এখন আর সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে পার্থক্য করার অবকাশ নেই। সবাই শিক্ষা কার্যক্রমে অবদান রাখছে। উভয় ধারার শিক্ষার্থীই আমাদের সন্তান। সরকার তাদের মধ্যে কোনো পার্থক্য করে না। রাজশাহীতে বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ৮ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে কথাগুলো বলেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে নুরুল ইসলাম নাহিদ আরো বলেন, আধুনিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে তরুণ প্রজন্মকে তৈরি হতে হবে। গতানুগতিক শিক্ষার মাধ্যমে এটা সম্ভব না। এজন্য প্রয়োজন যুগোপযোগী আধুনিক শিক্ষা। যে শিক্ষায় দক্ষ জনশক্তি গড়ে উঠবে। শুধু পরীক্ষায় পাস করলে হবে না। আমাদের দেশের সমস্যার সমাধান বাইরের কেউ করে দেবে না। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদেরই জ্ঞান সৃজন করতে হবে, গবেষণা করতে হবে। শুধু জ্ঞান-প্রযুক্তিতে শিক্ষিত হলেই হবে না। ভালো মানুষ হতে হবে। শিক্ষিত হওয়ার পাশাপাশি নৈতিকতা ও দেশপ্রেমের সমন্বয় না হলে মানবকল্যাণে কাজ করা সম্ভব না।
শিক্ষামন্ত্রী আরো বলেন, বাংলাদেশে এখন সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি। তারা শিক্ষায় অবদান রাখছে। তবে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে যেসব শর্ত দেয়া হয়েছে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তা পূরণ করতে হবে। শিক্ষার পাশাপাশি খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক পরিবেশ নিশ্চিত করে নিজস্ব ক্যাম্পাস তৈরি করতে হবে।
রাজশাহী নগরের খড়গড়ি বাইপাস এলাকায় বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাবিত মূল ক্যাম্পাসে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপদেষ্টা প্রফেসর এম সাইদুর রহমান খান, সংসদ সদস্য আয়েন উদ্দিন, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য ড. শাহ নওয়াজ আলী, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উপাচার্য প্রফেসর মুহম্মদ মিজানউদ্দিন, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর রফিকুল আলম বেগ, নর্থবেঙ্গল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর আবদুল খালেক প্রমুখ।
এতে সভাপতিত্ব করেন বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান খান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন- বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ওসমান গণি তালুকদার। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন উপ-উপাচার্য প্রফেসর নুরুল হোসেন চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে হাফিজুর রহমান খান বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১০ অনুযায়ী আমরা ২০১৯ সালের মধ্যে নিজস্ব ক্যাম্পাসে যাওয়ার ব্যাপারে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। এরই মধ্যে আমরা সরকার নিদের্শিত ছয় বিঘা জমির অধিক প্রায় ৩০ বিঘা জমি কিনতে পেরেছি। শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য একটি বড় ক্যাম্পাস নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে।