সত্যিই কি ডিমের খোসার রং আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ? হ্যাঁ অবশ্যই। সাধারণ মানুষের কাছে দুধ-সাদা ডিমের তুলনায় লালচে ডিম একটু বেশি খাতির পায় বইকি। রয়েছে দামের তারতম্যও। লালচে খোলসওয়ালা ডিমের দাম একটু বেশি। যদি আপনাকে জিজ্ঞাসা করা হয়, লাল ডিম নাকি সাদা ডিম, কোনটি ভাল? আপনার দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা থেকে হয়তো আপনি উত্তরে বলবেন, লাল ডিম খাওয়াই ভাল। কিন্তু সত্যিই কি তাই?
নিউ ইয়র্কের কর্ণেল বিশ্ববিদ্যায়ের কিছু গবেষক জানাচ্ছেন, তেমন কোনো ব্যাপার নেই। সাদা ডিম এবং লাল ডিমের মধ্যে পুষ্টিগুণের বিচারে তেমন কোনো পার্থক্য নেই। লাল ডিমে ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড একটু বেশি রয়েছে। তবে সেই একটু বেশির পরিমাণ এতটাই নগণ্য যে সেটা না ধরলেই চলে। সে জন্য আপনি নির্দ্বিধায় বলতে পারেন সাদা আর লাল ডিম দুটিতেই সমান পুষ্টিগুণ রয়েছে।
তবে রং আলাদা হওয়ার কারণ কি লুকিয়ে রয়েছে মুরগির জিনে? সাদা ডিমগুলো আসে সাদা পালকের মুরগি থেকে যাদের রং সাধারণত সাদা বা হালকা। আর লাল ডিম পাড়ে লালচে বা একটু গাঢ় পালকওয়ালা মুরগি।
পুষ্টিগুণ না হয় এক, কিন্তু স্বাদও কী এক? এটা নির্ভর করে মুরগির খাদ্যাভাসের উপর। মুরগি নিজে খাবার খায়, কিংবা খামারে মুরগির চাহিদা অনুযায়ী খাবার খাওয়ানো হয়। তাই স্বাদে ভিন্নতা আসে। যদি সাদা পালকের মুরগি এবং গাঢ় রঙের পালকের মুরগিকে একই খাবার খাওয়ানো হয়, তবে স্বাদের খুব একটা পার্থক্য বোঝা যাবে না এবং গুণগত মানেও তেমন হেরফের হবে না। এমনটাই মত গবেষকদের।