দেশসেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকা আর করা হবে না। পাবলিক পরীক্ষায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিযোগিতা ঠেকাতে আগামীতে এই উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা হবে। ৩০ মে এসএসসি এবং সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশের সময় শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এ কথা জানিয়েছেন। মন্ত্রী এ সময় বলেন, শিক্ষকদের অনৈতিক কার্যকলাপ ঠেকাতে পাবলিক পরীক্ষায় নৈর্ব্যক্তিক (এমসিকিউ) পদ্ধতি তুলে দেয়ার চিন্তা-ভাবনা হচ্ছে।
নাহিদ বলেন, অসৎ উপায়ে এমসিকিউতে ৪০ নম্বর পাওয়া সহজ হয়ে যাচ্ছে। আগামীতে এই পদ্ধতি রাখা হবে কিনা তা নিয়ে শিক্ষাবিদসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
‘কতিপয়’ শিক্ষক সিলগালা করা এমসিকিউ প্রশ্ন পরীক্ষা শুরুর আগেই হলের বাইরে পাঠিয়ে দেয়ায় শিক্ষার্থীরা সহজেই পুরো নম্বর পেয়ে যাচ্ছে বলেও স্বীকার করেন শিক্ষামন্ত্রী।
এমনই কিছু উদাহরণ তুলে ধরে তিনি বলেন, বগুড়ার আমতলী বিদ্যালয় এবং ঢাকার বি এ এফ শাহীন স্কুল অ্যান্ড কলেজে এমসিকিউ প্রশ্ন বাইরে পাঠানোর প্রমাণ পাওয়া গেছে। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এরা প্রকৃত শিক্ষক নয়, এরা ধান্দাবাজ।
সৎ উদ্দেশ্য নিয়েই সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকা তৈরি করা হচ্ছিল জানিয়ে নাহিদ বলেন, মনে করেছিলাম এর ফলে প্রতিযোগিতা সৃষ্টি হবে। কিন্তু কেউ কেউ অনৈতিক পন্থা ব্যবহার করছে।
এখন থেকে টপ-টেন বা টপ-টোয়েন্টি বলে আর কোনো ব্যবস্থা থাকবে না। তবে যারা ভাল ফল করবে তাদের অন্যভাবে প্রশংসিত করা হবে।
এসএসসির এবারের ফলে ডেমরার শামসুল হক খান স্কুল এ্যান্ড কলেজের দেশসেরা হওয়া নিয়ে প্রশ্ন ওঠে সংবাদ সম্মেলনে।
এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আরও অনেকেই সন্দেহের তালিকায় আছে। আপাতদৃষ্টিতে তারা ফার্স্ট হয়েছে বলেই ধরে নিচ্ছি। যেহেতু আপনারা প্রশ্ন তুলেছেন আমরা খোঁজ নেব।
শিক্ষা সচিব নজরুল ইসলাম খান ছাড়াও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অন্য কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন বোর্ড চেয়ারম্যানরা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।