চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এর ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, একাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি নবীন প্রকৌশলীদের জ্ঞান, বুদ্ধি, নীতি-নৈতিকতায় সমৃদ্ধ করে আমরা গড়ে তুলতে সচেষ্ট। কেবল চার বছর পর পর গ্র্যাজুয়েট তৈরি করাটাই আমাদের মূল লক্ষ্য নয়। তিনি ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের লেভেল-১, স্নাতক কোর্সে ভর্তিকৃত ছাত্রছাত্রীর ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চুয়েট’র প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর মোহাম্মদ রফিকুল আলম, পুরকৌশল অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. স্বপন কুমার পালিত, স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোঃ হযরত আলী, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন এবং রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রফেসর ড. ফারুক-উজ-জামান চৌধুরী, যন্ত্রকৌশল অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. বদিউস সালাম, তড়িৎ ও কম্পিউটার কৌশল অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মুহম্মদ ইব্রাহিম খান। সভাপতিত্ব করেন ছাত্রকল্যাণ পরিচালক প্রফেসর ড. আশুতোষ সাহা।
নবীন ছাত্র-ছাত্রীর উদ্দেশ্যে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ জাহাঙ্গীর আলম আরো বলেন, বর্তমানের ICT এর যুগে যত বেশি Computer বিষয়ক জ্ঞান আহরণ করবে ততই লেখা-পড়ার সহায়ক হবে। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে স্বল্প সময়ের মধ্যে পুরো চুয়েট ক্যাম্পাস Wi-Fi নেটওয়ার্কের আওতায় আনার কাজ চলছে। আশা করি, নবীনরা এ সুযোগ কাজে লাগাবে। এছাড়াও সবাই জেনে আনন্দিত হবে যে, বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীনে আইটি সেক্টরে উদ্যোক্তা সৃষ্টির লক্ষ্যে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে দেশের প্রথম ‘IT Business Incubator’ স্থাপন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ‘CUET IT Business Incubator’ স্থাপন কর্মসূচি সম্পাদিত হলে আইটি সংশ্লিষ্ট বিভাগসমূহ ছাড়াও বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা বিশ্বের খ্যাতানামা কোম্পানিগুলোর উদ্ভাবনী কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে পারবে। নতুন উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা আয়ে সক্ষম হবে। তিনি আরো বলেন, ছাত্র-ছাত্রীদের আবাসন সংকট সমাধান করার জন্য একটি ছাত্র হল ও একটি ছাত্রী হল নির্মাণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।