বিশেষ খবর



Upcoming Event

ক্যাম্পাস পরিচালিত ফ্রি ইংলিশ কোর্সের সনদ বিতরণ করেন খন্দকার আসাদুল ইসলাম রিপন

ক্যাম্পাস ডেস্ক ক্যাম্পাস’র অনুষ্ঠান
img

Smart & global youth generation গড়ে তুলতে ক্যাম্পাসর সুদূরপ্রসারী উদ্যোগ ফ্রি ইংলিশ কোর্স। গত ২৬ এপ্রিল ক্যাম্পাস অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় ফ্রি ইংলিশ কোর্সের ১১তম ব্যাচের সনদ বিতরণ অনুষ্ঠান। এতে প্রধান অতিথিছিলেন ক্যাপিটাল মার্কেটের সৃজনশীল প্রতিভা, সুদক্ষ ও সফল প্রশাসক, এলায়েন্স ক্যাপিটাল এ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং সিইও খন্দকার আসাদুল ইসলাম।

বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস পত্রিকার সম্পাদক ও ক্যাম্পাস সোস্যাল ডেভেলপমেন্ট সেন্টার (সিএসডিসি) এর মহাসচিব এম হেলালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিশ্ব পারিবারিক ভালোবাসা আন্দোলনের চেয়ারপার্সন, সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের বিশ্বব্যাংক বিষয়ক কনসালটেন্ট তাজকেরা খায়ের; বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ, সরকারের পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা প্রণয়ন কমিটির সদস্য ড. নাজনীন আহমেদ; প্রোএকটিভ এন্ড পজিটিভ এটিচিউড আন্দোলনের প্রবক্তা ড. আলমাসুর রহমান; ফ্রি ইংলিশ কোর্সের রিসোর্স পার্সন এম জি কিবরিয়া; কেন্দ্রীয় কচি-কাঁচার মেলার উপদেষ্টা, শিশু সংগঠক মোহাম্মদ মোস্তফা প্রমুখ। অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন ক্যাম্পাসর শিক্ষানবিশ আনতারা রাইসা ও জসিম উদ্দিন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রধান অতিথিকে পুষ্পমাল্যে বরণ করে নেয়া হয় এবং তাঁকে শুভেচ্ছা হিসেবে ক্যাম্পাসর জ্ঞানমেলা সিরিজে প্রকাশিত ৭টি বইয়ের সেট, ক্যাম্পাসর নিজস্ব গবেষণায় প্রকাশিত ২টি মডেল ও বিভিন্ন সিডির সেট এবং ক্যাম্পাসর স্যুভেনির প্রদান করা হয়। সৃজনশীল, সুদক্ষ ও সফল প্রশাসক খন্দকার আসাদুল ইসলামকে ক্যাম্পাসর সম্মাননা ক্রেস্ট অর্পণ করেন সিএসডিসির মহাসচিব এম হেলাল। অনুষ্ঠানে ফ্রি ইংলিশ কোর্সের রিসোর্স পার্সন এম জি কিবরিয়াকে বিশেষসম্মাননা পুরস্কার দেয়া হয়।

এরপর ইংলিশ কোর্স সমাপনকারী ট্রেইনীদের মধ্যে সার্টিফিকেট বিতরণ করেন প্রধান অতিথি। সনদ বিতরণ শেষে শুরু হয় বক্তৃতা পর্ব।

ক্যাম্পাস ছাত্র-তরুণদের প্রকৃত শিক্ষা দিচ্ছে। সে শিক্ষা নিয়ে আপনারা ফিন্যান্সিয়াল জগতের লিডার হিসেবে আবির্ভূত হবেন

খন্দকার আসাদুল ইসলাম

প্রধান অতিথি ক্যাপিটাল মার্কেটের আইকন, কর্মসফল, অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব খন্দকার আসাদুল ইসলাম বলেন ক্যাম্পাস আয়োজিত অনুষ্ঠানে আমার যোগদানকে আমি Remarkable momentum বলে উল্লেখ করতে চাই। কারণ অত্যন্ত সৃজনশীল, আশাজাগানিয়া একটি প্রতিষ্ঠানের অনুষ্ঠানে আমি এসেছি। তিনি বলেন, আমি সবসময় আমার ল্যাপটপ সাথে নিয়ে আসি; প্রতি মুহূর্তকে ধরে রাখার চেষ্টা করি, যা জীবন থেকে হারিয়ে যেতে পারে। Life is short, but beautiful. এই স্বল্প সময়ের জীবনে আমাদেরকে Achive এবং Earn করতে হবে। প্রোএকটিভনেস গ্রহণ এবং রিএকটিভনেস বর্জন করতে হবে। আমাদের সাফল্য ও অর্জনকে নিয়ে যেতে হবে আইফেল টাওয়ারের উচ্চতায়। আমাদেরকে অপটিমিস্টিক থাকতে হবে, পেসিমিসটিক আইডিয়া বর্জন করতে হবে।

