দুর্নীতিতে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন এরূপ
খবর পত্রিকান্তরে প্রথম দেখে বিস্মিত ও লজ্জিত হয়েছি। দেশের ৬৪ জেলা বহুবার ঘুরে এখন বিশ্ব ভ্রমণের
প্রয়াসে আছি। তাই যখনই
সুযোগ পাই বিদেশ দেখতে যাই; নানা দেশের নানা জাতের মানুষের চিন্তা-কর্ম ও সংস্কৃতি অধ্যয়নই এখন
আমার অন্যতম শখ। কিন্তু বিদেশ গিয়ে বিভিন্ন এয়ারপোর্টে কিংবা অন্যক্ষেত্রে নিজ জন্মভূমের নাম বললেই
শ্রোতার ভ্রু-কুঁচকানো
দেখে বিব্রত হয়েছি বহুবার; এমনকি বাংলাদেশি পাসপোর্ট দেখলেই খুঁটেখুঁটে জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে
হয়েছে কয়েকবার। তাদের সেই সন্দেহের কারণ ছিল জাতীয় পর্যায়ে সন্ত্রাস, রাজনৈতিক অস্থিরতা ও দারিদ্র্য। এবার সেসাথে যোগ হলো দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়নশীপ। তাই আরেক হতাশা। কিন্তু
হতাশ হলে চলবে না। আমাদের
মধ্যে অনেকে দুর্নীতিগ্রস্ত হলেও সবাইতো নই।
তাই সৎ ব্যক্তিত্বদেরকে পুরস্কারে ও পদকে অনুপ্রাণিত ও উৎসাহিত করে যথাযথ সম্মানে ভূষিত করা তথা মাথা উঁচু করে চলার
সুযোগ তৈরি করলে এবং দুর্নীতিগ্রস্তদেরকে তিরস্কৃত করতে পারলে ঘুষ-দুর্নীতি প্রতিরোধে তা হবে বিরাট সহায়ক। এ লক্ষ্যে ও বিশ্বাসে আমার সংশ্লিষ্ট
প্রতিষ্ঠান ক্যাম্পাস সমাজ উন্নয়ন কেন্দ্র অন্যান্য কর্মসূচির পাশাপাশি গ্রহণ করেছে সততা পুরস্কার ও
সততা জাগরণী কার্যক্রম, যা একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালার ভিত্তিতে পরিচালিত হচ্ছে। কিন্তু সমস্যা দাঁড়িয়েছে কোন্টি সততা আর কোন্টি অসততা, কে সৎ আর কে অসৎ এসব প্রাসঙ্গিক বিষয়ে বহুজনের বহুপ্রশ্ন! এসব প্রশ্ন ও দ্বন্দ্বের
সরল সমাধান অন্বেষায় নিশীথ নিদ্রা ভেঙে
আমার এ প্রয়াস।
সততা-অসততা
জ্ঞানার্জনে নুড়িখেলা পর্যন্ত এগোতে না পারলেও এ যাবৎ যতটুকুনই পড়াশুনা করেছি,
তাতে সুনির্দিষ্টভাবে সততার ওপর কোনো পুঁথি-পুস্তক, প্রবন্ধ-নিবন্ধ দেখা বা পড়ার সৌভাগ্য হয়নি। তাই এ বিষয়ে আমার সহজ-সরল অনুভব, অবলোকন ও বিশ্বাস শেয়ার করছি।
সততা হচ্ছে মানব চরিতের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ,
আকর্ষণীয় ও সুকঠিন বিষয়। সততা মানুষের স্থায়ী ও অপরূপ সৌন্দর্য, যা না থাকলে অন্যের কাছে তার আকর্ষণ ও কদর চিরন্তন হয় না। বলতে গেলে মানুষের সকল আচার-আচরণ দু’ভাগে বিভক্ত সৎ এবং অসৎ অর্থাৎ সততা ও অসততা।
