পেশাগত জীবনে একজন তুখোড় এক্সিউটিভ হওয়ার বেশ শ্রমসাধ্য ব্যাপার। এর প্রয়োজনীয়তা বুঝতে হবে। থাকা চাই একাগ্রতা। সময় পাল্টে যাচ্ছে। পাল্টে যাচ্ছে শ্রেষ্ঠত্বের মাপকাঠি। আপনাকেও তাল মিলিয়ে পাল্টাতে হবে নিজেকে, এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে নিজের যোগ্যতাকে এক ভিন্ন মাত্রায়। ভালো বা বড় কোনো প্রতিষ্ঠানে চাকরি পেয়ে একজন নির্বাহী হওয়ার জন্য যেমন শিক্ষাগত যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা ইত্যাদি লাগে, তেমনি তুখোড় ও যোগ্য নির্বাহী হওয়ার জন্য দরকার অপরিহার্য কিছু গুণ। যেমন- প্রবল আগ্রহ, নানা বিষয়ে প্রশিক্ষণ, নৈতিক গুণ, নিজের দক্ষতাকে ব্যবহার করা, দরকারি বই পড়ার অভ্যাস ইত্যাদি। আর তুখোড় নির্বাহী হিসেবে নিজেকে তৈরি করলে উজ্জ্বল পেশাজীবন একেবারে নিশ্চিত।
দক্ষ নির্বাহী হওয়ার পথে যা যা মনে রাখা দরকার
= নিজের পেশা নিজের পথ।
= শিক্ষা ও অভিজ্ঞতা হবে পাথেয়।
= আপনার সময় সীমিত।
= আপনার পথ অত্যন্ত প্রতিযোগিতাপূর্ণ।
= নিজেকে হতে হবে সময়ের সঙ্গে পরিবর্তনশীল ও কৌশলী।
= প্রতিষ্ঠানের দেয়া সুযোগ কখনো হারানো যাবে না।
= দায়িত্ব নিতে যেমন আগ্রহী থাকা দরকার, তেমনি দায়িত্ব পালনের জন্য প্রয়োজন সতর্কতা, দক্ষতা ও ত্যাগ।
= যারা ধীর এবং অবিচল তাঁরা যেমন জয়ী হন, তেমনি যাঁরা দ্রুত নিরলস তাঁদের কাছে সব সময় পরাজিতও হন।
পথের প্রধান পাঁচ বাধা
১। দক্ষ নির্বাহী হওয়ার প্রয়োজনীয়তা বুঝতে না পারা বা যাঁরা ¯^প্ন দেখেন না একদিন অনেক বড় হবেন, বড় মাপের মানুষ হবেন।
২। ইচ্ছা বা আগ্রহের অভাব।
৩। একটি প্রতিষ্ঠান অত্যন্ত সফল, কথাটার ব্যাখ্যা হলো প্রতিষ্ঠানটিতে সফল মানুষের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি। তাই নির্বাহীরা যত দক্ষ, প্রতিষ্ঠানও তত শক্তিশালী। এটা সব প্রতিষ্ঠান বুঝতে চায় না।
৪। প্রশিক্ষণের গুরুত্ব বুঝতে না পারা।
৫। পেশা বিষয়ক বই পড়ার অভ্যাস নেই অনেক বড় বড় পেশাদারেরও।
আছে তার সমাধানও
= প্রতিষ্ঠানের দেয়া দায়িত্ব সফলভাবে পালন করুন। প্রশিক্ষণ নিন।
= বই পড়–ন।
= যোগাযোগ দক্ষতা বাড়ান।
= ইংরেজি ভাষায় কথা বলতে পারাই যথেষ্ট নয়; লিখতে পড়তে এবং চিন্তাও করতে হবে।
= সফল যাঁরা পরামর্শ নিন তাঁদের, অনুকরণ করুন তাঁদের পথ।
= কারিগরি দক্ষতা (কম্পিউটার, অফিসের নানা যন্ত্রপাতি ব্যবহার করার দক্ষতা) বাড়ান।
= শিখুন কীভাবে সম্পর্ক গড়ে তুলতে হয় এবং তাকে ধরে রাখতে হয়। চৌকস হোন।
= পোশাক ও আচরণে যতটা, মেধায় ও মননে হোন তার চেয়ে অনেক বেশি।
= সুশৃক্সখল হোন।