পুলিশকে মানুষের প্রথম ভরসার জায়গা বানাতে চান বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের নতুন ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ। এ ব্যাপারে পুলিশের সব সদস্যকে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করতে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
সম্প্রতি এক ভিডিও কনফারেন্সে পুলিশের সকল রেঞ্জ, মেট্রোপলিটন ও বিশেষায়িত ইউনিটের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্যে নতুন দায়িত্ব পাওয়া আইজিপি এসব কথা বলেন। ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা ভিডিও কনফারেন্সে উপস্থিত ছিলেন।
করোনা পরিস্থিতি তুলে ধরে বেনজীর আহমেদ বলেন, এ সময় জনগণের পাশে থাকতে হবে। মানুষের সাথে কোনো ধরনের খারাপ আচরণ করা যাবে না, তাদেরকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করা যাবে না। মানুষের সাথে মানবিক আচরণ করতে হবে।
আইজিপি বলেন, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে দেশের বিভিন্ন স্থানে লকডাউন কার্যকর রয়েছে। সঠিকভাবে লকডাউন বাস্তবায়ন করতে হবে। অত্যন্ত জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মানুষের চলাচল সীমিত করতে হবে।
তিনি বলেন, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য এ সময় খোলা স্থানে অথবা ফুটপাতে বাজার বসাতে হবে। বাজারে একমুখী চলাচলের ব্যবস্থা করতে হবে, যাতে কমপক্ষে ২০ ফুট দূরত্ব বজায় থাকে। চায়ের দোকানে আড্ডা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
বেনজীর আহমেদ বলেন, জেলা প্রশাসক ও স্থানীয় প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে বাজার মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। যাতে কেউ পণ্যের মজুতদারি অথবা মূল্য বৃদ্ধি করতে না পারে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পরিবহন স্বাভাবিক রাখতে হবে।
আইজিপি বলেন, সরকারি ত্রাণ বিতরণ এবং ওএমএসের চাল বিতরণে যেকোনো অনিয়মরোধে ভূমিকা রাখবে পুলিশ। এজন্য গোয়েন্দা নজরদারি বাড়াতে হবে; বর্তমানে পুলিশের অনেক সক্ষমতা রয়েছে, এ সক্ষমতা কাজে লাগাতে হবে।
ড. বেনজীর আহমেদ বলেন, ফোর্সের কল্যাণে কাজ করতে হবে। করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে দায়িত্ব পালনকালে কোনো পুলিশ সদস্য অসুস্থ হলে তার চিকিৎসায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে।