সম্প্রতি কারমাইকেল কলেজ অডিটরিয়ামে এক মতবিনিময় সভায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. হারুন-অর-রশিদ সভাপতির বক্তব্যে বলেন, এ বছরের নভেম্বর মাসে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হবে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত রংপুর বিভাগের সকল কলেজ অধ্যক্ষদের সঙ্গে ‘জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালন ব্যবস্থা ও শিক্ষার মানোন্নয়ন’ বিষয়ে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বিভিন্ন কলেজের ২২০ জন অধ্যক্ষ এই সভায় অংশগ্রহণ করেন। সভার শুরুতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ নোমান উর রশীদ শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন। এছাড়াও প্রফেসর অধ্যক্ষ মোঃ আনোয়ার হোসেন, অধ্যক্ষ সরোয়ার মানিক, অধ্যক্ষ আবু বকর সিদ্দীক, অধ্যক্ষ রাশেদা খাতুনসহ ২৮ জন সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বক্তব্য রাখেন।
এরপর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার শাখা প্রধান মোঃ মুমিনুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালনার ক্ষেত্রে সফ্টওয়ার তৈরিসহ এ পর্যন্ত গৃহীত উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরের মাধ্যমে তুলে ধরেন।
হারুন-অর-রশিদ বলেন, নভেম্বর মাসে আমাদের সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে কনভোকেশন রেজিস্ট্রেশনের কাজ শুরু হয়েছে। আশা করছি, এটি হবে দেশের মধ্যে সর্ববৃহত্তম ও ব্যতিক্রমধর্মী সমাবর্তন। তবে তথ্য-প্রযুক্তি সমৃদ্ধ বিশ্বমানের গ্র্যাজুয়েটস্ তৈরি করতে কলেজসমূহে শিক্ষার মানোন্নয়নই এখন আমাদের অগ্রাধিকার এবং এ লক্ষ্য অর্জনে সকলকে সর্বশক্তি নিয়োগ করতে হবে।
তিনি বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে সেশনজট মুক্ত, বিকেন্দ্রিকৃত ও তথ্য-প্রযুক্তি নির্ভর একটি উন্নত, মানসম্মত ও গতিশীল উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে বর্তমান প্রশাসন বিগত ৩ বছর ধরে কাজ করে আসছে। ফলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় দেশের ৩৮টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে প্রায় সর্বক্ষেত্রে একটি আইটি-নির্ভর বিশ্ববিদ্যালয়।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেন, সেশনজট মোকাবেলায় আমরা বিশেষ একাডেমিক প্রোগ্রাম নিয়েছি। দ্রুত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় হবে সেশনজট মুক্ত। এখন আমাদের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে কলেজ শিক্ষার মানোন্নয়ন।