সরকার সমর্থক হলেও সরকারকে সর্বাত্মক সমর্থন করা শিক্ষকদের দায়িত্ব নয়। ভালো শিক্ষক হলে ভালো পড়াতে হবে।
ভালো পড়াতে হলে ভালো গবেষণা লাগবে। কিন্তু আমরা শিক্ষকরা ক্রমান্বয়ে আমাদের স্বায়ত্তশাসনের বিধিমালা লঙ্ঘন করছি, নানা কারণে। আমাদেরকে এত হেয় করে ডাকা হয় কেন? কারণ আমরাই এর সুযোগ করে দিয়েছি।
সম্প্রতি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ‘বঙ্গবন্ধু চেয়ার’ পদে যোগদানপূর্ব সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ইতিহাসবিদ অধ্যাপক ড. মুনতাসীর মামুন এসব কথা বলেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক এস এম মনিরুল হাসানের সঞ্চালনায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার। এ সময় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হন লোকসাহিত্য গবেষক ও বাংলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান।
অধ্যাপক ড. মুনতাসীর মামুন বলেন, একটি প্রতিষ্ঠান টিকে থাকে মানুষের জন্য। ইতিবাচক কাজ করলে সে প্রতিষ্ঠান সুন্দরভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়। যারা বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ নিয়ে কাজ করতে চান, তাদের জন্য আমার দরজা সবসময় খোলা থাকবে। এসময় বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে গবেষণা করতে তরুণদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. শিরীন আখতার বলেন, আমরা গত একবছর ধরে যোগ্য একজন গবেষক খুঁজছিলাম। যা অনেকেই জানতেন না। আমি বিশ্বাস করি, আমরা যোগ্য ব্যক্তিকে দায়িত্ব দিতে পেরেছি। তিনি যোগ্যতার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু চেয়ারকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাবেন। বঙ্গবন্ধুর চেতনা ছড়িয়ে দিতে হবে বিশ্বব্যাপি। আর এই কাজের জন্য প্রয়োজন বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে গবেষণা। বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু চেয়ার পদে গবেষণার মাধ্যমে উন্মোচিত হবে বঙ্গবন্ধুর নতুন নতুন তথ্য। এতেই সমৃদ্ধ হবে দেশ ও জাতি।
অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাস বিভাগের সাবেক অধ্যাপক। ২০১৬ সালে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অবসর নেন।
২০১৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘বঙ্গবন্ধু চেয়ার’ পদে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। মুনতাসীর মামুনের প্রকাশিত গ্রন্থ সংখ্যা ২২০টি। সাহিত্যের প্রায় সবক্ষেত্রে বিচরণ থাকলেও ইতিহাস তার প্রধান কর্মক্ষেত্র।