ইন্টারনেটের দাম কমানো হচ্ছে। সাধারণ মানুষের সামর্থ্যের মধ্যে ব্যান্ডউইথের দাম রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ৪১ শতাংশ কমানোর ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিসিএল)। নতুন দাম কার্যকর হলে প্রতি এমবিপিএস (মেগাবাইট পার সেকেন্ড) দাম হবে ৬২৫ টাকা। আগে এর দাম ছিল এক হাজার ৬৮ টাকা। অন্যদিকে আগামী ৬ সেপ্টেম্বর থেকে ভারতের কাছে ১০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ রফতানি শুরু করা হবে। ভারতের কাছে ব্যান্ডউইথ রফতানি করে বছরে ১২ লাখ মার্কিন ডলার আয় করতে পারবে বিএসসিসিএল। এজন্য সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ করেছে বিএসসিসিএল।
বিএসসিসিএল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মনোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, ১ সেপ্টেম্বর থেকে ইন্টারনেট গেটওয়েগুলো প্রতি এমবিপিএস (মেগাবাইটস পার সেকেন্ড) ব্যান্ডউইডথ পাবে ৬২৫ টাকায়, যার বর্তমান মূল্য ১ হাজার ৬৮ টাকা। গ্রাহক পর্যায়ে আইএসপি ও ওয়্যারলেস ইন্টারনেটের দামও তুলনামূলকভাবে কমে আসবে। তবে নতুন দাম প্রযোজ্য হবে কেবল ১০ জিবিপিএস (গিগাবাইট পার সেকেন্ড) ব্যান্ডউইডথের ক্ষেত্রে। প্রাথমিকভাবে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে এই সুবিধা কার্যকর হবে। পর্যায়ক্রমে সারা দেশে ইন্টারনেটের দাম কমানো হবে।
গ্রাহক পর্যায়ে দাম কমানোর বিষয়টি নির্ভর করবে ইন্টারনেট গেটওয়ে ও ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডরদের ওপর। দেশে ইন্টারনেটের দাম নিয়ে ব্যবহারকারীদের মধ্যে আগে থেকেই অসন্তোষ রয়েছে। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতেও ইন্টারনেটের দাম কমানোর দাবি উঠেছে বিভিন্ন সময়ে।
তথ্য প্রযুক্তিবিদরা বলেন, ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথের দাম কমানোর বিষয়টি শুভঙ্করের ফাঁকি। এর আগেও বহুবার ইন্টারনেটের দাম কমানো হয়েছে। কিন্তু গ্রাহক পর্যায়ে দাম কমেনি। গ্রাহকরা ইন্টারনেটের ব্যান্ডউইথ বেশি দাম দিয়ে কিনলেও গতি পাচ্ছে না। এটা ব্রডব্যান্ড ও ওয়্যারলেস ইন্টারনেটের ক্ষেত্রে একই অবস্থা বিরাজ করছে। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা দেয়ার পর ইন্টারনেটের দাম কমানো হচ্ছে। অথচ দেশে বাড়তি ব্যান্ডউইথ থাকার পরও ইন্টারনেটের গতি বাড়ানো হয় না। উল্টো নানা প্যাকেজের নামে ইন্টারনেটের দাম বেশি নেয়া হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে সাধারণ মানুষ কখনই ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবে না।
অন্যদিকে, আগামী বছর ডিসেম্বরে একটি কনসোর্টিয়ামের আওতায় সি-মি-ইউ-৫ বা দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবল সংযুক্ত হবে বাংলাদেশে।