সততার ধরনও বিভিন্নরূপী। যেমন বিশেষ সততা, সাধারণ সততা, সম্পূর্ণ অসততা, সততা নয় তবে অসততাও নয় এরূপ বা অনুরূপ।
ধরুন, কেউ আপনার কাছে তার একটি ব্যাগ রেখে গেছে বা ফেলে গেছে। অবারিত সুযোগ
থাকা সত্ত্বেও ঐ ব্যাগ থেকে কিছু নেয়াতো
দূরের কথা, ব্যাগ খুলে দেখার চিন্তা বা কৌতূহলও হয়নি বরং এরূপ চিন্তাকে অপরাধ
বলে মনে হয়েছে, তাহলে একে বিশেষ সততা বলা যায়।
ব্যাগ থেকে কিছু নেননি বটে, তবে ব্যাগ খুলে দেখার ইচ্ছা বা কৌতূহল হয়েছে; কিন্তু খোলেননি। একে মোটামুটি বা সাধারণ সততা বলা যায়।
ব্যাগ খুলে দেখার কৌতূহল হয়েছে এবং খুলে দেখেছেন, কিন্তু ব্যাগ থেকে কিছু সরাননি বা নেননি। এটি সততা নয়, তবে চট করে একে
অসততাও বলা যাবে না।
আর ব্যাগ খুলে দেখা এবং ব্যাগ থেকে কিছু নেয়া
কিংবা নেয়ার চেষ্টা বা চিন্তা হয়ে থাকলে তা হবে সরাসরি অসততা।
সততা ও অসততা কেবল কথার কথা নয়, কথার ফুলঝুরি কিংবা দোষাদোষির বিষয়ও নয়। সততা ভেতরে লালনের বিষয়, পাশাপাশি প্রমাণের বিষয়; ক্ষেত্রবিশেষে
দেখানোরও বিষয়। তবে সুদৃঢ় লালন ও প্রমাণ ছাড়া সততার দাবি তোলা আরেক অসততা ও
প্রতারণা। সততা ও অসততার নানা রূপ ও ক্ষেত্র রয়েছে। যেমন
কাজ না করা সততা নয়, বরং অন্যায় কাজে বাধা দেয়া এবং ন্যায় কাজ যথাসময়ে করাই সততা। আবার
সর্বদাই ভালোর চর্চা করা
এবং মন্দ ত্যাগ করা বা মন্দ থেকে দূরে থাকা মৌলিক সততা। তাই সর্বক্ষেত্রে ভালোকে ‘হ্যাঁ’ এবং মন্দকে ‘না’ বলতে পারাটাই এক ধরনের সততা। অন্যদিকে মুখ ফুটে বা স্পষ্ট করে সত্য কথা বলতে না পারা এক
ধরনের অসততা। এজন্যই ভালোকে ‘হ্যাঁ’ এবং মন্দকে ‘না’ বলতে অভ্যস্ত না হয়েও মিথ্যা আত্মপ্রসাদধারী কেউ কেউ নিজেকে সৎ বলে
মনে করেন। অথচ সত্যকে এড়িয়ে চলা এবং মিথ্যা ও অন্যায়ের প্রতিবাদ না করতে পারাও যে এক ধরনের অসততা,
সেটি তাদের বোধেই আসে না।
অন্যায় সহ্য করাটাও এক ধরনের অসততা। রবীঠাকুর
যথার্থই বলেছেন
অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে
তব ঘৃণা তারে যেন তৃণসম দহে।
মানুষে মানুষে বিবাদ-বিসংবাদ ও অশান্তি দেখে
সেক্ষেত্রে ভূমিকা রাখার সুযোগ থাকা সত্ত্বেও তা না করা বা এড়িয়ে যাওয়া এক ধরনের অসততা।
