বিশেষ খবর



Upcoming Event

সুস্থতা ও শতায়ুলাভে প্রাকৃতিক চর্চা ও চিকিৎসা, পর্ব ১৫

ক্যাম্পাস ডেস্ক বিশেষ নিবন্ধ

॥ পূর্ব প্রকাশিতের পর -১৫ ॥
ডাবের পানির হরেক গুণ
ডাবের পানি অতি সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যকর। এতে কোনো চর্বি নেই, আছে ক্যালরি। প্রতিকাপ ডাবের পানিতে রয়েছে ৪৬ ক্যালরি, রয়েছে প্রাকৃতিক চিনি ও মিনারেল। উচ্চমাত্রার ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম ও ফাইবারে পরিপূর্ণ ডাবের পানি। শরীরে লবণ-পানির চাহিদা পূরণ করে শরীরকে প্রাণবন্ত রাখে এটি। ডাবের পানি পান করা মানে শরীরে জমে থাকা টক্সিন (বিষাক্ত পদার্থ) ধুয়ে ফেলা। ডাবের লবণ-পানির তড়িৎ সংযুক্তি মানুষের দেহে রক্তরসের মতো কাজ করে। এ পানি বারবার ক্ষুধার অনুভূতি কমায় এবং খাওয়াও কম হয়; আর তাতে শরীরের ক্যালরি ঠিক থাকে এবং ওজন কমে। ডাবের পানি শরীরের বমি বা বমিভাব নিয়ন্ত্রণ করে, জীবাণুনাশক হিসেবে কাজ করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, রক্তে অক্সিজেন ও তরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, হজম ভালো হয় এবং অকাল বার্ধক্য দূর করে, হৃদরোগের ঝুঁকি ও রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়, রক্তে এইচএলডি বাড়ায়। খাওয়ার আগে ও পরে ডাবের পানি পান করলে উপকার বেশি পাওয়া যায়।
সন্তান নিতে চান, চা খান
যেসব নারী বিয়ের পর মা হতে চাচ্ছেন কিন্তু কোনোভাবেই স্বপ্ন পূরণ হচ্ছে না, তাদের জন্য সুসংবাদ হলো চা-জাতীয় গরম পানীয় নিয়মিত পান করলে গর্ভধারণের সম্ভাবনা রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টন ইউনিভার্সিটির গবেষকরা জানান যেসব নারী প্রতিদিন অন্তত দুই কাপ গরম চা বা কফি পান করেন, তাদের গর্ভধারণের সম্ভাবনা যারা চা বা কফি পান করেন না, তাদের চেয়ে অন্তত ২৭ শতাংশ বেশি। গরম পানীয় নারীদেহের ভেতর গর্ভধারণের জন্য প্রয়োজনীয় উর্বরতা বৃদ্ধি করে। গর্ভধারণের পরও দিনে দু-তিনবার চা পান করলে মায়ের সন্তান জন্মদান প্রক্রিয়া ভালো হয়ে থাকে।
এভাবে চা-জাতীয় গরম পানীয় পানে নারীর গর্ভধারণের যেমন সম্ভাবনা রয়েছে, তেমনি ফিজি বা গ্যাসযুক্ত কোমল ঠান্ডা পানীয় নিয়মিত পানে গর্ভধারণের সম্ভাবনা বহুলাংশে কমে যায় বলেও গবেষণা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
বহুবিধ উপকারে গ্রিন টি এবং র’টি
দি ইউনিভার্সিটি অব ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া এবং বহুজাতিক কোম্পানি ইউনিলিভারের বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন দিনে ৩ কাপ র’টি পান করলে রক্তচাপ কমে এবং হৃদযন্ত্র ভালো থাকে। চায়ে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ পলিফেনল ও এন্টিঅক্সিডেন্ট, যা শরীরে ক্যান্সার কোষের বেড়ে ওঠা ঠেকায় এবং অন্যান্য রোগে প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। র’টি পানে যাদের অসুবিধা হয়, তারা গ্রিন টি পান করতে পারেন। গ্রিন টি শরীর ও দাঁতের জন্য খুব উপকারী পানীয়। এতে প্রচুর পুষ্টিগুণ রয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে, চায়ের পলিফেনল এন্টিঅক্সিডেন্ট দাঁত ও মাড়ির বিভিন্ন সমস্যা দূর করে। এছাড়া এতে রয়েছে ফ্লোরাইড, যা দাঁতের ক্ষয়রোধ করে। তাই দাঁতের ক্ষয়রোধসহ মাড়ি ও দাঁতের বিভিন্ন সমস্যা এড়াতে দিনে অন্তত ৪ থেকে ৫ কাপ গ্রিন টি পান করুন।
