শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর (ডিআইএ) থেকে গোপনীয় ফাইল চুরির সময় হাতেনাতে ধরা পড়েছেন কথিত একটি সাপ্তাহিক পত্রিকার এক স্টাফ। সম্প্রতি শিক্ষা ভবন এলাকায় অবস্থিত ডিআইএতে এ ঘটনার পরপরই তাকে শাহবাগ থানা পুলিশের হাতে দিয়েছেন কর্মকর্তারা। পুলিশ বলছে, ফাইল চুরির পেছনে ডিআইএর কারও সংশ্লিষ্টতা আছে বলে প্রাথমিকাভাবে ধারণা পাওয়া যাচ্ছে। এদিকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন কাজে অনিয়মে জড়িত থাকার অভিযোগ তুলে ডিআইএ’র এক কর্মকর্তাকে প্রত্যাহারের আবেদন করেছেন ঢাকার সংসদ সদস্য আলহাজ ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা।
ফাইল চুরির ঘটনা সম্পর্কে ডিআইএ’র পরিচালক অধ্যাপক মফিজ উদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, দুপুরের দিকে অপরাধ জগৎ প্রতিদিন পত্রিকা নিয়ে বিভিন্ন কক্ষে যাচ্ছিলেন আটক মোহাম্মদ আলী। নিজেই বিভিন্ন কক্ষে গিয়ে পত্রিকা দিয়ে যাচ্ছিলেন। এরই মধ্যে হঠাৎ একটি কক্ষে গিয়ে ওই পত্রিকায় মুড়িয়েই রাজশাহী ডিভিশনের একটি তদন্তের ফাইল ঢুকিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন। ৮৪ পৃষ্ঠার একটি ফাইল সে নিয়ে যাচ্ছিল।
পরিচালক আরও জানান, এর পেছনে হয়ত কেউ আছেন। আমরা শাহবাগ থানায় এফআইআর করেছি। ওই ব্যক্তিকে শাহবাগ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। অধিদপ্তরে এসে পুলিশ তাকে থানায় নিয়ে গেছে। মোহাম্মদ আলী নামের এই ব্যক্তি রাজশাহী বিভাগের নাটোরের ছাতনী উচ্চ বিদ্যালয়ের ফাইল চুরির সময় ধরা পড়েন বলে জানান কর্মকর্তারা।
তারা বলেন, এছাড়া ঘটনার পরপরই বিষয়টি শিক্ষা সচিব নজরুল ইসলাম খানকে জানানো হয়েছে। তিনি দ্রুত ওই ব্যক্তিকে থানায় দিয়ে এফআইআর করার নির্দেশ দিয়েছেন। শাহবাগ থানার এসআই হারুন অর রশিদ বলেছেন, কী উদ্দেশ্য নিয়ে ফাইল চুরি করতে এসেছিল জিজ্ঞাসাবাদে তা জানা যাবে। তবে এ ধরনের ঘটনায় আমরা প্রাথমিকভাবে বুঝতে পারছি এর পেছনে এই অফিসেরই কোনো না কোনো লোক জড়িত আছে। ভেতরের লোক ছাড়া সরকারের একটি ফাইল এভাবে নেয়া সম্ভব নয়। কেউ ওই পত্রিকার লোকটিকে নিশ্চয়ই আগেই জানিয়ে দিয়েছে ফাইলটি কোন্ টেবিলে রাখা আছে। আটক ব্যক্তিকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদেই কাহিনী বেরিয়ে আসবে বলে জানায় পুলিশ।
এদিকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন কাজে অনিয়ম জড়িত থাকার অভিযোগ তুলে ডিআইএ’র এক কর্মকর্তাকে প্রত্যাহারের আবেদন করেছেন ঢাকার সংসদ সদস্য আলহাজ ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা। ডিআইএর পরিচালকের কাছে তিনি এ লিখিত আবেদন করেছেন।
ঢাকা-১৬ আসনের সাংসদ ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা যার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন সেই কর্মকর্তার নাম আবুল কালাম আজাদ। প্রতিষ্ঠানটির পরিদর্শক হিসেবে তিনি কর্মরত আছেন। অভিযোগ নামায় সংসদ সদস্য বলেছেন, তার নির্বাচনী এলাকা পল্লবীর কালশী ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে পরিদর্শনে গিয়ে পরিদর্শক যে কাজ করেছেন তা সকলের নিকট প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।