প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চিকিৎসক, নার্সসহ স্বাস্থ্য খাতে যাঁরা নিয়োজিত আছেন, তাঁদের পুরস্কৃত করা হবে। কিন্তু যাঁরা পালিয়ে আছেন, তাঁরা এই প্রণোদনা পাবেন না।
সম্প্রতি গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলার সময় এই মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী সুনির্দিষ্ট কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন। শেখ হাসিনা বলেছেন, দুঃসময় আসছে। এপ্রিল মাসে করোনাভাইরাস ব্যাপকভাবে হানা দিতে পারে। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় সবাইকে প্রস্তুত থাকতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, করোনাভাইরাস মোকাবিলায় যাঁরা জীবন বাজি রেখে কাজে নিয়োজিত, তাঁদের তিনি পুরস্কৃত করতে চান। তাঁদের তালিকা করতে বলেছেন তিনি। তাঁদের তিনি সম্মানী দিতে চান। তাঁরা বিশেষ ইন্স্যুরেন্স পাবেন। দায়িত্ব পালনকালে কেউ আক্রান্ত হলে তাঁর চিকিৎসার সব ব্যবস্থা সরকার নেবে। পদমর্যাদা অনুযায়ী ৫ থেকে ১০ লাখ টাকার স্বাস্থ্যবীমা করা হবে। প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে এই বীমা পাঁচ গুণ বাড়ানো হবে। যাঁরা করোনার সময় কাজ করছেন, জীবনের ঝুঁকি নিচ্ছেন, এই প্রণোদনা তাঁদের জন্য। আর যাঁরা পালিয়ে আছেন, তাঁরা এই প্রণোদনা পাবেন না। ভবিষ্যতে তাঁরা ডাক্তারি করতে পারবেন কি না, সে চিন্তাও করতে হবে। কেউ যদি এখন কাজে আসতে চান, তবে তিন মাস তাঁর কাজ দেখে তাঁদের কথা চিন্তা করা হবে। কাউকে শর্ত দিয়ে কাজে আনবেন না তিনি।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভিডিও কনফারেন্সে বিনা চিকিৎসায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রের মৃত্যুর বিষয়টি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, রোগী কেন ফেরত যাবে? রোগী দ্বারে দ্বারে ঘুরে কেন মারা যাবে? রোগী কোথায় কোথায় গেছে, সেসব ডাক্তারের নাম জানতে চাই।
প্রধানমন্ত্রী সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির বাইরে যাঁরা আছেন এবং করোনা পরিস্থিতির কারণে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন, তাঁদের জন্য রেশনের ব্যবস্থা করতে বলেছেন। জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে তাঁরা রেশন কার্ড করতে পারবেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এতটুকু মাটিও যেন অনাবাদি না থাকে। তিনি এ ব্যাপারে কৃষিমন্ত্রী, মৎস্যমন্ত্রীকে বলেছেন।
দুর্ভোগের সময় কেউ অনিয়ম করলে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না বলেও হুঁশিয়ার করেছেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি উপসর্গ দেখা দিলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে বলেছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, রোগ লুকাবেন না। এটা লজ্জার বিষয় না।