আমি যখন প্রথম প্রথম ইউরোপের বিভিন্ন দেশ ভ্রমণে যেতাম, তখন আমার কৌতুহল ও ঔৎসুক্য কাজ করত, কিন্তু আবেগ কাজ করত না। কারণ ছোটবেলা থেকেই শুনেছি বা বইপত্রে পড়েছি, ঔপনিবেশিক ও সাম্রাজ্যবাদী শোষণের মাধ্যমে ইউরোপ-আমেরিকা নিজেদের সম্পদ বাড়িয়েছে; তাই এরা আমাদের চেয়ে ঢের এগিয়ে থাকবে এটিই স্বাভাবিক। এতে আফসোস বা আবেগের কী আছে? কিন্তু পরবর্তীতে যখন মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম, শ্রীলংকা, থাইল্যান্ড বা দক্ষিণ এশীয় দেশ ভ্রমণ করি এবং তাদের উন্নয়ন-অগ্রগতি-সংস্কৃতি, চিন্তা-চেতনা ও মানবিকতার সাথে নিজেদের তুলনা করি, দেশ ও জাতির উন্নয়নে তাদের বজ্র-কঠিন শপথ ও সেক্রিফাইস দেখি -তখনই চোখে জল এসে যায়, মনটা ডুকরে কেঁদে ওঠে।
গবেষক-চিন্তাবিদ ও পর্যটকদের মতে, বাংলাদেশ হচ্ছে বিশ্বের অত্যন্ত সম্ভাবনাময়ী একটি দেশ। অথচ সেই বাংলাদেশের আমরা হতভাগারা উন্নয়ন-অগ্রগতিতে দেশের মর্যাদা রক্ষা করিনি। দেশটির কোনো দুর্বলতা ছিল না, এখনও নেই। দুর্বল আমরা, এই মানুষগুলো; দুর্বলতা আমাদের ছিন্নবস্ত্র বা স্বল্প আহার্যে নয়, দুর্বলতা আমাদের সংকীর্ণ মনে, দারিদ্র্য আমাদের চিন্তায়, দুর্বলতা আমাদের ব্যবস্থাপনায়।
আমাদের দেশে ট্যুরিজম যে অপার সম্ভাবনাময়ী একটি খাত, তা শৈশব থেকে শুধু শুনেই আসছি। কিন্তু এর বিকাশে কার্যকর কোনো উদ্যোগ আমার গোচরে আসেনি। সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখার মতো পৃথিবীর অন্যতম সৈকত কুয়াকাটা’র অবস্থান যদি বাংলাদেশে না হয়ে ইউরোপ বা সাউথ-ইস্ট এশিয়ার কোনো দেশে হতো, তাহলে ৩ বছরের পরিকল্পনায় মাত্র ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ছোট ছোট ব্রীজ-কালভার্ট বানিয়ে এবং ট্যুরিস্ট নিরাপত্তা নিশ্চিত করে এর মাধ্যমে ফি বছর আয় করত কয়েকশ’ কোটি টাকা। আমার বিশ্বাস, সরকারের হাতে কুয়াকাটার মালিকানাসত্ত্ব বা উন্নয়ন-ক্ষমতা না থেকে যদি কোনো বেসরকারি ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের হাতে থাকত, তাহলেও এই সোনার হাঁস ‘কুয়াকাটা’ প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রারূপী সোনার ডিম পাড়তো। শুধু কুয়াকাটাই নয়, বাংলাদেশ সরকারের মালিকানায় থাকা বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র-সৈকত ‘কক্সবাজার’ এবং বিশ্বখ্যাত রয়েল বেঙ্গল টাইগার এর একমাত্র বিচরণক্ষেত্র ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট সুন্দরবনসহ সবগুলোর একই দুরবস্থা।
কুয়াকাটা, কক্সবাজার, সেন্টমার্টিন, সুন্দরবন, রাঙ্গামাটি, বান্দরবান, টেকনাফ, মাধবকুন্ড, জাফলং, মহাস্থানগড়, পাহাড়পুর, ময়নামতি, সোনারগাঁও, লাউয়াছড়া, বাগেরহাটের ষাটগম্বুজ মসজিদ ইত্যাকার আরো জানা-অজানা ট্যুরিস্ট-স্পটগুলো সুদীর্ঘকাল থেকে মক্ষীরাণীর মতো ট্যুরিস্টদের হাতছানি দিতে দিতে ক্লান্ত হয়ে অযত্ন ও অবহেলায় ঝিমিয়ে পড়েছে। অথচ মাত্র দু’টো দায়িত্ব পালন করলেই একদিকে বিদেশি পর্যটকদের