বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনে (ইউজিসি) শুদ্ধি অভিযান শুরু করেছেন নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান। জানা যায়, বিভিন্ন শাখার ১০ জন কর্মকর্তাকে অন্যত্র বদলি করা হয়েছে। এর মধ্যে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার কর্মকর্তাদের পদেই বেশি ‘রিসাফল’ আনা হয়েছে।
এরমধ্যে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার পরিচালক শামসুল আলমকে রিসার্স সাপোর্ট অ্যান্ড পাবলিকেশেন্স বিভাগের পরিচালক, উপ-পরিচালক দূর্গা রাণী সরকারকে রিসার্স সাপোর্ট অ্যান্ড পাবলিকেশন্স বিভাগের উপ-পরিচালক এবং একই শাখার সিনিয়র সহকারি পরিচালক সুলতান আহমদকে সিনিয়র সহকারি সচিব হিসেবে বদলি করা হয়।
রিসার্স সাপোর্ট অ্যান্ড পাবিলিকেশন্স বিভাগের পরিচালক মোখলেসুর রহমানকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার পরিচালক, সিনিয়র সহকারি সচিব আমিরুল ইসলাম শেখকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার পরিচালক হিসেবে বদলি করা হয়েছে।
আর রিসার্স সাপোর্ট অ্যান্ড পাবলিকেশন্স বিভাগের উপ-পরিচালক ওমর ফারুককে দেয়া হয়েছে জনসংযোগ বিভাগের পরিচালকের দায়িত্ব। জনসংযোগ শাখার কর্মকর্তা (উপসচিব) শামুসল আরেফীনকে দেয়া হয়েছে রিসার্স সাপোর্ট অ্যান্ড পাবলিকেশন্স বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালকের দায়িত্ব। এছাড়া পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক আব্দুর রাজ্জাককে আইএমসিপি’র পরিচালক, আইএমসিপি’র উপ-পরিচালক মাসুদুর রহমান ভূঁইয়াকে আইসিসি’র উপসচিব পদে বদলি করা হয়। ইউজিসির একজন কর্মকর্তা বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে বর্তমান চেয়ারম্যান এসব পদে রদবদল আনেন। বিশেষ করে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে সম্প্রতি টিআইবি’র প্রতিবেদন নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে ইউজিসি চেয়ারম্যানের। তবে, ইউজিসি চেয়ারম্যান বলেন, এটি রুটিন ওয়ার্ক। বিশেষ করে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার শামসুল আলমসহ বদলি করা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে ঘুষ নেয়া ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে।
ইউজিসি চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান বলেন, যেকোনো সরকারি অফিসে বদলি ও রদবদল একটি নিয়মিত প্রক্রিয়া। আমরা কাজের গতি বাড়ানোর জন্য সবাই মিলে মানসম্পন্ন কাজ করার চেষ্টা করছি।
কাজের গতি বাড়ানোর জন্য কিছু পদের পরিবর্তন আনা হয়েছে জানিয়ে চেয়ারম্যান বলেন, ইউজিসিতে ২৪০-২৪২ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন। পর্যায়ক্রমে প্রয়োজনে আরও রদবদল করা হবে।