যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবন হোয়াইট হাউস। ৫৫ হাজার বর্গফুটের ওপর তৈরি ছয়তলা এই ভবনে ১৩২টি ঘর, ৩৫টি শৌচাগার এবং ২৮টি ফায়ারপ্লেস রয়েছে। এ ছাড়া বোলিং অ্যালি, সিনেমা হল, জগিং ট্র্যাক, সুইমিং পুল। ব্যক্তিগত সহায়কও প্রচুর। কী নেই সেখানে। মার্কিন প্রেসিডেন্টের সুযোগ-সুবিধার একটি সংক্ষিপ্ত চিত্র পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো।
ব্লেয়ার হাউসঃ প্রেসিডেন্টের সরকারি গেস্টহাউস। এটি হোয়াউট হাউসের চেয়েও বড়। এর আয়তন ৭০ হাজার বর্গফুট।
ক্যাম্প ডেভিডঃ এটি হলো পার্বত্য আবাস। মেরিল্যান্ডের পর্বতে ১২৮ একর জায়গার ওপর নির্মিত এই ভবন। রুজভেল্ট থেকে শুরু করে প্রায় সব প্রেসিডেন্টই এখানে কখনো না কখনো থেকেছেন।
এয়ার ফোর্স ওয়ানঃ মার্কিন প্রেসিডেন্টের যাতায়াতের স্বার্থে ব্যবহৃত এই ব্যক্তিগত এয়ারক্রাফটে যে ধরনের ইলেকট্রনিকসামগ্রী রয়েছে, তা ইলেকট্রোম্যাগনেটিক পালস থেকে সুরক্ষিত রাখতে সক্ষম। কোনো ধরনের আক্রমণের হাত থেকে নিরাপদ রাখতেও বিশেষভাবে তৈরি হয়েছে এই যান। মাঝ আকাশে জ্বালানি ফুরিয়ে গেলে ফের তা ভরে নেয়া যায়।
মেরিন ওয়ানঃ সরকারি চপার। ইঞ্জিন বিকল হলেও ঘণ্টা ১৫০ মাইল গতিতে ওড়ার ক্ষমতা রাখে এই হেলিকপ্টার। আক্রমণ প্রতিহত করার যাবতীয় ব্যবস্থা রয়েছে এতে।
দ্য বিস্টঃ যে লিমুজিনটিতে চড়ে প্রেসিডেন্ট ঘুরে বেড়ান, সেটিকে বিশ্বের সবচেয়ে নিরাপদ গাড়ি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। গোলাগুলি তো বটেই, রাসায়নিক আক্রমণ ঠেকাতেও সক্ষম এই গাড়ি। পাঁচ স্তরীয় কাচ ও পলিকার্বোনেটের জানালা। অক্সিজেনের জোগান, অগ্নি মোকাবেলার ব্যবস্থা ছাড়াও এই গাড়িতে রয়েছে ব্লাড ব্যাংক।
সিক্রেট সার্ভিসঃ ২৪ ঘণ্টার নিরাপত্তা বাহিনী প্রেসিডেন্ট ও তাঁর পরিবারের সুরক্ষা নিশ্চিত করে। সিক্রেট সার্ভিসের মতো দেশের প্রাচীনতম ফেডারেল গোয়েন্দা সংস্থা তাঁদের নিরাপত্তার দায়িত্বে।
বেতনঃ চার লাখ মার্কিন ডলার তাঁর বেতন। এর ওপর অবশ্য কর চাপে। এর পাশাপাশি বিনোদন ভাতা হিসেবে ১৯ হাজার ডলার, অন্যান্য খরচ বাবদ বার্ষিক ৫০ হাজার ডলার এবং এক লাখ ডলারের ভ্রমণ ভাতা বরাদ্দ, যার ওপরে কোনো কর দিতে হয় না। অবসরের পরেও দুই লাখ মার্কিন ডলার বার্ষিক পেনশন পান সাবেক প্রেসিডেন্ট। তাঁর মৃত্যুর পর স্ত্রী বিধবা ভাতা হিসেবে পান বার্ষিক এক লাখ ডলার।