বিশেষ প্রাকৃতিক চর্চা
সুস্থতা ও শতায়ু লাভের জন্য সাধারণ কিছু প্রাকৃতিক চর্চার পাশাপাশি আরো কিছু উন্নততর ও বিশেষ প্রাকৃতিক বিষয়ের চর্চা প্রয়োজন, যাতে দেহ-মনে রোগ প্রতিরোধের দুর্গ গড়ে ওঠে এবং দীর্ঘ জীবনের শক্ত ভিত তৈরি হয়। যেমন
হারবাল খাদ্যদ্রব্য
প্রাচীনকালে মানুষ প্রাকৃতিক, জৈব ও হারবাল খাবার গ্রহণ করত বলে তারা দীর্ঘজীবী হতো এবং সুস্থ-সবল ও নিরোগ থাকত। বর্তমানে আধুনিকতার লেবাসে কৃত্রিম খাদ্য-পথ্য এবং ঔষধে সয়লাব হয়ে গেছে আমাদের জীবনযাপন। সে কারণেই রোগবালাই জয়ের নানা কৌশল আবিষ্কার হওয়া সত্ত্বেও কেমিক্যাল ও কৃত্রিম খাদ্যদ্রব্য কেবল আমাদের জীবনকেই সংকটাপন্ন করে তুলছে না, সুস্থ-স্বাভাবিক জীবনযাপনকে করছে বিপর্যস্ত এবং ব্যর্থ করে দিচ্ছে শতায়ুলাভকে। এজন্যই চিন্তাশীল ও স্বাস্থ্য-সচেতনদের মুখে এমন আবেগী স্লোগান
ফিরিয়ে দাও সে অরণ্য,
প্রকৃতিতে মিশে হও ধন্য।
তাই প্রকৃতিপ্রেমী হয়ে উঠছে শুধু সচেতন বাঙালি বা এশিয়ানরাই নয়, প্রকৃতি লালনে আন্দোলনের ঝড় উঠেছে বিশ্বব্যাপী। সম্প্রতি মালয়েশিয়া সফরকালীন লংকাইউ এবং কুয়ালালামপুর এয়ারপোর্টের বিলবোর্ডে দেখলাম কারুকার্যময় লেখা There is one way to be beautiful, that is nature`s way. আসলে প্রকৃতির সাথে চললে তথা প্রকৃতির পথে পা বাড়ালেই সন্ধানলাভ করা যায় সত্য ও সুন্দরের, পাওয়া যায় স্রষ্টাকে, লাভ করা যায় পরম সুখ ও অনির্বাণ শান্তি।
প্রাকৃতিক ও প্রকৃত হতে হবে খাবার-দাবারে, কথা-বার্তায়, আচার-আচরণে, চিন্তা-চেতনায়। চিন্তায় ও আচরণে প্রকৃত ও প্রাকৃত হয়ে উন্নততর মানুষ বা Superior human being হবার উপায় সম্পর্কে ইতোমধ্যেই বলেছি। তাই সেসবের পুনরুল্লেখ না করে এখন প্রাকৃতিক খাবার ও চিকিৎসার বিষয়েই থাকি।
সর্বক্ষণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাড়ি-গাড়িতে বা যান্ত্রিক পরিবেশে না থেকে গাছগাছালির সবুজ সতেজতায় এবং ছায়া সুনিবিড় স্নিগ্ধ পরিবেশে মাঝে-মধ্যে বিচরণ নিরোগ ও ভারসাম্যপূর্ণ জীবনের জন্য বিশেষ প্রয়োজন। খাদ্যদ্রব্যের ক্ষেত্রেও তাই। যেমন কেমিক্যাল চিনির পরিবর্তে গুড়ের তৈরি খাদ্য ও মিষ্টান্ন অধিক স্বাস্থ্যসম্মত। আবার চিনি-চায়ের পরিবর্তে আদা-তুলসি-মধু বা গুড়ের চা অথবা লং-দারুচিনির চা এমনকি খালি চা পানও শ্রেয়। এভাবে প্রাকৃতিক ও হারবাল খাদ্য-পথ্যের বেষ্টনী দিয়ে জীবনকে নিরাপদ করে গড়ে তোলা উচিত।
