গোপালগঞ্জে একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বলে দেয়া টেইলার্স থেকে স্কুল ড্রেস না বানানোয় শিক্ষার্থীদের নির্যাতন করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার এসকেএমএইচ উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে বলে শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের অভিযোগ।
স্কুলটির ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থী সীমা বল্লভ, প্রসেনজিৎ হালদার অভিযোগ করেন, শহরের কদমবাড়ি এলাকার ‘কিরণ টেইলার্স’ থেকে স্কুলের ড্রেস বানাতে বলেছিলেন তাদের প্রধান শিক্ষক। কিন্তু সাশ্রয়ী হওয়ায় প্রায় অর্ধশত শিক্ষার্থী অন্য টেইলার্স থেকে তাদের স্কুল ড্রেস তৈরি করে।
এ কারণে প্রধান শিক্ষক অমৃত কুমার বাড়ৈ ক্ষুব্ধ হয়ে বিভিন্ন শ্রেণির ১৫ জন শিক্ষার্থীকে বেত দিয়ে পেটানোর পাশাপাশি ২৫ জনকে প্রায় একঘণ্টা মাঠে দাঁড় করিয়ে রাখেন বলে অভিযোগ করেন তারা।
ঘটনার দিন স্কুল পরিচালনা কমিটির নির্দেশে ওই শিক্ষক আহত বেশ কয়েক শিক্ষার্থীকে স্কুল হোস্টেলে চিকিৎসা করান বলেও দাবি তাদের। আহতদের মধ্যে নবম শ্রেণির চয়ন বাড়ৈ, পিংকু সরকার, রাজু বল্লভ, অষ্টম শ্রেণির সুপ্রিয়া গাইন, চয়ন বল্লভ, ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র হরিদাসের নাম জানা গেছে।
আহত চয়ন বল্লভ বলেন, আমাদের প্রধান শিক্ষক যে টেইলার্স থেকে স্কুল ড্রেস বানাতে বলেছেন সেখানে ৮শ’ টাকা লাগে। কিন্তু আমরা অন্য টেইলার্স থেকে ৬শ’ টাকা দিয়ে ড্রেস বানিয়েছি। এতে স্যার ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের বেত্রাঘাত করেছেন।
সুপ্রিয়া গাইন নামে অপর এক শিক্ষার্থী বলেন, কিরণ টেইলার্স থেকে জামা বানাতে বেশি টাকা লাগে বলে অন্য টেইলার্স থেকে জামা তৈরি করেছি জানালে অমৃত স্যার আমাকে রোদে দাঁড় করিয়ে রাখেন। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে প্রধান শিক্ষক অমৃত কুমার বাড়ৈ বলেন, এ ধরনের ঘটনা আমার স্কুলে ঘটেনি। আমি কোনো শিক্ষার্থীকে বেত্রাঘাত করিনি।
প্রধান শিক্ষককে ‘ভালো মানুষ’ দাবি করে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য রবীন্দ্রনাথ বল্লভ বলেন, প্রধান শিক্ষক অমৃত বাড়ৈ ভাল মানুষ। একটি মহল তাকে হেয় করার জন্য মিথ্যা প্রচার চালাচ্ছে।
এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ মাহাবুবুর রহমান বলেন, অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে প্রধান শিক্ষক অমৃত কুমার বাড়ৈর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।