দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় কৃষি শিক্ষার সর্ব প্রাচীন বিদ্যাপীঠ শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) ১৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ....।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন সূত্র জানিয়েছে, পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের ছুটি থাকায় এ দিবসকে ঘিরে কোনো উদ্যোগ নেয়া সম্ভব হয়নি।
১৯১৯ সালে রাজকীয় কৃষি কমিশনের গৃহীত প্রস্তাব অনুসারে ঢাকায় তেজগাঁও কৃষি গবেষণা সংলগ্ন তিনশ’ একর জমিতে ১৯৩৮ সালের ১১ ডিসেম্বর তৎকালীন পূর্ববাংলার মুখ্যমন্ত্রী বাংলার বাঘ খ্যাত শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক ‘দি বেঙ্গল এগ্রিকালচারাল ইনস্টিটিউট’এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
রাজনৈতিক পট পরিক্রমায় প্রতিষ্ঠানটির নাম বদল হয়েছে তিনবার। ১৯৪৫ সালে পাকিস্তান আমলে এর নাম হয় ‘পূর্ব পাকিস্তান এগ্রিকালচারাল ইনস্টিটিউট’ এবং ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর এর নাম রাখা হয় ‘বাংলাদেশ এগ্রিকালচারাল ইনস্টিটিউট’ (বিএআই)।
সবশেষে ২০০১ সালে তৎকালীন ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ প্রতিষ্ঠানটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে বিএআইকে পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপ দেন।
নাম কয়েকবার পরিবর্তন হলেও প্রায় ৭৬ বছর ধরে এ অঞ্চলের কৃষির উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে এ প্রতিষ্ঠানটি ।
যুগোপযোগী ও আধুনিক মানের শিক্ষা পদ্ধতি এবং উচ্চতর ও লাগসই কৃষি প্রযুক্তি গবেষণার কারণে ৮৬.৯৭ একরের এ বিশ্ববিদ্যালয়টি এখন পরিণত হয়েছে ‘দি সেন্টার অব এক্সিলেন্সে’ এ। বর্তমানে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩টি অনুষদের আওতায় ৩০টি বিভাগে শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রমে যুক্ত আছেন ৩০০০ শিক্ষার্থী।