কাছ থেকে বাংলাদেশ প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা কামাতে পারে এবং অন্যদিকে স্রষ্টার দান হিসেবে এ মক্ষীরাণীরাও সার্থকতালাভ করতে পারবে। প্রথম দায়িত্ব মেকাপ ও প্লাস্টিক সার্জারির মাধ্যমে এ মক্ষীরাণীদের অঙ্গসৌষ্ঠব বৃদ্ধি করে তাদের আরও আকর্ষণীয় করে তোলা; দ্বিতীয় দায়িত্ব মক্ষীরাণীদের কাস্টমার তথা বিদেশি ট্যুরিস্টদের জন্য এমন কিছু সুযোগ-সুবিধা তৈরি করা, যাতে তারা সহজে ও নিরাপদে মক্ষীদের সান্নিধ্য এবং মেহমানদারী পেতে পারে। পৃথিবীর বহু দেশ বিভিন্ন কৃত্রিম মক্ষী তৈরি করে তা দেখিয়ে ট্যুরিস্টদের কাছ থেকে অঢেল বৈদেশিক মুদ্রা হাতিয়ে নিয়ে ধনী ও সমৃদ্ধ তথা নামিদামি হচ্ছে, প্রবৃদ্ধির হার বাড়াচ্ছে। অথচ বাংলাদেশে আমরা বাঙালিরা নিজ বুদ্ধি বা কৌশলে বিদেশিদের আকর্ষণকল্পে কোনো কৃত্রিম মক্ষীতো তৈরি করতে পারিইনি, বরং স্রষ্টার স্বহস্ত দান উপরোল্লিখিত বহু প্রাকৃতিক মক্ষীকে অবহেলা, অযতœ ও অসংরক্ষণে বিকাশের পরিবর্তে বিলুপ্ত করে দিচ্ছি। হায়রে মানব মর্জি! কেউ পায় না, আর কেউ খায় না।
বাংলাদেশের যেমনি রয়েছে বিস্তীর্ণ সমতল ভূমি, তেমনি রয়েছে পাহাড়ি-ভূমি সংবলিত বিশেষ অঞ্চল। আমার দেখা বিশ্বের উন্নত কোনো দেশে এরূপ অনুকূল বা ভারসাম্যপূর্ণ ভূমি ও জলবায়ু নেই। প্রচন্ড শীত ও বরফে প্রায়ই ঢাকা থাকে বিশ্বের বহু দেশ। অন্যদিকে চরম বিপরীত আবহাওয়া তথা এমনই উষ্ণতা দেখা যায় মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলে, যেখানে দিনের বেলায় ভূমিতে পা রাখাও দুষ্কর। তাছাড়া ঐসব দেশে বিস্তীর্ণ সমতল ভূমিও খুঁজে মেলা ভার। ব্যাপক সমতল ভূমি ও ভারসাম্যপূর্ণ বিশেষ পাহাড়ি অঞ্চলের সমন্বয়ে স্রষ্টার স্বহস্ত দানে ভরপুর বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পশ্চাৎপদতা আমাকে প্রায়ই ব্যথিত ও মর্মাহত করে তোলে।
আমাদের পার্বত্য জেলাগুলোতে গেলে বিশেষত বান্দরবান-খাগড়াছড়ি-রাঙ্গামাটি-কক্সবাজার অঞ্চলের অভ্যন্তরীণ রাস্তা ধরে দুর্গম অঞ্চলে চলাচল করলে হতাশ হতে হয়। ভেস্তে যাচ্ছে প্রাকৃতিক সম্পদ সমৃদ্ধ বিশাল এক অঞ্চল, বিস্তীর্ণ ভূমি পড়ে আছে অপরিকল্পিত ও অবহেলায়। এসব অঞ্চলকে শুধু পশ্চাৎভূমি বা হিন্টারল্যান্ড হিসেবে ফেলে না রেখে পর্যটন-আকর্ষক ও ব্যাপক কৃষি ফলনের উপযোগী অঞ্চলে পরিণত করা যায় অনায়াসেই। প্রয়োজন শুধু উদ্যোগ ও পরিকল্পনার। অস্ট্রিয়া, ইতালি ও সুইস টেকনোলজি অনুসরণে আমাদের পার্বত্যাঞ্চল যথাযথ কাজে লাগালে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জন কঠিন কিছু নয়।
থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়া ট্যুরিজম ডেভেলপ করার পাশাপাশি কৃষি-শিল্পের উন্নয়ন ও প্রসারে মনোযোগ দিয়ে এখন বিশ্ব-বাজারে কৃষিপণ্য সরবরাহে গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে নিয়েছে। কৃষি প্রধান বাংলাদেশের ফলের দোকানে গেলে দেখা যায় সেসব দোকান স্থানীয় ফলের চেয়ে বিদেশি ফল যেমন আপেল, কমলা, আঙ্গুর, নাসপাতি ইত্যাদি থরে থরে সাজানো। থাই আম-পেঁপে-তরমুজ-তেঁতুল ইত্যাকার হরেক রকমের ফল দিয়ে ক্রেতার চিত্ত হরণে সাজানো থাকে বাংলাদেশের ফলের দোকান। শুধু ফলের বাণিজ্য নয়- লাকি ব্যাম্বো প্ল্যান্ট, মানি প্ল্যান্টসহ বিভিন্ন কৃষিজ পণ্য দিয়ে বিশ্বব্যাপী ব্যাপক ব্যবসা করে যাচ্ছে থাইল্যান্ড। ইদানিং চীন ও তাইওয়ানসহ বিভিন্ন দেশও অনুরূপ কৃষিভিত্তিক শিল্প-বাণিজ্যের প্রসার ঘটাচ্ছে।
আম-কাঁঠাল-পেঁপে-লিচুর এই বাংলাদেশে অগত্যা থাইল্যান্ডের ফল বা গাছ কিনতে গিয়ে অনেক সময়ে লজ্জিত হই। কারণ, সোনা ফলনের এ দেশের সোনার সন্তানরা থাই লিলিপুটদের চিন্তা ও শ্রমে উৎপাদিত পণ্য স্বর্ণের দামে কিনে ঘরে ফিরছি। এসব মনলোভা পণ্য আমাকে শান্তি দেয় না বরং প্রায়ই আমার দিবাস্বস্তি ও নিশিনিদ্রা হরণ করে নেয়, ফেলে দেয় ভাবালুতায়। কবে এ লজ্জার মাথা খেয়ে বলতে পারব আমাদের মাথায়ও বুদ্ধি আছে, চোখ-কান আছে; আমাদেরও হাত আছে, আমরাও পারি।
একদিকে প্রকৃতির সাথে মানিয়ে সুদূরপ্রসারী ও বিজ্ঞানসম্মত পরিকল্পনা গ্রহণের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশ কীভাবে সাজিয়ে নিয়েছে তাদের দেশ ও সংস্কৃতি, অন্যদিকে তাদের চেয়ে অধিক ঐতিহ্য ও ঐশ্বর্যের অধিকারী আমরা কীভাবে চলেছি পশ্চাতে এসব কথা ভাবতে ভাবতে ৪৫ ডিগ্রি কৌণিকভাবে আকাশে চোখ রেখে বললাম হে স্রষ্টা, বিদেশের এসব ম্যানেজারদের মতো কিছু ম্যানেজার আমাদের দেশে পয়দা করে দাও না প্লিজ। স্রষ্টার নিকট আকুল প্রার্থনায় এমন আপ্লুত হয়ে পড়েছিলাম যে, রাতের আকাশ থেকে চোখ নামাতেই ইচ্ছা করছিল না। স্রষ্টার কাছ থেকে স্বীকারোক্তি আদায় করে না নিয়ে ঐ অনুভব থেকে ফিরে আসতে চাইছিল না পাগল মন।
দুর্বল ও কিংকর্তব্যবিমূঢ়দের একমাত্র অবলম্বন স্রষ্টা। এজন্যই কেউ কেউ বলে, ধর্ম হচ্ছে অসহায়দের সহায়। তাই আমার ন্যায় অসহায় বাঙালি, যারা শত শত বছরের শাসন-শোষণে জর্জরিত; অবিচারের জ্বালায় জ্বলে-পুড়ে অঙ্গার ও কয়লারূপী কবি হয়ে গেছে, কবিতায়-গদ্যে-উপন্যাসে ও কলামে যা লিখেছি, তা শুধু কাগজ আর কলমের মধ্যেই রয়ে গেছে। কাগজ শেষ হয়ে যাচ্ছে, কলমের কালি ফুরাচ্ছে, রাতের আঁধার কেটে ভোরের পূবাকাশে রক্তিম লালিমা দেখা যাচ্ছে। এ লালিমা যেন নির্দেশ দিচ্ছে আর ১০টি বছর অপেক্ষা করো, সামাজিক যুদ্ধ আরো বেগবান করে তোল; বঙ্গবন্ধুর সে কণ্ঠও যেন প্রতিধ্বনিত হচ্ছে প্রত্যেক ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোল; ...রক্ত যখন দিয়েছি আরও দেব, দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়ব, ইনশাআল্লাহ। মুক্তিযুদ্ধে যেমনি বাঁশের লাঠি দিয়ে বিজয় এসেছে, তেমনি আগামীর সামাজিক যুদ্ধেও তোর এ কলমের ভূমিকা হবে অবারিত।
উদীয়মান সূর্যের এ আশ্বাসে বিশ্বাসী হয়ে সাড়ে ৮টার অফিস প্যাসেঞ্জার আমি যখন খানিকটা তন্দ্রাচ্ছন্ন, তখন মানব মুক্তির তৃষিত চাতক কবি ফররুখ আহমদের কাব্যকথা যেন ধ্বনিত হচ্ছিল এ ভবঘুরের মরমে
রাত পোহাবার কত দেরি পাঞ্জেরী?
