বাংলাদেশে এখন সবচেয়ে আতঙ্কের নাম ভূমিকম্প। গত ৩দিনের ভূমিকম্পে মানুষ আতঙ্কের মধ্যে আছে। ভূমিকম্পের সময় তড়িঘড়ি করে বাসাবাড়ি থেকে নামতে গিয়ে অনেকেই হতাহত হয়েছে। নেপালের ভয়াবহ ভূমিকম্পে বাংলাদেশের মানুষ একটি ভীতির মধ্যে বসবাস করছে।
প্রযুক্তির এই যুগে মানুষের পরম বন্ধু হচ্ছে মোবাইল। এই মোবাইল যদি ভূমিকম্পের সময় কাজে আসে তাহলে কেমন হবে? হাতের নাগালে থাকা মোবাইল ফোনটিই হতে পারে ভূমিকম্পের সময় সবচেয়ে কাছের বন্ধু। ভূমিকম্পে ভবন কেঁপে ওঠার কয়েক সেকেন্ড আগেই আপনাকে ভূমিকম্প আসার খবর দিয়ে সতর্ক করে দিতে পারে স্মার্টফোনটি।
ইতিমধ্যে অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস প্ল্যাটফর্মে বেশ কিছু অ্যাপ রয়েছে যাতে ভূমিকম্প হলে তার নোটিফিকেশন পাওয়া যায়। কিন্তু গবেষকেরা এর চেয়ে উন্নত পদ্ধতি উদ্ভাবনে কাজ করছেন।
গবেষকেরা বলছেন, কম খরচে ভূমিকম্প সতর্কব্যবস্থা হতে পারে স্মার্টফোনের উন্নত অ্যাপস। স্মার্টফোনে থাকা গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম বা জিপিএস ভূমিকম্প শনাক্ত করতে পারে এবং শক্তিশালী কম্পন আঘাত হানার কয়েক সেকেন্ড আগেই তা জানিয়ে দিতে পারে।
গবেষকেরা বলেন, স্মার্টফোনের জিপিএস রিসিভার বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতির তুলনায় যদিও নিখুঁত নয় তবুও মাঝারি থেকে বড় মাত্রার ভূমিকম্প সহজে ধরতে পারে।
হাউসটন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও গবেষণা নিবন্ধের লেখক ক্রেইগ গ্লেনি বলেন, ‘ভূমিকম্পের কম্পনের চেয়ে দ্রুত ছুটতে পারে ইলেকট্রনিক বার্তা।’
অ্যাপস ছাড়াই ভূমিকম্প সতর্কতা
দামি স্মার্টফোন না হলেও তাতে ভূমিকম্প টের পাওয়া যাবে। এতে অবশ্য কোনো অ্যাপ ডাউনলোড করার দরকার পড়বে না। স্মার্টফোন ও ট্যাবলেটে মৌলিক সিসমোমিটার থাকে যা কম্পন শনাক্ত করতে পারে। এ জন্য সমতল টেবিলের ওপর ফোনটিকে রাখতে হয়। ডিজিটাল ইনসপাইরেশন নামের একটি ব্লগের তথ্য অনুযায়ী, যে ফোনে সিসমোমিটার থাকে তাতে আলাদা অ্যাপ ডাউনলোড ছাড়াই শুধু ওয়েব ব্রাউজার ব্যবহার করে ভূমিকম্প টের পাওয়া যায়। এই পদ্ধতিতে ভূমিকম্প টের পেতে ওয়েবব্রাউজার থেকে http://ctrlq.org/earthquakes/seismograph.html লিংকটি চালু করতে হয়। এতে চলমান একটি তরঙ্গ দেখা যায়। কোনো কম্পন শনাক্ত করলে তখন এই তরঙ্গটি রিয়েল টাইমে তা সিসমোগ্রাফের মতো ধরতে পারে।