আমাদের দেশে চায়ের সঙ্গে দুধ মিশিয়ে পান করে বেশিরভাগ মানুষ। কিন্তু গবেষকরা বলছেন চায়ের মধ্যে দুধ মেশালে দুধের প্রোটিন চায়ের এন্টিঅক্সিডেন্টের সঙ্গে মিশ্রিত হয়ে চায়ের গুণ নষ্ট হয়ে যায়। দুধ রক্তনালির কার্যকলাপের ওপর চায়ের স্বাস্থ্য হিতকরী গুণের বিরুদ্ধাচরণ করে। তাই স্বাস্থ্য কুশলের জন্য দুধ-চা’র পরিবর্তে র’টি, গ্রিন টি পানের পরামর্শ দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
শীতে আদা-চায়ের উপকারিতা
চা নানাভাবে প্রস্তুত করা হয়। আদা বা অন্যান্য মসলা দিয়ে তৈরি চায়ের রয়েছে সুখ্যাতি ও জনপ্রিয়তা। এ ধরনের চা শুধু জনপ্রিয় নয়, উপকারীও। সম্প্রতি গবেষকরা জানিয়েছেন, শীতকালে আদা-চা সবচেয়ে উপকারী। আদা-চা সব ধরনের মানসিক চাপ দূর করে। শীতকালে শ্বাসকষ্টের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করে আদাযুক্ত চা। একই সঙ্গে ফুসফুসের সমস্যা দূর করতে এ চা অনন্য। রক্ত সঞ্চালনের স্বাভাবিক গতিকে সহায়তা করার পাশাপাশি হালকা জ্বর-কাশি দূর করতে আদা-চায়ের জুড়ি নেই। শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে এ চা। পাকস্থলির সমস্যা ও হজমের অসঙ্গতি দূর করে আদা-চা।
পানি ও বাতাস গ্রহণে সতর্কতা
মানুষের বেঁচে থাকার জন্য যে দু’টি উপাদান সর্বাধিক অত্যাবশ্যকীয়, তা হচ্ছে বাতাস ও পানি। যে বস্তু যত শক্তিশালী ও যত গুরুত্বপূর্ণ, তা তত সূক্ষ্ম এবং তত প্রাকৃতিক। যেমন পরমাণু শক্তি, ইথার, নিউক্লিয়াস, ডিএনএ ন্যাচার। সেজন্যই আমাদের নিত্য প্রয়োজনীয় অন্যান্য খাদ্য-দ্রব্যের তুলনায় পানির আকার-আয়তন ও রূপ অস্পষ্ট। পানি যে পাত্রে থাকে বা রাখা হয়, সে পাত্রের আকারই ধারণ করে। পানির রং বা রূপ না থাকলেও তার অস্তিত্ব চোখে দেখা যায়। অথচ পানির চেয়ে বাতাসের গুরুত্ব অনেক বেশি, কিন্তু তা চোখে দেখাই যায় না।
পানি ও বাতাস এ দু’টি প্রাকৃতিক উপাদানে কত রকমারী চড়বিৎ ও ঊহবৎমু যে রয়েছে, যার বহুকিছু এখনও মানুষের অজানা। আমরা বেঁচে থাকার জন্য হাজার হাজার রকমের জিনিস বা উপকরণ গ্রহণ করে থাকি; তন্মধ্যে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ যে উপকরণ না হলে ১ মিনিটের জন্যও বেঁচে থাকা সম্ভব নয়, তা হচ্ছে বাতাস।
মার্কনি’র রেডিও আবিষ্কারের পূর্বে বায়বীয় উপাদান ইথারের কথাতো মানুষ জানত না। অথচ এখন ইথারের মতো উপাদানকে কাজে লাগিয়ে রেডিও-টিভি ছাড়াও চলছে সেলফোন, ব্লু-টুথ, ওয়াই-ফাই ইন্টারনেট; আদান-প্রদান হচ্ছে টেক্সট, পিকচার, ভিডিও, আরও কত কি! এ যাবৎ আবিষ্কৃত সর্বাধিক গতিশীল যানবাহনগুলো কিন্তু বাতাসেই উড়ে চলে। তাই বাতাসের ব্যবহার যে কত রকমারি ও কত উপকারী এবং তাতে যে কত কোটি কোটি শক্তি ও উপাদান রয়েছে তা হাজার বছর ধরে বিজ্ঞানীদেরকে কৌতূহলী করে রেখেছে এবং রাখবে।
অনুরূপভাবে পানির যে কত রকমারি ব্যবহার এবং কত বেশি প্রয়োজনীয়তা রয়েছে, তা বলে শেষ করার নয়। অথচ এ পানিই যদি বিশুদ্ধ না হয়ে দূষিত হয়, তাহলে তা কত যে জীবনঘাতি তার হিসাব কে রাখে। তাইতো বিশুদ্ধ পানির অপর নাম জীবন; আর দূষিত পানির অপর নাম মরণ। নিঃসন্দেহে বলা যায় যে, সুস্থতা ও শতায়ু লাভের জন্য বিশুদ্ধ পানি ও বায়ু অত্যাবশ্যক। বাজারের ভেজাল পানি না খেয়ে ঘরে ফিল্টারিং করা পানি পান করুন, খাবারের পানি সেদ্ধ করবেন না।
আমরা বোতলজাত পানিকে বেশি নিরাপদ মনে করি, এটি ভুল ধারণা। ব্রিটিশ গবেষকদের মতে, বোতল তৈরির উপাদানগুলো পানিতে এমন কিছু রাসায়নিক পদার্থ ছড়িয়ে দেয়, যা পরে সংক্রমণ ছড়ানোর কারণ হয়ে ওঠে। ট্যাপের পানিতে এ ঝুঁকি থাকে না।
বিশুদ্ধ বাতাস যেমনি সুস্বাস্থ্যের জন্য আশীর্বাদ, দূষিত বায়ু তেমনি অভিশাপ। বাতাসের অতিরিক্ত কার্বন ও সালফার বিশেষত চিমনী ও যানবাহনের ধোয়া, শিল্প-কারখানার বর্জ্য ও গ্যাসসহ বিভিন্ন দূষিত ও বিষাক্ত পদার্থ আমাদের নাক-মুখ দিয়ে শরীরে ঢুকে পড়ে। এতে কেবল সাধের শরীরকেই নয়, মরমী জীবনকেও নিঃশেষ করে দিচ্ছে। তাই এসব বায়বীয় বিষাক্ত পদার্থ থেকে আত্মরক্ষা যদিও দুরূহ, তবুও যতটা সম্ভব বাহিরে যাবার সময়ে নাক-মুখে মাস্ক ব্যবহার করা উচিত। তাছাড়া গন্তব্যে গিয়ে এবং বাহির থেকে ঘরে ফিরে পানি দিয়ে নাক-মুখ ভালো করে পরিষ্কার করা উচিত। প্রতিদিন সকাল-বিকাল ৫/১০ মিনিটের জন্য হলেও গাছগাছালির স্নিগ্ধ আবেশে গিয়ে নাক দিয়ে গভীর নিঃশ্বাস নিয়ে কিছুক্ষণ ধরে রেখে তারপর মুখ দিয়ে ধীরে ধীরে ছাড়–ন। ক্যাম্পাস পরিচালিত ফ্রি ইয়োগা কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে অনুলোম-বিলোম, ভস্ত্রিকাসহ বিভিন্ন আসন অনুশীলন করুন। সুস্থতা ও শতায়ু লাভের জন্য এসব দৈনন্দিন অভ্যাস অত্যাবশ্যক।
ঠান্ডা পানি কিংবা বরফ না খাওয়া এবং ফ্রিজের সর্বনিম্ন ব্যবহার
বরফজাতীয় খাবার ও ঠান্ডা পানি পেটের সহায়ক নয়। আমাদের পেটের ভেতরটা সর্বদাই থাকে উষ্ণ; তন্মধ্যে বরফ বা ঠান্ডা পানি ঢোকালে প্র্রতিক্রিয়া হওয়াই স্বাভাবিক। তাই সম্ভব হলে কুসুম গরম পানি, আর না হলে স্বাভাবিক পানি খাওয়া উচিত। সে কারণেই রোদ বা গরম থেকে ঘরে ফিরে ঠান্ডা পানি খেলে এর প্রতিক্রিয়াস্বরুপ সাথে সাথেই সর্দি-কাশি বা জ্বর হতে পারে। ফ্রিজের খাবার এবং এসির অতি ঠান্ডা বাতাস এড়িয়ে চলা উচিত। কারণ এগুলো প্রাকৃতিক নয় বরং কৃত্রিম; তাই প্রাকৃতিক ও অর্গানিক শরীরে অপ্রাকৃতিক ও কেমিক্যাল জিনিসের প্রভাবে দীর্ঘমেয়াদে বিভিন্ন রোগ সৃষ্টি হয়।
ফ্রিজের খাবার সর্বোচ্চ ৭ দিন পর্যন্ত খাওয়া যায়। প্রতিদিন বাজার করা ও রান্না-বান্না সম্ভব হলে ঘরে কোনো ফ্রিজ না রাখাই অধিক স্বাস্থ্যবান্ধব। ফ্রিজে সংরক্ষিত খাদ্য গ্রহণের কারণে স্বল্পমেয়াদে সাধারণ রোগ এবং দীর্র্ঘমেয়াদে কঠিন রোগ তৈরি হয়।