এখনো তোমার আসমান ভরা মেঘে?
সেতারা, হেলাল এখনো ওঠেনি জেগে?
তুমি মাস্তুলে, আমি দাঁড় টানি ভুলে;
অসীম কুয়াশা জাগে শূন্যতা ঘেরি।
রাত পোহাবার কত দেরি পাঞ্জেরী?
জাতি হিসেবে আমাদের বড় হতে হলে, শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করতে হলে জাতিগত কনসেপ্ট বা ধ্যান-ধারণার ঊর্ধ্বে উঠে আন্তর্জাতিক হতে হবে; বিশেষ জ্ঞান বা বিজ্ঞানের জ্ঞান অবলম্বন করতে হবে; আবেগী কথাবার্তা, অসার বক্তৃতা-বিবৃতি বাদ দিয়ে যুক্তিভিত্তিক, ন্যায়ভিত্তিক, জ্ঞানভিত্তিক কথাবার্তা বলায় অভ্যস্ত হতে হবে; আবেগকে বিবেক দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে। এটি পশ্চাৎপদ বাঙালির মুক্তি, উন্নতি ও অগ্রগতির একমাত্র সোপান।
শুধু আমাদের মনন ও চিন্তা ঠিক করে ফেললে এখনও সম্ভব বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে দাঁড় করানো। আমাদের রাজনীতির বরপুত্র ও সমাজপতিদের এ কথা বোঝার কিঞ্চিৎ সময় এখনো আছে আমাদের দায়িত্ব অনেক, ব্যক্তিস্বার্থ ও ক্ষুদ্র চিন্তা পরিহার করে এবং পারস্পরিক দোষারোপ ও কলহ-বিবাদ ক্ষান্ত দিয়ে আমাদের কেবল দেশের এবং শুধুই দেশের উন্নয়ন-চিন্তায় দিবা-নিশি মনোনিবেশ করা উচিত। জাতীয়ভাবে দেশপ্রেম-সততা ও সুশাসন বাড়ানো ছাড়া কোনোক্রমেই এ দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়।
২০২০ সাল থেকে ‘আমরা’ অর্থাৎ একটি প্রজন্ম, শুধুই একটি প্রজন্ম যদি এ দেশের মঙ্গলে দিন-রাত কাজ করতে থাকি, তাহলে আগামী প্রজন্মের জন্য ২০৩০ সাল নাগাদ একটি সুখী ও সমৃদ্ধশালী দেশ উপহার হিসেবে রেখে যেতে পারব বৈকি।
বর্তমান বিশ্বে পর্যটন বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের শিল্প মাধ্যম, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির আঁধার। নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি, দারিদ্র্য বিমোচন ও টেকসই উন্নয়নের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে পর্যটন শিল্প। তাই প্রকৃতির অপরূপ ক্যানভাসে সাজানো অপার সম্ভাবনাময়ী বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন ও বিকাশ এখন সময়ের দাবি।
তাই আসুন, আমরাও রবী ঠাকুরের মতো মাটির নিচে এমনিভাবে বীজ রোপণ করি, যা গাছ হয়ে রোপণকারীর কাছে অর্থাৎ আমাদের কাছেই ফিরে আসবে, রোপণকারীর কল্যাণে ফল দেবে অনন্তকাল ধরে। তাই এখনই জেগে উঠুন, সংকীর্ণতা-ক্ষুদ্রতা-ব্যক্তিস্বার্থ ঝেড়ে ফেলে আপনারই প্রিয় বংশধরদের জন্য দেশ ও জাতিগত উন্নয়নে লেগে পড়–ন। আসুন, আত্মকেন্দ্রিকতার নির্জনবাস ত্যাগ করে সহজীবী মানুষের জন্য কাজ করতে করতে সদানন্দের দিকে এগিয়ে যাই। অন্যের মঙ্গল চিন্তার এরূপ অভ্যাসে আপনার দেহ-মনে সঞ্চারিত হতে থাকবে শুধু আনন্দ, আনন্দ আর আনন্দ।
সুধী পাঠক, রবীন্দ্র-নজরুলসহ সকল কর্মবীরের এবং কর্মযোগীর অনুসারী হয়ে আমিও সবাইকে মিলনের উৎসবে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি আসুন, অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে আগামী দিনের মহান নবসভ্যতা ও নবসংস্কৃতি নির্মাণে লেগে পড়ি।