অন্যের কল্যাণচিন্তা এবং সেবা ও সুখ-শান্তিতে নিবেদিত থাকা সততার লক্ষ্যাভিসারী চেতনা। তাই দুর্ঘটনা কবলিত বা বিপদে নিপতিত মানুষকে উদ্ধার না করে অথবা দুস্থ-অসহায়কে সাহায্য না করে কেবল নিজ ধর্মকর্মে লিপ্ত থাকা সততা নয়।
তাছাড়া নিজের অর্জিত জ্ঞান ও শিক্ষা অন্যদের মাঝে ছড়িয়ে না দেয়ার মানসিকতাও সততা নয়।
সততা কাঁচের মতো স্বচ্ছ এবং আলোর মতো স্পষ্ট। সততা প্রদীপের আলোর সাথে আঁধারের খেলা নয়, আলো-আঁধারির লুকোচুরিও নয়; সততা দিনের আলোর মতোই তেজোদীপ্ত ও স্বচ্ছ। অসত্যের তুলনায় কেবল ভালো কিছু হলেই চলবে না, নাই দেশে ভ্যারেন্ডা বৃক্ষ হলেও নয়, সততা হবে স্বমহিমায় প্রোজ্জ্বল এক অনির্বাণ আলোকবর্তিকা।
অসত্য ও মিথ্যার জগতে সততা অপ্রিয় বা উপেক্ষিত হলেও কোনোক্রমেই তা মাথা নোয়াবার নয় বরং অবিচল ও উচ্চশির এক মহাশক্তি। সততার ঝান্ডা সর্বদাই উড্ডীন, গৌরব ও সৌরভে সততা সর্বদাই ঐশ্বরীয়। তেলেজলে না মেশার মতোই সততা সততই অসততার সাথে অবিমিশ্র থেকে যায় এবং স্বমহিমায় থাকে অকুন্ঠ ও অবিচল।
সততা চিরকালই অমলিন। ব্যাপক অসততার ভীড়ে ও দাপটে মলিন দৃষ্টি দিয়ে সততাকে আপাত ম্লান করা হলেও দীর্ঘমেয়াদে তা দিগ্্বিজয়ী ও কালজয়ী এক অপ্রতিরোধ্য শক্তি।
সৎ মানুষ সাহসী এবং অন্যের চেয়ে আলাদা। এমনকি সৎরা নিঃসঙ্গ এবং অন্য অনেকের আক্রমণের লক্ষ্যবস্তুও হতে পারে। অসৎরা সৎদের কাজের মধ্যে মহৎ উদ্দেশ্য খুঁজে নাও পেতে পারে, এমনকি সৎকে কোণঠাসা করে রাখতে পারে। সৎ হতে গিয়ে এই যে এত ব্যতিক্রম, এই যে অন্যের চেয়ে আলাদা, অন্যের ঈর্ষা ও ঘৃণা বা ভয়ের কারণ এটাইতো সততার হীরক মূল্য। তাইতো হযরত আলী (রাঃ) বলেছেন, ‘কেউ মূল্য না দিক তুমি সৎ কাজ করবে’।
একথাও মেনে নিতে হবে যে, ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও অনেকে সৎ হতে পারেন না। কারণ সততা অর্জনে চাই উপযুক্ত শিক্ষা ও অধ্যয়ন, ধর্মীয় দাওয়াই এবং নীতি-নৈতিকতার কঠোর অনুশীলন ও অনুশাসন। এরূপ গঠনমূলক, সুশৃঙ্খল ও স্বর্গীয় চেতনা এবং মত ও পথ সবার ধাতে সয় না। এ কারণে অনেকে সৎ হতে চেয়েও সততার সুকঠিন স্বরূপের সাথে খাপ খাওয়াতে বা গধঃপয করতে পারেন না। কারণ সততা লালন-পালনের জন্য যে পণ-প্রতিজ্ঞা-দৃঢ়তা ও স্বচ্ছ জ্ঞান দরকার, সেসবের অভাবে তারা সততার স্বর্ণালি আলো থেকে বঞ্চিত থেকে যান। এজন্য মাওলানা রুমি যথার্থই বলেছেন চরিত্রে যদি সত্যের শিক্ষা দীপ্ত না হয়, তবে জ্ঞান-গৌরব-আভিজাত্য ও শক্তি সবই বৃথা। মহাকবি শেখ সাদী বলেছেন যে সৎ হয়, মিথ্যা তার কোনো অনিষ্ট করতে পারে না।