সুস্থতার জন্য হাত ধোয়ার অভ্যাস
সাবান দিয়ে নিয়মিত হাত ধোয়ার অভ্যাস সুস্থ থাকার জন্য জরুরি। এটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বা রুচিবোধের প্রাথমিক অনুষঙ্গ। ডায়রিয়াজাতীয় রোগ প্রতিরোধে স্বল্প ব্যয়ের সহজ উপায় হচ্ছে সাবান দিয়ে নিয়মিত হাত ধোয়ার অভ্যাস। এই একটি সুঅভ্যাসেই বেঁচে যাবে অনেক জীবন। এ জরুরি অভ্যাস গড়ে তোলার প্রয়োজনেই চালু হয়েছে ‘বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস’।
শুধু নিজের হাত ধুলেই হবে না, পরিবারের অন্য সদস্যদেরও বিশেষত যারা খাবার প্রস্তুতের সাথে জড়িত, তাদের মধ্যেও এ অভ্যাস তৈরি করাতে হবে। তাই বাড়ির আয়া-বুয়াদেরকে নিয়মিত সাবান সরবরাহ এবং তাদের হাত ধোয়া ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকার বিষয়ে নজরদারি করা সবার সুস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত জরুরি।
কেবল খাওয়ার পূর্বে হাত ধুলেই চলবে না, যতবার টয়লেট ব্যবহৃত হয়, ততবার অবশ্যই সাবান দিয়ে হাত ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে। তাছাড়া খাবার ধরা-ছোঁয়ার পূর্বে হাত ধোয়া তথা হাত ও চামচ পরিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। এ বিষয়টি পরখ করার উদ্দেশ্যে খাবার প্রস্তুতের সময়ে অনেককে আমি জিজ্ঞেস করেছি যে, হাত ধুয়েছেন কিনা; তাদের বেশিরভাগ থেকেই বিরক্তিসূচক ও কৌশলী উত্তর পাওয়া গেছে। তারা উত্তর দেন যে ‘তখন’ হাত ধুয়েছি; অর্থাৎ তারা অনেক কাজের পূর্বে যে হাত ধুয়েছেন, সেটা বোঝানোর চেষ্টা করেন। হাত ধোয়ার পর যে তারা অনেক কাজ করেছেন এবং এখন খাবার নেয়া বা ধরার পূর্বে যে পুনরায় হাত ধোয়া প্রয়োজন এ বিষয়টি তাদের অভ্যাসগত নয় বলে অত্যাবশ্যকীয় এ প্রসঙ্গটি তারা সুকৌশলে এড়িয়ে যেতে চান। শিক্ষা-দীক্ষা ও ব্যক্তিগত রুচি-বুদ্ধির অভাবে বহু মানুষের মধ্যে আমি এরূপ আচরণ ও বদভ্যাস দেখেছি। উন্নত ও উন্নয়নশীল জাতিরা কীভাবে এ অভ্যাস রপ্ত করেছে, সেই সম্পর্কে বিবৃত হয়েছে আমার লেখা ‘ন্যায়ভিত্তিক সমাজ এবং আলোকিত জাতির সন্ধানেঃ বাংলাদেশ ও বিশ্ব অধ্যয়ন’ গ্রন্থে।
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ঈমানের অঙ্গ ছোটবেলায় সুর করে মুখস্ত করা এ বিদ্যার পরিপূর্ণ পালন তথা কাজে লাগানোয় এখন সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে; বিশেষত এর অর্জন ও অভ্যাসে পরিণত হতে হবে রুচিশীল ও স্মার্টদেরকে; সামাজিক দায়িত্ব হিসেবে রপ্ত করাতে হবে শিশু ও অশিক্ষিত জনগোষ্ঠীকে। চলবে।
সুস্থতা ও শতায়ুলাভে
প্রাকৃতিক চর্চা ও চিকিৎসা Be your own Doctor-এ বইটির
পৃষ্ঠা সংখ্যা ঃ ৩৪৬, মূল্যঃ ৩৫০ টাকা
প্রাপ্তিস্থানঃ ক্যাম্পাস পত্রিকা অফিস
৩৩ তোপখানা রোড, ১৩ তলা, ঢাকা।
ফোনঃ ৯৫৫০০৫৫, ৯৫৬০২২৫


বিশ্ববিদ্যালয় কম্পাস পত্রিকার সংখ্যা সমূহ

আরো সংবাদ

শিশু ক্যাম্পাস

বিশেষ সংখ্যা

img img img