ট্রেইনীদের উদ্দেশ্যে ইসলাম বলেন If you can change yourself, then you can change your family & your country. Emotion is the part of life and  important which is to be deposited. তাই এটিকে সঠিকভাবে পরিচালিত করতে হবে এবং নিজকে ইতিবাচকভাবে বদলাতে হবে। তিনি আরও বলেন, A word can change the world. কর্মক্ষেত্রে সাফল্যের জন্য তাঁর মতে গুরুত্বপূর্ণ হলো Efficiency, Relevancy Ges Adaptability, এর সাথে সততার চর্চা অর্থাৎ আমরা যে পেশায় নিয়োজিত হতে চাই সে বিষয়ে Efficient হওয়ার সাধনা করতে হবে। আমি যে উদ্যোগ নিচ্ছি তা আমার পেশার জন্য Relevant কিনা তা বুঝতে হবে এবং অবস্থার পরিবর্তনের সাথে নিজকে Adapt বা খাপ খাইয়ে নিতে হবে। আমাদেরকে যোগ্য, সাহসী এবং উদ্ভাবনী শক্তিসম্পন্ন হতে হবে। আমরা দক্ষতার পরিচয় দিয়ে Culture & Society এর সাথে যদি Adaptable হতে পারি তাহলে আমাদের আত্মবিশ্বাস জাগবে,  উদ্ভাবনী শক্তি ও সৃজনশীলতা বাড়বে। এতে আমরা যোগ্য হয়ে গড়ে উঠতে পারব। তিনি আরও বলেন পেছনে কী ছিল, তা না ভেবে সামনে কী আছে তা দেখতে হবে। আমাদের পজিটিভ চিন্তা থাকতে হবে। তিনি উদাহরণ টেনে বলেন আমরা যখন খেলতে যাই, তখন আমাদের মানসিকতা থাকতে হবে To win the match. কিন্তু এমন মানসিকতা থাকা উচিত নয় যে, have come here not to loss the match.. আমাদের Ambition থাকতে হবে, কিন্তু কোনোভাবেই Over ambitious হওয়া চলবে না। আমাদের Ambition হবে শুধুু একদিনের অর্জন নয়, বরং দীর্ঘদিনের।

ক্যাম্পাস আপনাদেরকে যুগোপযোগী প্রকৃত শিক্ষা দিচ্ছে; আপনারা কর্মজীবনে একদিন Financial leader হিসেবে আবির্ভূত হবেন এ ব্যাপারে আমি আশাবাদী। ক্যাম্পাস গর্ব ও গৌরবের সাথে বলতে পারে যে, আমাদের প্রশীক্ষণার্থীরাই একদিন দেশপরিচালনায় নেতৃত্বে আসবে। তিনি এও বলেন, আপনারাই ক্যাম্পাসর এম্বাসেডর হিসেবে কাজ করবেন এবং ক্যাম্পাসর আদর্শ অন্যদের মাঝে ছড়িয়ে দিবেন।

প্রধান অতিথি আরও বলেন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসর সম্পাদক এম হেলাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হিসাব বিজ্ঞানের ন্যায় কঠিন বিষয়ে অধ্যয়ন করে অন্য লোভনীয় পেশায় যেতে পারতেন,  সহজেই অনেক অর্থ-বিত্তের মালিক হতে পারতেন; কিন্তু তিনি এসেছেন কঠিন পথে দেশ ও সমাজকে জাগাতে, আলোকিত জাতি গড়তে। তিনি সময়ের আলোক বর্তিকা, আমাদের প্রেরণাদায়ী ব্যক্তিত্ব। 

খন্দকার আসাদুল ইসলাম নিজের সম্পর্কে বলেন, আমি জাতীয় পর্যায়ের দাবা খেলোয়াড় ছিলাম। তখন একজন বিখ্যাত দাবাড়আমাকে বলেছিলেন, Don’t copy the game of a Grand Master, but play like a Grand Master.

