঙ্গপ্রত্যঙ্গকে নির্দেশনা পাঠায়। অর্থাৎ শোনা কথা ভালো হয়ে থাকলে তদনুযায়ী ব্রেনের নির্দেশনা ভালো হয়, যা শারীরিক সুস্থতার জন্য সহায়ক; আবার শোনা কথা খারাপ হলে ব্রেনের নির্দেশনাও খারাপ হয়, যা অসুস্থতার জন্য দায়ী।
এজন্যই মানুষের অসুস্থতার মূল কারণগুলোর অন্যতম হচ্ছে অন্যের থেকে শোনা নেতিবাচক কথা এবং নিজের নেতিবাচক চিন্তা। তাই একজন সুস্থ মানুষকেও যদি অন্যরা বলে- আপনাকে অসুস্থ বা রোগাক্রান্ত দেখাচ্ছে, তাহলে ঐ সুস্থ ব্যক্তি নিজের ওপরে কনফিউজড হয়ে মানসিকভাবে দুর্বল হতে হতে একপর্যায়ে সত্যিই অসুস্থ হয়ে পড়ে। এরূপ নেগেটিভ কথার বলয় ও আছর থেকে নিজকে যত দূরে রাখা যায়, ততই মঙ্গল। তবে অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে, এরূপ মনঃশক্তির অধিকারী মানুষ খুবই বিরল।
অনুরূপভাবে একজন অসুস্থ মানুষকেও যদি তার আশপাশের মানুষরা বলতে থাকে- আপনাকে সুস্থ ও সুন্দর দেখাচ্ছে, তাহলে তার ব্রেনের উজ্জীবিত কোষের নিউরন শরীরে পজিটিভ তথ্য গ্রহণ ও বিচ্ছুরণ ঘটাতে ঘটাতে একসময়ে ঐ অসুস্থ ব্যক্তি সত্যিই সুস্থ হয়ে ওঠে। এটি আমাদের মন এবং দেহের ওপর ব্রেনের সরাসরি প্রতিফলিত খুবই স্বাভাবিক ও প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া।
সিলভা মন নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতিতে বলা আছে, Your thought is your energy and energy is the power. অর্থাৎ আপনি যেরূপ চিন্তা করবেন-শুনবেন-বলবেন, আপনার কর্মফলও সেরূপ হবে। ইতিবাচক বা পজিটিভ চিন্তা করলে সবকিছু পজিটিভলি আবর্তিত হতে থাকে, অন্যদিকে নেতিবাচক বা নেগেটিভ চিন্তা করলে চারপাশের বিষয়গুলোতে নেগেটিভ ইফেক্ট হতে থাকে। যেমন- অর্ধেক ভর্তি পানির গ্লাস সম্পর্কে একেক জনের অবজারভেশন বা কমেন্ট একেক রকম হতে পারে। কেউ কেউ বলবেন গ্লাসের অর্ধেক খালি, আবার অনেকে বলবেন এ গ্লাসে অর্ধেক পানি আছে। ঐ গ্লাসে যে অর্ধেক পানি আছে, সেদিকে তাকিয়ে থাকলে ইতিবাচক চিন্তার স্ফূরণ বা Positive energy generate হয়ে সবকিছু পজিটিভ হয়ে যায়। অন্যদিকে গ্লাসের অর্ধেক খালি অংশের দিকে তাকাতে থাকলে নেতিবাচক চিন্তা বা Negative energy generate হতে থাকবে। এভাবেই আপনার দৈনন্দিন জীবনের ঘটনা প্রবাহকে আপনি পজিটিভ বা নেগেটিভভাবে Interpret করতে তথা বিশ্বাস ও গ্রহণ করতে পারেন।
কিডনি বা লিভার ক্যান্সারে আক্রান্ত না হয়েও অনুরূপ মিথ্যা অসুখের কথা প্রচার করে যে সুস্থ ব্যক্তি চিকিৎসা-সাহায্য চাইতে থাকে, সে শেষতক সত্যিই যে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে যায় -এরূপ ঘটনা এখন আর বিরল নয়।
উন্নত চিন্তা ও মননের মানুষের সংস্পর্শে আপনার মধ্যে উন্নত চিন্তা তৈরি হবে; অন্যদিকে চিন্তার দারিদ্র্যে জর্জরিত তথা দারিদ্র্যক্লিষ্ট মননের মানুষের সাথে নিবিষ্টতা বা সংশ্লিষ্টতা আপনাকেও অনুরূপ দরিদ্র করে তুলতে পারে। সংগত কারণেই নেতিবাচক ও ভারসাম্যহীন মানুষের সাথে চলতে থাকলে আপনি এই ভালো মানুষটিও হয়ে পড়তে পারেন অসুস্থ ও অপ্রকৃতিস্থ।
তাই যথাসাধ্য চেষ্টা করুন ইতিবাচক চিন্তার দৃঢ়চেতা, সুশিক্ষিত, সরল ও প্রোএকটিভ মানুষের সংস্পর্শে বেশি বেশি থাকতে। এতে আপনার মধ্যে থাকা ইতিবাচক চিন্তা সুদৃঢ় হবে এবং নেতিবাচক কোনো ধারণা বা চেতনা থাকলে সেটিও দূরীভূত হয়ে আপনি সর্বদাই উন্নততর বিশেষ মানুষ হবার পথে এগিয়ে যাবেন; সুস্থ থাকবেন, সুন্দর থাকবেন; দীর্ঘায়ু লাভেও তা এক নিয়ামক শক্তি হিসেবে কাজ করবে।
-চলবে।