বছর ঘুরে আবারও এসেছে রমজান মাস। পরিবারের সবাই রোজা রাখছি। কিন্তু এবারের রোজায় আমাদের পরিবারের পরিবেশ কেমন যেন এক বিশেষ শূন্যতায় ভরা। কারণ আমার প্রিয় দাদুমণি নেই। গত পহেলা নভেম্বর আমাদের সবাইকে ছেড়ে তিনি চলে গেছেন, না ফেরার দেশে।
ছোটবেলা থেকেই আমাদের পরিবারে রোজার মাসটা একটু ভিন্নভাবে পালন করতে দেখছি আমি। আমার দাদু পরিবারের বয়োজ্যেষ্ঠ্য হিসেবে এই মাসে অনেক ফজিলতের কাজ করতেন। যদিও তিনি সারা বছরই বিভিন্ন ধরনের ইবাদতের মধ্যে থাকতেন, তবুও রোজার মাসে তিনি বিশেষভাবে কিছু ইবাদত বেশি করতেন, আমল করতেন -যা পরিবারের সকলের জন্য শান্তি ও মঙ্গলের।
যখন থেকে আমি বুঝতে শিখেছি, তখন থেকেই দেখেছি রমজান মাস এলেই দাদুর ব্যস্ততা শুরু হয়ে যেত। রহমত, বরকত, ফজিলত কামনায় রোজার শুরু থেকেই তিনি বিভিন্ন ধরনের নিয়ম পালন করা শুরু করতেন। যেমন- বেশি বেশি করে এবং বলতে গেলে সারাদিন কোরআন তেলাওয়াত, গরিবদের খাওয়ানো ও সাহায্য করা, পরিবারের সকলকে নিয়ে ইফতারের আগে দোয়া পড়া ও মোনাজাত করা, তারাবির নামাজের পর সকলের জন্য বেশিক্ষণ ধরে দোয়া করা এবং আমাদেরকে ডেকে ডেকে মাথায় হাত বুলিয়ে দোয়া করে দেয়া। এগুলো ছিল রমজান মাসে দাদুর নিত্যদিনের কাজ।
দাদু কোরআন তেলাওয়াতে এত দ্রুত ছিলেন যে, রোজার মাসে কখনো কখনো ২/৩ বারও কোরআন খতম দিতেন। কোরআন খতম হলে গরিব মিসকিনদের খাওয়াতেন, মসজিদে কিংবা বাসায় মিলাদ পড়াতেন।
আমাদের পরিবারে ইফতারের আগের সময়টা একটু অন্যরকম। সবাই কাজ শেষ করে ইফতারের ১৫/২০ মিনিট আগে একত্রে খাবার টেবিলে বসেন। এরপর দাদু সবাইকে নিয়ে যিকির করতেন, দোয়া পড়তেন, মোনাজাত করতেন, তারপর ইফতার গ্রহণ। এখনও সেই সব নিয়মই চালু আছে; শুধু আমার দাদু নেই।
তারাবির নামাযের পর দাদু সবসময় আমাদের তিন ভাইবোনের মাথায় হাত রেখে দোয়া করে দিতেন। এটি আমার খুব ভালো লাগত। মনে হতো সবসময় দাদুর আশীর্বাদ আমার সাথে আছে; আমার সব কাজে সফলতা আসবেই। কিন্তু এখন এ সবকিছুই অতীত। দাদুর ইন্তেকালের পর এই আমাদের প্রথম রমজান, প্রথম ঈদ। যদিও দাদুর নিয়মগুলো আমরা এখনও পালনের চেষ্টা করছি, কিন্তু দাদুর মতো করে পারি না; কক্ষনো পারব কিনা জানি না। তাঁর মতো করে বেশি বেশি কোরআন তেলাওয়াত, মোনাজাত আমরা হয়ত পারব না। তবুও চেষ্টা করছি, তাঁর দেখানো পথ অনুসরণ করেই রমজান মাসটা পালন করতে।
এই মাসের প্রতিটা দিন, প্রতিটা ইফতার, প্রতিটা সেহ্রির সময় দাদুর কথা বারবার মনে পড়ে যায়, তাঁর স্নেহভরা চেহারাটি বারবার মনের পর্দায় ভেসে ওঠে। এখনতো চাইলেও একটি বার তাঁকে দেখতে পাব না, তাঁর দোয়া নিতে পারব না।
দাদুকে যদি একবার দেখতে পেতাম, তাঁর সাথে যদি একটু কথা বলতে পারতাম -তাহলে একটি কথাই বলতাম, দাদু তুমি যেখানেই থাকো, ভালো থেকো আর আমাদেরকে আশীর্বাদ করো চিরকাল। আমরা তোমায় অনেক ভালোবাসি, দাদু।
হে আল্লাহ, তুমি আমার দাদুর আত্মাকে প্রশান্তিতে রাখো, তাঁকে বেহশত্ নসীব করো, আমীন!
খুব ভালো একটি স্কুলে আমি পড়ি; স্কুলের নাম সহজপাঠ। আমাদের এই স্কুলটি অন্যসব স্কুল থেকে একেবারেই আলাদা। পুরোপুরি ভিন্ন ধরনের এবং চমৎকার ও সহজ লেখাপড়ার একটি স্কুল এটি। পড়াশোনার পাশাপাশি আমাদের স্কুলে ...
বাবার সঙ্গে কিছুদিন আগে আমি ফারস হোটেলে গিয়েছিলাম। এ হোটেলটি বাবার অফিসের খুব কাছে। আমার বাবার অফিস হচ্ছে জাতীয় প্রেসক্লাবের কাছে, বাংলাদেশ সচিবালয়ের বিপরীতে, ৩৩ তোপখানা রোড তেরো তলায়। এটি বাবার নিজস্ব অফিস।...
আমি আমার বাবার কাছে যেটাই চাই, সেটাই দিয়ে থাকেন। তবুও আমি ভাবতে পারিনি যে, দুবাই যাবার কথা বললেই বাবা আমাকে নিয়ে যাবেন। কারণ বাবা বহুদেশ ঘুরলেও তখনো দুবাই ভ্রমণ করেননি। তবে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের ট্রান্সজিট...
লা মেরিডিয়ান, আমার দেখা বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর হোটেল। অন্য ফাইভস্টার হোটেলগুলোর চেয়ে শিল্প-সুন্দরে এটি একেবারেই আলাদা; লেটেস্ট এবং ইউনিক। বাবার সাথে আমি দু’বার এ হোটেলে থেকেছি।...
ইউরোপের উচ্চশিক্ষার একটি অবিছেদ্য শর্ত হলো আপনি আর্থিক সাবলম্বী কি না। আপনি আপনার পড়াশুনা চালিয়ে যেতে পারবেন কি না। ভিসা আবেদনের আগে আপনাকে একটা নির্দিষ্ট পরিমান টাকার ব্যাঙ্ক সলভেনসি সার্টিফিকেট ...
বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম শুনেনি এমন ছাত্র-ছাত্রী হয়ত খুঁজে পাওয়া
যাবে না। কেননা এটি এমন একটি বিশ্ববিদ্যালয় যার সাথে জড়িয়ে আছে বাংলাদেশের
জাতীয় সংগীতের রচয়িতা কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি।...
স্কুল, কলেজের পর বিশ্ববিদ্যালয়। এইচএসসির পর অলসভাবে সময় না কাটিয়ে নিজেকে ভবিষ্যতের কঠিন সময়ের জন্য প্রস্তুত করার এখনই সময়। বিশ্ববিদ্যালয় জীবন যে কোনো...