রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ বলেছেন, দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন যুদ্ধে জয়লাভের জন্যই কৃষি ও কৃষকের উন্নয়ন অপরিহার্য। কেননা, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন ও স্থিতিশীলতা সংরক্ষণে কৃষির ভূমিকাই মুখ্য।
তিনি আরও বলেন ২০২১ সালের মধ্যে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর সংখ্যা শতকরা ১৫ ভাগে নামিয়ে এনে বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করতে বর্তমান সরকার ‘রূপকল্প-২০২১’ ঘোষণা করেছে।
২৩ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন মিলনায়তনে সপ্তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, বাকৃবিতে হাওড় ও চর উন্নয়ন ইনস্টিটিউট স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে যা নিঃসন্দেহে বিশ্ববিদ্যালয়ের গতিশীলতার পরিচয় বহন করে।
এর আগে, শোভাযাত্রা শেষে সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আলী আকবর। সমাবর্তন বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ ও ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকের উপাচার্য অধ্যাপক ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী।
এছাড়াও সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান, উপস্থিত ছিলেন বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ এমপি, সিন্ডিকেট সদস্য আব্দুল মান্নান এম.পি. প্রমুখ।
সমাবর্তন বক্তা হিসেবে শিক্ষাবিদ ও ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকের উপাচার্য অধ্যাপক ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী বলেন, গত এক দশকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ উল্লেখ্যযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। অত্যন্ত অল্প সময়ের মধ্যে এ দেশে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ১৩ কোটিতে পৌঁছেছে। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা পৌঁছেছে প্রায় ৫ কোটিতে। সম্ভব হয়েছে তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে মাঠপর্য্যায়ে কৃষকদের কাছে বিভিন্ন ই-সেবা পৌঁছে দেয়া।