চলতি অর্থবছরে ৫৫ হাজার ৮৭০ টাকা আয়কর দিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। নিজের এক কোটি ৭৪ লাখ টাকার সম্পদ থাকার কথা জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, গত অর্থবছরে আমার সম্পদ ছিল এক কোটি ৭০ লাখ টাকার মতো। এর মধ্যে এ বছরের আয় ২৭ লাখ ৯৪ হাজার ৯৬৭ টাকা। এখানে করযোগ্য আয়ের পরিমাণ ১০ লাখ ১৩ হাজার ৭২২ টাকা। গত বছর করযোগ্য আয় ছিল সাত লাখ টাকার মতো।
বছর শেষে চার লাখ আয় বাড়ার ঘটনা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, বহুদিন পর এবার আমার আয় বেড়েছে চার লাখ টাকার কিছু বেশি। আমি এক লাখ ১৭ হাজার ৫৩৩ টাকা কর দিয়েছি। এর মধ্যে ফেরত পেয়েছি ৬১ হাজার ৬৬৩ টাকা। অর্থাৎ, আমার প্রকৃত আয়কর দিতে হয়েছে ৫৫ হাজার ৮৭০ টাকা।
আয়কর রিটার্ন জমা দেয়ার শেষ দিন ছিল ৩০ নভেম্বর। এর ২২ দিন পর গতকাল সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে বসে অনলাইনে নিজের আয়কর বিবরণী জমা দিলেন অর্থমন্ত্রী। এ সময় কর অঞ্চল-৮ এর কমিশনার জিয়া উদ্দিন মাহমুদসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। একমাত্র এই কর অঞ্চলেই অনলাইনে আয়কর বিবরণী দাখিল করার সুযোগ রয়েছে।
নির্ধারিত সময়ের পরে আয়কর বিবরণী দাখিল প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন দাপ্তরিক কাজে ব্যস্ততার কারণে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রিটার্ন দাখিল করতে পারিনি।
বাংলাদেশে ১৯৫৫ সালে প্রথম ও ১৯৬০ সালে দ্বিতীয়বার আয়কর দেন অর্থমন্ত্রী। পরে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করেন। ওই সময় যুক্তরাষ্ট্রেই আয়কর দিয়েছেন তিনি। এরপর ১৯৯৫ সাল থেকে নিয়মিতভাবে দেশেই আয়কর দিচ্ছেন মুহিত। নভেম্বর থেকে রাজস্ব আদায় পরিস্থিতি বেশ ভালো উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, বাজেট ঘাটতির পরিমাণ ৫ শতাংশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে। তবে রাজস্ব আদায় অক্টোবর পর্যন্ত একটু শ্লথ ছিল, যা নভেম্বরে অনেক ভালো হয়েছে।
তিনি বলেন, তবুও যদি দেখা যায়, বাজেট ঘাটতির পরিমাণ ৫ শতাংশের বেশি হচ্ছে, তখন বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) কিছুটা কাটছাঁট করা হবে। গত অর্থবছরে ৬৩ হাজার কোটি টাকার এডিপি ছিল, এবার তা বেড়ে এক লাখ কোটি হয়েছে। সেখান থেকে একটু কমতে পারে। তবে সেটা ফেব্রুয়ারিতে সংশোধিত বাজেটের সময় দেখা যাবে।