মানবদেহের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের সাথে সাদৃশ্য রয়েছে বিভিন্ন উদ্ভিজ্জ, প্রাণিজ ও খনিজ পদার্থের। প্রকৃতি প্রদত্ত এসব উপাদানের যথাযথ ব্যবহারে রয়েছে সদৃশ্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের সুস্থতা, রোগমুক্তি ও জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন। এরূপ বা অনুরূপ কিছু উপকারী হারবাল ও প্রাকৃতিক খাদ্য-পথ্যের টিপস নিম্নরূপ।
মস্তিষ্কের জন্যঃ সুপারি, ডাব বা নারিকেল, থানকুনি পাতা, হালাল প্রাণির মগজ, আখরোট, জায়ফল, বাদাম প্রভৃতি।
চুলের জন্যঃ নারিকেল, পেঁয়াজ, কালোকেশী, কাঁকরোল, দুর্বা শিকড়, তালের আঁশ প্রভৃতি।
হার্টের জন্যঃ রসুন, টমেটো, কালো আঙুর, হালাল প্রাণির হৃৎপি-, কাজুবাদাম, স্ট্রবেরী।
রক্তের ভারসাম্যের জন্যঃ বীট, ডালিম, আঙুর, করমচা, জাফরান, লালশাক প্রভৃতি যার রং ও রস রক্তের মতোই।
ফুসফুসের জন্যঃ আঙুর, আখরোট, কালো তুলসী, বাসক, হালাল প্রাণির ফুসফুস।
কিডনির জন্যঃ শিম-বীজ, কাজু বাদাম, থানকুনি পাতা, আম-বীজ, মাশরুম, কিডনি-শিম প্রভৃতি।
লিভারের জন্যঃ আলু বোখারা, মনাক্কা, খোরমা-খেজুর, হালাল প্রাণির কলিজা, কড লিভার অয়েল, হেপাটিকা পাতা প্রভৃতি।
পিত্তথলীর জন্যঃ কালো আঙুর, কালো জাম, কালো তুলসী, কালোকেশী, নাশপাতি, অলিভ প্রভৃতি।
পাকস্থলীর জন্যঃ লাউ, কুমড়া, পেঁপে, আম, রসুন, আদা প্রভৃতি।
ত্বকের জন্যঃ দারুচিনি, কমলার খোসা, কাঁচা হলুদ, শসা, ডালিমের খোসা, ছোলা প্রভৃতি।
তাছাড়া মেরুদন্ডের জন্য মাছের লেজ ও কাঁটা, বরবটি; চোখের জন্য গাজর, কালোকেশী পাতা, কালোজিরা, কাগজী বাদাম, পেঁয়াজ, মাছের চোখ; কানের জন্য মাশরুম; জিহ্বার জন্য অর্জুন পাতা, আঙুর; হাড়ের সুষ্ঠু গঠনে অর্জুন ছাল, ঝিনুকের খোসা, চায়নিজ বাঁধাকপি, সজিনা, ঘৃতকুমারী প্রভৃতি।
প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখুন
আদা-মধু-কালোজিরা-রসুন।
রোগ প্রতিরোধে অত্যন্ত কার্যকর এবং ঔষধি গুণসম্পন্ন খাদ্য আদা-মধু-কালোজিরা-রসুন। এসব খাদ্য সহজপাচ্য এবং সর্ব ঋতুতে সহজলভ্য। নিয়ম করে প্রতিদিন এগুলো খেলে তা সুস্থ-সবল ও দীর্ঘায়ুলাভে বিশেষ সহায়ক।
আদা
আদা এখন আর শুধু মসলা হিসেবেই ব্যবহৃত হয় না, ঔষধি গুণে আদার ব্যবহার বহুমুখী ও বহুবিধ। আদা সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টেমকে উদ্দীপিত করে রক্ত পরিসঞ্চালন বৃদ্ধি ও স্বাভাবিক রাখে, সেই সাথে রক্তনালি প্রসারিত করে; ফলে শরীর গরম থাকে দীর্ঘক্ষণ।
মুখে রাখলে আদা,
রোগ সারে আধা
এ কথাটি আসলেই সত্য। আদার চর্চায় বহু রোগ নিরাময় ও প্রতিরোধ সম্ভব। মোশন সিকনেসে অব্যর্থ ও নিরাপদ ঔষধ হচ্ছে আদা। গাড়িতে উঠলে বমি আসে? আদা মুখে নিয়ে গাড়িতে চড়–ন, বমি পালাবে।
আদা টুকরা বা চিলতা করে একটু লবণ ছিটিয়ে সামান্য সরিষার তেলে মেখে ছোট চামচসহ কৌটায় ভর্তি করে সাথে রাখুন এবং কিছুক্ষণ পরপর মুখে দিন। পান-সিগারেটের বদভ্যাসের পরিবর্তেও এটি করা যায়। এরূপ আদা থেরাপিতে সর্বদা ফুরফুরে লাগবে নিজেকে। ঘুমানোর সময় মুখে দু`চিলতা আদা রেখে ঘুমান। এতে মুখে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া জমবে না, দুর্গন্ধেরতো প্রশ্নই ওঠে না; খাওয়ায় রুচি বাড়বে, বাড়বে রোগ প্রতিরোধসহ আরো বহু শারীরিক সক্ষমতা। জ্বর-সর্দি-কাশি হলে শুয়ে না থেকে অনুরূপভাবে আদা ভর্তি কৌটা সাথে নিয়ে কর্মে লেগে যেতে পারেন। পাশাপাশি নিজেই নিজেকে অটোসাজেশন দিয়ে বলুন জ্বর বা সর্দি অসুখ নয়, প্রাকৃতিক ও শারীরিক পরিবর্তন-প্রক্রিয়ার ফল; কেমিক্যাল ঔষধ দিয়ে আমি এসব প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া থামিয়ে দিতে চাই না; অন্যান্য প্রাকৃতিক চর্চার পাশাপাশি আদা থেরাপিই এসবের উপশমে যথেষ্ট..।
আদার প্রধান ঔষধি গুণ হচ্ছে এটি হজমে সহায়তা করে এবং পেটের যাবতীয় গোলমাল সারিয়ে তোলে। পিত্তথলিকে সবল রাখা এবং তাতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনাকে প্রতিরোধ করাও আদার কাজ। এছাড়া কোমর, হাঁটুসহ হাড়ের জোড়ায় ব্যথা, রক্তের কোলেস্টেরল কমানো, হৃৎপিণ্ডের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে আদা বেশ কার্যকর। বিতৃষ্ণাবোধ, সমুদ্রপীড়া, অস্বস্তি, সকালের অস্বস্তি, বিবমিষাভাব কাটাতে আদার তুলনা নেই। অতিরিক্ত ওজন কমাতেও আদা গুরুত্বপূর্ণ। সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, ক্যান্সার ও হার্টের সমস্যা প্রতিরোধেও আদার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। আর ডায়াবেটিস বা বহুমূত্র রোগে আদা ব্যবহার হয়ে আসছে প্রাচীনকাল থেকেই। গুণধর আদা তাই সবার কাছেই সমান জনপ্রিয়।
ক্যান্সার রোগীর জন্য আদাঃ অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সের চিকিৎসকরা বলেছেন, আদা খেলে ক্যান্সার রোগীর বমির উদ্রেক বহুলাংশে হ্রাস পায়। এক্ষেত্রে আদা শুকিয়ে তা পাউডারের মতো করে ব্যবহার করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
ক্যান্সার রোগীকে নিয়মিত কেমোথেরাপি নিতে হয়; যার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে বমির উদ্রেক করে। প্রতিদিন নিয়মিত ও পরিমিত পরিমাণে আদা গুঁড়ো করে চা বা অন্য কোনো খাবারের সাথে অথবা সরাসরি খেলে এ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থেকে প্রায় নব্বই ভাগ মুক্ত থাকা সম্ভব। আদার গুঁড়ো থেকে ইতোমধ্যে ক্যাপসুল তৈরি হয়েছে। কেমোথেরাপি শুরু হওয়ার পর বিভিন্ন সময়ে রোগীকে অন্তত ৬টি ক্যাপসুল খেতে দেয়া হয় পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য। আদা থেকে তৈরি ক্যাপসুলের কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই বরং শতভাগ নিরাপদ।
মধু
ঔষধ ও প্রতিষেধক হিসেবে মধুর অব্যর্থ গুণাগুণ সম্পর্কে এখন আর কেউ অবিদিত নন। মূল্যবান পথ্য-উপাদান হিসেবেই নয়, রোগ প্রতিষেধক বা ঔষধ হিসেবেও ভেষজ শাস্ত্রে মধুর ব্যবহার বহুকাল ধরে প্রচলিত রয়েছে। প্রাচীন গ্রীকরা মনে করত, বিধাতার দেয়া অন্যতম মূল্যবান দান মধু। রোমান চিকিৎসকগণ মধুকে সর্বরোগের মহৌষধ বলে বিবেচনা করতেন। আধুনিক বিজ্ঞানের যুগেও মধু বিশেষ স্থান দখল করে রেখেছে।
ফুল থেকে মিষ্টিরস বা মকরন্দে উদর ভরিয়ে মৌমাছিরা আশ্রয় নেয় মৌচাকে। এসব মৌমাছির পেটে উৎপাদিত হয় নানারকম এনজাইম। সেই এনজাইমগুলো ফুলের মিষ্টিরসে দ্রবীভূত হয়ে বিভিন্ন খাদ্যোপাদান সংবলিত মধু প্রস্তুত করে। এজন্য মধু বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধক; এর প্রতিষেধ ক্ষমতাও অনেক বেশি।
চিকিৎসাবিদ ও বিশেষজ্ঞদের মতানুযায়ী মধু সেবনের কিছু টিপস নিম্নরূপ
সর্দি ও ঠান্ডা রোগেঃ সর্দি ও ঠান্ডাজনিত রোগের জন্য সামান্য গরম দুধের সাথে (১ গ্লাস দুধে ১ টেবিল চামচ মধু) কিংবা লেবুর রসে (১০০ গ্রাম মধুর সাথে ১টি লেবুর রস) মিশিয়ে মধু খেতে হয়। একটি ভালো প্রতিকারক হচ্ছে ১ঃ১ অনুপাত সজিনার রস ও মধুর সিরাপ।
হৃদরোগেঃ দৈনিক ৫০ থেকে ১০০ গ্রাম অর্থাৎ গড়ে ৭০ গ্রাম মধু ১ থেকে ২ মাস যাবৎ খেলে হৃদরোগী আপনাআপনি সুস্থ হয়ে ওঠে; রক্তের উপাদান স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে; হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বেড়ে যায় এবং হৃদসংবহন নালিকার পেশীটানের উন্নতি হয়।
আলসার রোগেঃ আলসারের চিকিৎসার জন্য আহারের দেড়/দুই ঘন্টা পূর্বে অথবা তিন ঘন্টা পরে মধু খাওয়া উচিত। খাওয়ার আগে মধু পানিতে মিশিয়ে নেয়া উচিত। পাকস্থলী ও পিত্তাশয়ের রোগে এটি চমৎকার ফলপ্রসূ।
মূত্রাশয় রোগেঃ মূত্রাশয় রোগ নিরাময়ের জন্য মূলার রসে মধু মিশিয়ে সেবন করা যায়।
স্নায়বিক দুর্বলতায়ঃ যারা স্নায়বিক অবসাদে ভুগছেন, তাদের উচিত ১ গ্লাস পানিতে অর্ধেক লেবুর রস ও পরিমিত মধু মিশিয়ে খাওয়া বা রাতে ঘুমানোর পূর্বে ১ টেবিল চামচ মধু খাওয়া।
ফুসফুসের রোগেঃ সকালে ও রাতে মধুর সঙ্গে গোলাপ ফুলের পাপড়ি বেটে খেলে যক্ষ্মা রোগের উপশম হয় এবং কফ-কাশি দূর হয়।
চোখে মধু ব্যবহারঃ চক্ষুরোগে মধু কার্যকর ঔষধ হিসেবে দীর্ঘকাল ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কাজলের মতো করে বা ড্রপ হিসেবে দিনে দু`বার মধু ব্যবহার করা যেতে পারে।
শিশুর বৃদ্ধিতেঃ মধুতে গ্লুকোজ লেবলোজ থাকায় শিশুর শারীরিক বৃদ্ধি ও মানসিক বিকাশে মধুর অবদান অপরিমেয়। এজন্য শিশুকে দিনে ২/৩ বার ১ চামচ মধু খাওয়ানো উচিত। খাঁটি মধুর নিয়মিত ব্যবহার শিশুপুষ্টির ঘাটতি পূরণ এবং ঠান্ডা ও সর্দি-কাশিসহ নানা রোগ প্রতিরোধ করে।
মধু প্রকৃতির বিশেষ দান। এক গ্লাস দুধ বা গরম পানির সাথে ১/২ টেবিল চামচ মধু নিয়মিত সেবন খুবই উপকারী ও রোগ নিরাময়ক এবং তা সকালে ও রাতে হলে বেশি ভালো। দিনে ৫০ থেকে ১০০ গ্রাম পর্যন্ত মধু সেবন বিধেয়।
বিশুদ্ধ মধু সবসময় ও সব বয়সের মানুষের আদর্শ খাদ্য। মধু গরম খাদ্য বলে সহজে ও তাড়াতাড়ি হজম হয় এবং ক্লান্তি দূর করে। মধুতে এন্টিবায়োটিক গুণাগুণ থাকায় নিয়মিত মধু ব্যবহারে শরীরের ক্ষতিকর জীবাণু ধ্বংস হয়ে যায় এবং শরীর সুস্থ থাকে। খাঁটি মধু সেবনে বয়োবৃদ্ধ মানুষের কর্মক্ষমতা বাড়ে এবং আয়ু বৃদ্ধি পায়। ধুমপানজনিত ক্ষতি পূরণে মধু যথেষ্ট অবদান রাখে। এটি শরীরে তাৎক্ষণিক শক্তি যোগায় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। মধু রোগ নিরাময়কারী, বলবর্ধক ও যৌবন সংরক্ষক। অম্লতা ও আন্ত্রি¿ক রসের নিঃসরণকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনে মধু। গবেষকদের মতে, মধু ক্যান্সার প্রতিরোধী; মধুতে এমন এক ধরনের এন্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা ক্যান্সার ও হার্ট এটাকের ঝুঁকি কমায়। মধু মিষ্টি হলেও এটি বিস্ময়করভাবে ওজন কমাতে সহায়তা করে। তারুণ্য ধরে রাখতেও মধু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, ত্বককে রাখে সজীব। মধুতে এন্টিঅক্সিডেন্ট থাকার কারণে ক্ষতিকর আল্ট্রাভায়োলেট প্রতিরোধ করে, যার কারণে মানুষের ত্বকে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে যায়। আয়ুর্বেদিক ও ইউনানী চিকিৎসায় মধু অন্যতম উপাদান। শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা সব ঋতুতেই রোগ প্রতিরোধক হিসেবে মধু অত্যন্ত কার্যকর। তাই আপনার খাবার টেবিলে মধু রাখুন নিয়মিত।
চলবে
সুস্থতা ও শতায়ুলাভে
প্রাকৃতিক চর্চা ও চিকিৎসা
Be your own Doctor-এ বইটির
পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ৩৪৬, মূল্যঃ ৩৫০ টাকা
প্রাপ্তিস্থানঃ ক্যাম্পাস পত্রিকা অফিস
৩৩ তোপখানা রোড, ১৩ তলা, ঢাকা।
ফোনঃ ৯৫৫০০৫৫, ৯৫৬০২২৫