তিনি ক্যাম্পাসর উদ্ভাবনী কাজের প্রশংসা করে বলেন এটি একটি অসচ্ছল, কিন্তু মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের গড়ে তোলার প্ল্যাটফরম। এ প্ল্যাটফরম থেকেই আগামী দিনের প্রতিভা এবং নেতৃত্ব বিকশিত হবে।

তাজকেরা খায়ের

বিশ্ব পারিবারিক ভালোবাসা আন্দোলনের চেয়ারপার্সন তাজকেরা খায়ের বলেন, ক্যাম্পাস জীবনমুখী নানা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। জীবনে কীভাবে পরিবর্তন আনা যায়, ক্যাম্পাস তা শেখায়। কবিতার চরণ উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, ‘উষর মরুর ধূসর বুকে যদি একটি শহর গড়, একটি মানুষ মানুষ করা তার চেয়েও অনেক বড়’ -ক্যাম্পাস  সেই কাজটিই করছে; তারা আলোকিত মানুষগড়ে তুলছে। এখানে হয় আদর্শ মানুষের সমাবেশ। ক্যাম্পাস থেকে আমি নিজেও অনেক কিছু শিখেছি, এখনও শিখছি। স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও সুশাসনের শিক্ষা দেয় ক্যাম্পাস। ক্যাম্পাসর আলো বিশ্বময় ছড়িয়ে পড়ক এটি কামনা করি। তাই আমাদের সবাইকে ক্যাম্পাসর সহযোগিতায় এগিয়ে আসতে হবে।

ড. নাজনীন আহমেদ

বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ, ক্যাম্পাস সোস্যাল ডেভেলপমেন্ট সেন্টারের অনারারী রিসার্চ ডিরেক্টর ড. নাজনীন আহমেদ বলেন আজকের অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সংগ্রাম করে পড়ালেখা করেছেন। তিনি চাকরিতে কিছু অভিজ্ঞতার পর নিজস্ব ঠবহঃঁৎব গড়ে তুলেছেন। তিনি একটি গতিশীল টিমের নেতৃত্ব দেন, যারা ফাইন্যান্সিয়াল মার্কেটের সাথে নিজেদের ক্যারিয়ার গড়ে তুলছে। তিনি মূলত পুুঁজি বাজারে তাঁর দক্ষতা, অভিজ্ঞতা ও সৃজনশীলতার মাধ্যমে গত ২০ বছর ধরে কাজ করে চলেছেন। তাঁর আজকের এ সাফল্যের মূল চাবিকাঠি হচ্ছে কাজের প্রতি অদম্য ভালোবাসা।

তিনি বলেন প্রধান অতিথি ছাত্র-তরুণদের ভালোবাসেন বলে অনেক মূল্যবান সময় ব্যয় করে আজকের অনুষ্ঠানে এসেছেন। আজকের সভার সভাপতি এবং প্রধান অতিথি দুজনই নিরন্তর সাধনা ও পরিশ্রমের মাধ্যমে নিজেদেরকে সাধারণ অবস্থা থেকে আজকের অবস্থানে নিয়ে এসেছেন, যা ছাত্র-তরুণদের কাছে আদর্শ ও অনুকরণীয় বিষয়।

ট্রেইনীদের উদ্দেশ্যে ড. নাজনীন আহমেদ বলেন আপনারা ইংলিশ কোর্সে যে প্রশিক্ষণ নিলেন, তা নিয়মিত প্র্যাকটিস করতে হবে।

