বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়ার পরে সরাসরি উপস্থিতিতে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হবে উল্লেখ করেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থীকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দ্রুততম সময়ে মধ্যে করোনাভাইরাসের টিকা প্রদানের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
শিক্ষার্থীদের টিকা দান ও হল-ক্যাম্পাস খোলা নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, টিকা প্রদানের কর্মসূচি আবাসিক শিক্ষার্থীদের দিয়ে শুরু হবে। আবাসিক শিক্ষার্থীদের টিকা প্রদানের পর হলসমূহ খুলে দেয়া হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সরাসরি ক্লাস শুরু হবে।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের ক্ষতি পূরণে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় নিজস্ব সক্ষমতা ও বাস্তবতা অনুযায়ী পুনরুদ্ধার পরিকল্পনা প্রস্তুত করে তা বাস্তবায়নে কার্যক্রম গ্রহণ করার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এ জন্য বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন থেকে একটি গাইডলাইন বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠানো হবে।
দীপু মনি বলেন, বর্তমানে সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইনে ক্লাস নেয়া হচ্ছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে অনলাইনে পরীক্ষাও নেয়া হচ্ছে।
পর্যায়ক্রমে সব জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হবে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী। সংরক্ষিত নারী আসনের ফেরদৌসী ইসলামের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত ১৬ টি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হয়েছে। যে সকল জেলায় একটিও বিশ্ববিদ্যালয় নেই সেখানে পর্যায়ক্রমে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হবে।
ননএমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির বিষয়টি বিবেচনা করা হবে বলে মন্তব্য করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। সাংসদ সহিদুজ্জামানের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তকরণ একটি চলমান প্রক্রিয়া। নীতিমালার আলোকে যোগ্যতার ভিত্তিতে এমপিওবিহীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহকে পর্যায়ক্রমে এমপিওভুক্ত করা হয়ে থাকে। যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত নয় সেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, করোনা মহামারীর ভয়াবহ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য এবং শিক্ষা ব্যবস্থাকে স্বাভাবিক ফিরিয়ে আনার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। ২০ হাজার ৪৯৯ স্কুলের মধ্যে ১৫ হাজার ৬৭৬ টি এবং চার হাজার ২৩৮টি কলেজের মধ্যে ৭০০টি কলেজে অনলাইন ক্লাস চালু করেছে। স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে অনলাইন ক্লাস নেয়া হচ্ছে।
নওগাঁ-২ আসনের শহীদুজ্জামান সরকারের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন,সারা বছরই যাতে শিক্ষার্থীরা ডিজিটাল ক্লাসে অংশগ্রহণ করতে পারে তার জন্য একটি ডেডিকেটেড চ্যানেল চালুর বিষয়টি বিবেচনাধীন রয়েছে।