২০১৮ সাল একটি ভাল বছর হবে বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। এটি হবে স্বস্তির বছর। আগামী বাজেট হবে গতানুগতিক, নতুন কোনো ট্যাক্স আরোপ করা হবে না।
সম্প্রতি সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে বিদায়ী বছর ২০১৭ এবং নতুন বছর ২০১৮ নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। রোহিঙ্গা, জাতীয় নির্বাচন, ব্যাংকিং খাতের অস্থিরতাসহ বিভিন্ন ইস্যুতে কথা বলেন অর্থমন্ত্রী। এ সময় অর্থসচিব মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। নতুন বছরে ব্যাংকিং খাতে আস্থার সঙ্কট হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ব্যাংকিং খাতে কোনো ঝুঁকি নেই। ব্যাংক ফেল করার কোনো চান্স নেই। সুতরাং আস্থার সঙ্কট হবে না। রোহিঙ্গা ইস্যুতে অর্থমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের জন্য একটি পরিকল্পনা করা হচ্ছে। সেখানে বিদেশি, সরকারি-বেসরকারিভাবে সাহায্য করা হচ্ছে। তাদের (রোহিঙ্গা) টাকা দিতে হবে। দাতাদের কাছে সাহায্য চাচ্ছি, দেখি কি আসে। তিনি বলেন, মিয়ানমার বলেছে-তারা কিছু লোক নেবে। নেয়ার মধ্যে নানা কথা-বার্তা আছে, কিছু হিন্দু নেবে। এ সময় রোহিঙ্গা ইস্যুর সমাধানে রাখাইনে স্বতন্ত্র রোহিঙ্গা জোন করা প্রয়োজন বলে জানান তিনি। অর্থমন্ত্রী বলেন, ২০১৭ সালে কোনো সহিংস হরতাল হয়নি। কোনো মারাত্মক কিছু ঘটেনি। মানুষের স্বস্তি অনেক উচ্চ মাত্রায় উঠে এসেছে। সোস্যাল সিকিউরিটি খুবই ভাল।
চালের দাম নিয়ে প্রশ্নের জবাবে মুহিত বলেন, এটা ব্যবসায়ীদের কারণে হয়েছে, এটা হওয়া উচিত না। আমরা চেয়েছিলাম চালের দাম একটু বাড়ুক। যেন কৃষক দাম কিছুটা বেশি পায়। ৩৮ থেকে ৪০ টাকার মধ্যে থাকা উচিত ছিল। ব্যবসায়ীরা সেটা ৬০ পর্যন্ত নিয়ে গেছে। তবে এক্ষেত্রে সরকারের কোন গাফিলতি নেই বলে মনে করেন তিনি। তবে দাম শীঘ্রই নেমে আসবে বলে জানান তিনি।