অ্যামি আর কেটি যমজ বোন। যমজ সন্তানের জন্ম খুব অবাক করা কিছু নয়। তবু চিকিৎসকরা তাদের নাম দিয়েছেন মিরাকল বেবিজ। অ্যামি আর কেটির জন্মবৃত্তান্ত শুনলে অবাক না হয়ে পারা যায় না। এমন যমজ সন্তানের জন্ম এর আগে দেননি কোনো মা। তাইতো এ দুই বোনের নাম উঠে গেছে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে।
যমজ বলতে সাধারণত বোঝায় দু’জনে একইরকম দেখতে আর দু’জনের জন্মের মধ্যে ব্যবধান খুব কম; কয়েক মিনিট মাত্র। কিন্তু কখনও শুনেছেন কি যমজের মধ্যে বয়সের ফারাক ৮৭ দিনের? এখানেই আলাদা অ্যামি আর কেটি। যমজ হলেও অ্যামির চেয়ে ৮৭ দিনের ছোট কেটি। তাদের মা মারিয়া শুরু থেকেই জানতেন তার গর্ভে রয়েছে যমজ সন্তান। সবকিছু ঠিকঠাকই এগোচ্ছিল। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের ৪ মাস আগেই মারিয়ার প্রসববেদনা শুরু হয়ে যায়।
চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন এই পরিস্থিতিতে শিশুদের জন্ম দিলেও বাঁচানো প্রায় অসম্ভব। কিন্তু মারিয়ার মনের জোর এই অসম্ভবকে সম্ভব করে। জন্ম হয় অ্যামির। প্রি-ম্যাচিওর হওয়ায় তাকে সঙ্গে সঙ্গে ইনটেনসিভ কেয়ারে রাখা হয়। অবাক করা ঘটনা ঘটে এরপর। পেটের মধ্যে দ্বিতীয় সন্তান থাকা সত্ত্বেও মারিয়ার জন্ম দেয়ার সব লক্ষণ বন্ধ হয়ে যায়। ডাক্তাররা কৃত্রিমভাবে প্রসববেদনা ওঠানোর অনেক চেষ্টা করলেও কোনোমতেই তা আর সম্ভব হয় না। দ্বিতীয় সন্তানের বাঁচার সম্ভাবনা ডাক্তাররা ছেড়েই দিয়েছিলেন। কিন্তু হার মানতে রাজি ছিলেন না মারিয়া। হার মানতেও হয়নি। ৮৭ দিন পর নির্দিষ্ট সময়ে সুস্থভাবে জন্ম হয় মারিয়ার দ্বিতীয় সন্তান কেটির। এই আশ্চর্য ঘটনায় অবাক হয়ে চিকিৎসকরা এই যমজ বোনদের নাম দেন ‘মিরাকল বেবিজ’।