ড. আলমাসুর রহমান

প্রোএকটিভ এন্ড পজিটিভ এটিচিউড আন্দোলনের প্রবক্তা ড. আলমাসুর রহমান বলেন, বড় চিন্তা করলে বড় ফল আসে। মানুষের চিন্তা বাস্তবরূপ লাভ করলে সে চিন্তা হয় সার্থক। একজন বিদেশি গুণীজন বাঙালিদের লক্ষ্য করে বলেছিলেন তোমরা এত ভালো, কর্মঠ, দায়িত্ববান; কিন্তু তোমরা হাসো না কেন, তোমাদের দেশের ৯০% ভাগ মানুুষ বিরক্তভাব নিয়ে থাকে কেন! ড. আলমাস বলেন, হাসিমুখে সাক্ষাৎ একটি নেকির কাজ। ১৫ সেকেন্ড হাসিমুখে থাকলে ২দিন আয়ু বেড়ে যায়! পজিটিভ হরমন থেকে Positive thought এর উৎপত্তি। ভালো চিন্তা নিয়ে দিন শুরু হলে সারাদিনই ভালো থাকা যায়। প্রধান অতিথি খন্দকার আসাদুল ইসলাম তার জলন্ত প্রমাণ। তাঁর অনুকরণীয় জীবন থেকে ট্রেইনীরা শিক্ষা গ্রহণ করবেন বলে আমি মনে করি।

এম জি কিবরিয়া

ফ্রি ইংলিশ কোর্সের রিসোর্স পার্সন ছাত্র-বৎসল প্রশিক্ষক এম জি কিবরিয়া বলেন, আজকের অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি আসাদুল ইসলাম একজন Energetic এবং Delightful ব্যক্তিত্ব। আমি আমার প্রিয় স্টুডেন্টদের বলব সফল কর্মজীবনের অধিকারী প্রধান অতিথিকে অনুসরণ করতে। তিনি বলেন স্টুডেন্টরা যখন ক্লাস শুরু করেন, তখন তাদেরকে দেখি এক রকম; দুতিনটা ক্লাসের পর তাদের মধ্যে পরিবর্তন লক্ষ্য করি। এটি আমাকে বেশ উৎসাহিত করে। ছাত্র-ছাত্রীদের সার্টিফিকেট প্রাপ্তিই শেষ নয়, তাদেরকে নিয়মিত প্র্যাকটিস করতে হবে, বাড়াতে হবে জ্ঞানের পরিধি।

এম হেলাল

বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস পত্রিকার সম্পাদক এবং সিএসডিসির মহাসচিব এম হেলাল বলেন, আজকের অনুুষ্ঠান আমাদের কাছে অনেক শিক্ষণীয়। অনেকের সংশয় ছিল ভূমিকম্প-পরবর্তী সময়ে অনুষ্ঠান হবে কি হবে না, তা নিয়ে। আমি বলেছি অনুষ্ঠান হবেই, আমরা স্রষ্টার করুণা প্রার্থনা করব, কিন্তু হাত গুটিয়ে বসে থাকব না।

তিনি বলেন, প্রধান অতিথি খন্দকার আসাদুল ইসলাম সৃজনশীলতা ও সাফল্যের বার্তাবাহী নন্দিত ব্যক্তিত্ব। তিনি ছাত্র-তরুণদের অনুকরণীয়। তিনি পেশায় একজন ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকার। বয়সে তরুণ হলেও তিনি অভিজ্ঞতায় ঋদ্ধ। অর্থ নিয়ে সৃজনশীল প্রতিভা বিকাশের পথঘাট দেখিয়ে তিনি তরুণ ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে যাচ্ছেন সম্ভাবনার পথে। প্রতিটি মানুষেরই সৃজনশীল প্রতিভা থাকে। এটিকে কীভাবে দক্ষতা ও সততার সাথে কাজে লাগানো যায়, সে বিষয়েও তিনি গুরুত্ব দেন। তাঁর সৃজনশীলতা ও সাংগঠনিক দক্ষতা আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় আমাদেরকে একসাথে কাজ করতে হবে, কেননা একসাথে কাজ করার লক্ষ্যই হচ্ছে সঠিক গন্তব্যে পৌঁছানো। আমাদের ছোট ছোট অভিজ্ঞতাগুলো কাজে লাগিয়ে বড় অর্জনকে ছিনিয়ে আনতে হবে। এভাবে সময় ও সুযোগের সঠিক ব্যবহার করে আমাদেরকে এগিয়ে যেতে হবে। ক্যাম্পাসকে ঘিরে যে কর্মীবাহিনী গড়ে উঠছে ২০২০ সালের মধ্যে জ্ঞানভিত্তিক সমাজ ও আলোকিত জাতিগঠন আন্দোলনে তারা নিবেদিত থাকবে।


বিশ্ববিদ্যালয় কম্পাস পত্রিকার সংখ্যা সমূহ

আরো সংবাদ

শিশু ক্যাম্পাস

বিশেষ সংখ্যা

img img img