প্রায় সব মানুষই সফলতার পেছনে ছোটে। কিন্তু এদের মধ্যে খুব কম মানুষই শেষমেশ সফলতা পায়।
আর এটাই স্বাভাবিক। যারা সত্যিকারার্থে সফল হয়, এর মধ্যে বেশ কয়েকটি বৈশিষ্ট্য লক্ষ করা যায়। সেই বৈশিষ্ট্যগুলো কী, তাই নিয়ে আজকের আয়োজন-
১. সত্যিকারার্থে প্রতিষ্ঠান চালানোঃ শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার ক্ষেত্রে ব্যবসায়িক নীতি কিংবা অর্থনীতি কী বলে, সেই তত্ত্ব অনেকেই জানে। কিন্তু সেগুলোকে কাজের মাধ্যমে বাস্তবে রূপ দেওয়া কঠিন। খুব কম মানুষই এটা করতে পারে। আর যারা পারে, তারাই সফল। অর্থাৎ সফলরা শুধু মুখের বুলি দিয়েই শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান গড়ার স্বপ্ন দেখে না।
২. নিজের কাজ ভালোবাসেনঃ টিম কুক, মার্ক জাকারবার্গ কিংবা সত্যেয়া নাদেলাকে যদি প্রশ্ন করা হয়, আপনারা কী নিয়ে বেঁচে আছেন? জবাবে তাঁরা অ্যাপল, ফেসবুক ও মাইক্রোসফটের কথাই বলবেন। অর্থাৎ নিজের পেশার প্রতি তাঁদের ভক্তি আছে।
কাজকে তাঁরা ভালোবাসেন। প্রতিষ্ঠানের পণ্য ও সফলতা নিয়ে তাঁরা আবেগতাড়িত এবং গর্বিত।
৩. নিজস্ব পদ্ধতি আছেঃ সফলরা যে পন্থায় নেতৃত্ব দেন এবং যে কর্মসংস্কৃতি গড়ে তোলেন, তা অন্যের অনুকরণ নয়। এ বিষয়ে তাঁরা সৃষ্টিশীল। নিজস্ব কর্ম আদর্শ দ্বারা পরিচালিত হন সত্যিকারের সফল ব্যক্তিরা। মন ও বিবেকের কথা শোনেন। নতুন কোনো উপায় সৃষ্টিতে আন্তরিক থাকেন।
৪. জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা বোঝেনঃ কারো একার পক্ষে সব কিছু জানা সম্ভব নয়। প্রকৃত অর্থে সফলরা নিজের জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে সচেতন থাকেন। তাঁদের অহংবোধ থাকতে পারে; কিন্তু যা জানেন না, তা অকপটে মেনে নিতে তাঁদের কোনো দ্বিধা নেই।
৫. সফলতায় তুষ্ট ননঃ সফল ব্যক্তিরা কখনো আত্মতুষ্টিতে ভোগেন না। তাই বলে তাঁরা অসন্তুষ্টি নিয়ে কাজ করেন, এ কথাও বলা যাবে না। তাঁরা মূলত আরো বেশি সফল হতে চান। আরো ভালো কিছুর প্রবণতা তাঁদের মধ্যে কাজ করে। তাই তাঁরা যেকোনো সফলতাকে গ্রহণ করে একে আরো এগিয়ে নিতে অগ্রসর হন।
৬. খ্যাতির লোভ নেইঃ অবশ্যই মার্ক কিউবান বা ডোনাল্ড ট্রাম্পকে মিডিয়ার বদৌলতে প্রায়ই দেখা যায়। কিন্তু সত্যিকারের সফলকামীরা খ্যাতি কুড়াতে চান না। যদি অর্থ ও খ্যাতি উভয়ই কাম্য হয়, তবে হয়তো অন্য কিছু ঘটে যেতে পারে।
৭. জ্ঞান বিক্রি করেন নাঃ সফল মানুষরা নিজের অভিজ্ঞা নিয়ে বই লেখেন। কোনো ব্লগেও নিয়মিত থাকতে পারেন। তাঁরা নিজের অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান ছড়িয়ে দিতে ইচ্ছুক থাকেন। আবার এগুলো কাউকে পকেটের পয়সা খরচ করে কিনতে হয় না।