এমন অনেকেই আছেন যারা সৎ হতে বা থাকতে চান, আবার অসততায় অর্জিত অন্যের ধনসম্পদ বা ক্ষমতার আস্ফালন দেখে বিভ্রান্ত হয়ে পড়েন। এরূপ বিভ্রান্তি তথা দ্বিধা-দ্বন্দ্বের কারণে তারা সততায় নিবিষ্ট হতে পারেন না; ফলে সততার অমিয় সুধা থেকে বঞ্চিত থেকে যান।
তারা বুঝতেই পারেন না যে, অমঙ্গল কর্মের টাকায় মঙ্গলজনক কাজেও মঙ্গল হয় না। তাইতো এক মনীষী বলেছেন বিভ্রান্ত-সৎরা বাইরের চাকচিক্য দেখে নিজের সততা সম্পর্কে প্রশ্নবিদ্ধ হয়; অথচ প্রকৃত জ্ঞানী সেই ব্যক্তি, যে অসৎ আয়ের চাকচিক্য দেখেও বিভ্রান্ত হয় না।
জীবনে বড় হওয়ার জন্য শিক্ষিত ও কর্মঠ হওয়া জরুরি। আবার শিক্ষা ও কর্মে সফল হওয়ার পূর্বশর্ত হচ্ছে সততা ও নিষ্ঠা (Honesty & Sincerity)। এই সততা ও নিষ্ঠা না থাকা মানুষের আর যাই হোক, শারীরিক-মানসিক সুস্থতা, আত্মার প্রশান্তি তথা ইহকাল ও পরকালে শান্তি ও স্বস্তির অমিয় সুধা উপভোগ অসম্ভব।
কারণ অসৎ ও Insincere মানুষের ঘাড়ে শয়তান জেঁকে বসে বলে সে কিছুতেই Negative emotion তাড়াতে পারে না এবং Positive চিন্তা ও কর্মে অভ্যস্ত হয় না। ফলে তার গন্তব্য যতটা না স্বর্গের দিকে হয়; তার চেয়ে বেশি হয় নরকের দিকে, প্রকারান্তরে ব্যর্থতার দিকে।
এরূপ ব্যক্তি অনেক ক্ষেত্রে বিত্ত-বৈভব ও ক্ষমতার অধিকারী হয়ে আপাত সুখের জীবন ভোগ করছে বলে বাইরের জৌলুসে মনে হয়। এদের উপরিভাগ ভালো কাপড়ে পরা ফিটফাট, আর অন্তর্জগতে সদরঘাট। একটু খতিয়ে দেখলেই কিংবা সদর থেকে অন্দরে গেলেই বোঝা যাবে ভেতরে বা অন্তর্জগতে এরা ভালো নেই, এদের জীবনের চূড়ান্ত পরিণতি সুখের হয় না; এমনকি অসততার পরিণতিতে বংশপরম্পরায়ও চলতে থাকে দুর্ভোগ-দুর্গতি। এরা যত উপরেই উঠুক না কেন, পতন অনিবার্য; উপরে উঠতে এদের যত সময়ই লাগুক না কেন, পড়ে একেবারে ধপাস হয়ে। এ বিষয়ে আমার পর্যবেক্ষণ নিম্নরূপ।
অসৎ কাজ করে সবাই বহুদূর যেতে পারে না। অসৎ কিংবা অন্যায় করার পরপরই প্রাকৃতিকভাবে তাদের ওপর বাধা আসে। ফলে দুর্ভোগে পড়ে পড়ে একসময়ে এরা বুঝতে পারে, অসৎ ও অন্যায় কাজ তাদের সইবে না। কিন্তু কিছু কিছু মানুষের ক্ষেত্রে অসততায় তেমন বাধা-বিপত্তি আসে না। ফলে এরূপ মানুষ দুর্বার গতিতে অসৎ ও অন্যায় পথে এগুতে এগুতে অ-নে-ক উপরে উঠে যায়, এমনকি শীর্ষেও। এরপরই কিন্তু ঐ ধপাসের পালা। ...যত উপরে ওঠে, নিচে পড়ার দুর্ভোগ-দুর্গতি তত বেশি; অসুখ-বিসুখ বা কারাপ্রকোষ্ঠ এদের নিত্য সঙ্গী।
আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতায় এও দেখেছি সৎ ও নিষ্ঠাবান মানুষ ব্যালেন্সড; তারা সুশৃঙ্খল-সুদৃঢ় মনের অধিকারী। অন্যদিকে চিন্তায় যাদের অসততা থাকে, তারা ভারসাম্যহীন ও বিশৃঙ্খল জীবনযাপনে অভ্যস্ত; কথাবার্তায় অসংলগ্ন। একটি প্রশ্নে বা জিজ্ঞাসার জবাবে এদের মাথা থেকে এক কথার উত্তর আসতেই চায় না। অর্থাৎ প্রশ্ন একটি করলে উত্তর আসে অনেকগুলো। এরা মূল প্রসঙ্গে থাকতেই পারে না; প্রসঙ্গ থেকে দূরে তথা অপ্রাসঙ্গিক বা আবোল-তাবোল উত্তরে অভ্যস্ত। এরা অস্থির ও দোদুল্যমান। অসততাজনিত অস্থিরতায় এদের ব্রেন প্রায়ই Hang হয়ে যায়। তাই Mind concentrate করাও এদের জন্য দুরূহ। অর্থাৎ অসততার প্রতিক্রিয়ায় এদেরকে এক ধরনের মানসিক রোগ পেয়ে বসে, যে রোগের কারণ চিকিৎসকের অনুদঘাটিত এবং নিজের কাছেও অজানা থেকে যায়। বিরূপ ও ভারসাম্যহীনতার সুদীর্ঘ মানসিক এ রোগের পরিণতিতে শরীরে তৈরি হয় কঠিন থেকে কঠিনতর রোগ; সুবাসিত স্বর্গীয় জীবন ধীরে ধীরে ধাবিত হয় নরকের দিকে।
মানুষের সুস্থতার জন্য দেহ-মনের ওপর ব্রেনের কমান্ড এবং ব্রেনের ওপর আত্মার নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা প্রয়োজন। আত্মার প্রশান্তি বা সুখ ও সমৃদ্ধি থাকলে ব্রেনের মাধ্যমে দেহ-মনকে ভারসাম্য ও সুস্থ রাখা সহজ হয়। তাই দেহ-মনের সুস্থতার জন্য আত্মার প্রশান্তি এবং আত্মার প্রশান্তির জন্য সৎ ও ন্যায়নিষ্ঠ জীবনযাপন একান্ত প্রয়োজন। মৌলিক সততা ছাড়া আত্মার প্রশান্তিলাভ অসম্ভব বা দুরূহ। সৎজীবন স্রষ্টারও প্রিয়। মসজিদ-মন্দিরের পবিত্রতায় এবং প্রস্ফুটিত ফুলের সৌরভে-গৌরবে সৎজীবন বিকশিত হতে থাকে অন্তরে।
তাই আত্মশুদ্ধির মাধ্যমে আত্মার প্রশান্তি এবং দেহ-মনে ভারসাম্য ও সুস্থতা লাভের জন্য আসুন, আমরা সবাই সততার সুমহান পথে আসি। অসৎ অহমিকা, তর্জন-গর্জন বা আস্ফালনে যেন আর বিভ্রান্ত না হই। এখন থেকে প্রার্থনা করি হে স্রষ্টা, আমাকে জ্ঞান দাও; সৎ ও সঠিকভাবে চলার পথ সুগম করো; নেক্কার বান্দাদের সাথে সাক্ষাৎ করাও, আমিন!
লেখকঃ
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস পত্রিকার সম্পাদক
ফোনঃ ৯৫৫০০৫৫, ৯৫৬০২২৫
web: www.helal.net.bd
e-mail: m7helal@yahoo.com