বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এন্ড টেকনোলজি (বি ইউ বি টি) এর পক্ষ থেকে ১৯ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর নির্মাণ তহবিলে দশ লক্ষ টাকার চেক প্রদান করা হয়। রাজধানীর সেগুন বাগিচায় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে অনুদান গ্রহণ অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের অন্যতম ট্রাস্টি মফিদুল হকের হাতে অনুদানের চেক হস্তান্তর করেন বিইউবিটি ট্রাস্টের সম্মানিত চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. শফিক আহমেদ সিদ্দিক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর মোঃ আবু সালেহ।
অনুদান গ্রহণ অনুষ্ঠানে বক্তব্যের শুরুতে প্রফেসর মোঃ আবু সালেহ বলেন, আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছি, আমাদের শিরায় শিরায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরাজমান। এই চেতনা সঠিকভাবে নতুন প্রজন্মের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে হবে। স্বাধীনতার ৪০ বছরের বেশি সময় পরেও মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে যে তর্ক হচ্ছে তা জাতির জন্য অত্যন্ত দুঃখজনক বলে তিনি মন্তব্য করেন। একটু দেরিতে হলেও মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের নিজস্ব ভবন তৈরি হচ্ছে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে এই কাজে অংশগ্রহণ করতে পারায় তিনি আনন্দ প্রকাশ করেন। তিনি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক ডকুমেন্টারী প্রদর্শনের মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মকে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ করার জন্য মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
প্রফেসর ড. শফিক আহমেদ সিদ্দিক বলেন, বাঙ্গালী জাতির ইতিহাস হাজার বছরের ইতিহাস। আমাদের সবচেয়ে গর্বের বিষয়, আমরা যুদ্ধ করে স্বাধীনতা এনেছি। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে বিইউবিটি প্রথম অনুদান প্রদান করার মাধ্যমে এই মহান কাজে অংশগ্রহণ করতে পারায় তিনি গর্বিত বলে জানান। তিনি আশা করেন, এরই ধারাবাহিকতায় অন্যান্য বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় উৎসাহী হলে আরও বেশ কিছু অনুদান আসবে এবং এর মাধ্যমে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীগণ মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতে পারবে। এ বিষয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্টতা খুবই জরুরি এবং এ বিষয়ে এগিয়ে আসা তাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য বলে তিনি মনে করেন।
মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের অন্যতম ট্রাস্টি মফিদুল হক বলেন এই অনুদান কেবলমাত্র টাকা নয়, এটা একটা নতুন দুয়ার উন্মোচন। তিনি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে সর্বপ্রথম অনুদান দেওয়ায় বিইউবিটি কর্তৃপক্ষকে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ দেন।