২০১৫ সালে মাধ্যমিক পাস করা চার হাজার ২৫ জন মেধাবী শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দিয়েছে ডাচ-বাংলা ব্যাংক। ৭ নভেম্বর রাজধানীর মিরপুরে ইনডোর স্টেডিয়ামে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ বৃত্তি দেয়া হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি বলেন, বৃত্তি প্রকল্প দেশের দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের কল্যাণে আর্থিক খাতের অনন্য দৃষ্টান্ত। এর চেয়ে মহৎ কাজ আর হতে পারে না। শিক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরে মুহিত বলেন, প্রত্যেক শিক্ষার্থী ভবিষ্যতে কি হতে চায় সেটা নির্ধারণ করে ফেলা দরকার। উচ্চ মাধ্যমিকে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য ঠিক করে সেদিকে ধাবিত হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
বিশেষ অতিথি আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ডাচ-বাংলা ব্যাংকের শিক্ষাবৃত্তি বাংলাদেশের মানচিত্রে উজ্জ্বল নক্ষত্র হয়ে থাকবে। সুবিধা বঞ্চিত অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের সহযোগিতায় অন্যান্য প্রতিষ্ঠানেরও এগিয়ে আসা উচিত।
বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার হাইকমিশনার বেনওয়া পিয়ের লাঘামে বলেন, সুবিধা বঞ্চিত ছাত্র-ছাত্রীদের এ বৃত্তি প্রদান শুধু ভাল কাজই নয় এটা বিচক্ষণ বিনিয়োগও। এ বৃত্তি এখন একজনের উপকার করলেও ভবিষ্যতে তা পুরো সমাজের জন্য উপকারে আসবে। দেশ উপকৃত হবে। এছাড়া ডাচ-বাংলা ব্যাংক নারী শিক্ষায় যে বৃত্তি দিচ্ছে তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
সভাপতির বক্তব্যে ব্যাংকের চেয়ারম্যান সায়েম আহমেদ বলেন, জন্মলগ্ন থেকে ডাচ-বাংলা ব্যাংক শিক্ষা-স্বাস্থ্য ও সুবিধা বঞ্চিত জনগোষ্ঠীর পুনর্বাসনে কাজ করে যাচ্ছে। ভবিষ্যতে সব ধরনের সমাজকল্যাণমূলক কাজে অংশগ্রহণের চেষ্টা করা হচ্ছে। এ সময় ব্যবস্থাপনা পরিচালক কে এস তাবরেজও উপস্থিত ছিলেন।
সামাজিক কল্যাণ কার্যক্রমের বা সিএসআরের আওতায় এ উচ্চমাধ্যমিক ও স্নাতকসহ বিভিন্ন পর্যায়ে অধ্যয়নরত মেধাবী ও আর্থিক অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের মাঝে এই বৃত্তি দিয়ে আসছে ব্যাংকটি। শিক্ষাবৃত্তির ৯০ ভাগ গ্রামাঞ্চলের শিক্ষার্থীদের এবং ৫০ ভাগ ছাত্রীদের দেয়া হয়। ১৯৯৮ সাল থেকে এই বৃত্তি দিয়ে আসছে ডাচ-বাংলা ব্যাংক। এবার সহ এ পর্যন্ত মোট ৩৬ হাজার ৪১০ জন শিক্ষার্থীকে এই বৃত্তি দেয়া হয়েছে।