জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. হারুন-অর-রশিদ ৩০শে মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের সম্মেলন কক্ষে কলেজ শিক্ষকদের ৮৯তম ব্যাচের প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের সমাপনী অনুষ্ঠানে সনদ বিতরণকালে প্রধান অতিথির ভাষণে বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি সম্পূর্ণ সেশনজটমুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে একটি ক্রাশ প্রোগ্রামের আলোকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যখন অগ্রসর হচ্ছিল, ঠিক সেই অবস্থায় দেশের কতিপয় বিরোধী দলের দীর্ঘ প্রায় ৩ মাস ধরে হরতাল-অবরোধ ও পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে প্রাণহানির মত নৃশংস ঘটনা আমাদের সকল আয়োজন-উদ্যোগকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে। দেখা দিচ্ছে সেশন জটের নতুন সম্ভাবনা। সারা দেশে এস এস সি, এইচ এস সি বা সমমানের পরীক্ষাসহ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের লক্ষ লক্ষ পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা ও শিক্ষার্থীদের নির্বিঘেœ ক্লাস চালিয়ে যাওয়ার কথা বিবেচনায় না এনে যারা সংকীর্ণ রাজনৈতিক স্বার্থে মাসের পর মাস শিক্ষা ও পরীক্ষা বিধ্বংসী কর্মসূচি পালন করে, তারা দেশ ও জাতির শত্রু। লক্ষ লক্ষ শিক্ষার্থী ও পরীক্ষার্থী তথা দেশের ভবিষ্যতের কথা বিবেচনায় রেখে আর অনিশ্চয়তার মধ্যে বসে না থেকে আমরা যে-কোনো প্রতিকূল অবস্থার মধ্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজসমূহে ক্লাস নেয়া ও পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এ অনুষ্ঠানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আসলাম ভূঁইয়া, অধ্যাপক ড. মুনাজ আহমেদ নূর, ট্রেজারার অধ্যাপক মোঃ নোমান উর রশীদ, কোর্স উপদেষ্টা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ আখতারুজ্জামান, একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক ড. নূরুল ইসলাম নাজেম বক্তব্য রাখেন।
সভায় স্নাতকোত্তর শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্র এর ডিন (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. মোঃ আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন, রেজিস্ট্রার, বিভাগীয় প্রধানসহ প্রশিক্ষণার্থীগণ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, হিসাববিজ্ঞান, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি, ভূগোল ও পরিবেশ বিষয়ে ৯৬ জন কলেজ শিক্ষক চার সপ্তাহ ধরে এ প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন।