অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, তরুণরাই ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার। আজ আইসিটি খাতের যে অগ্রগতি ও সাফল্য, তা মূলত তরুণদের জন্যই। তিনি বলেন, ১০-১৫ বছর আগে প্রশাসনে কম্পিউটারের ব্যবহারই অনেক কঠিন ছিল। এখন তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহারের কারণে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়ন ও মনিটরিং করা যাচ্ছে। সরকার আইসিটি খাতের অগ্রগতির ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে বিভিন্ন পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। এর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী চিন্তা ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ বাস্তবে রূপ দেয়াই সরকারের লক্ষ্য।
সম্প্রতি রাজধানীর একটি হোটেলে ‘বিপিও সামিট-২০১৫’ (বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিং) এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন। বাংলাদেশে দ্বিতীয়বারের মতো এ সামিট হলো। সরকারের আইসিটি বিভাগ এবং বাংলাদেশ এ্যাসোসিয়েশন অব কল সেন্টার এ্যান্ড আউটসোর্সিং (বাক্য) যৌথভাবে এটি আয়োজন করে। দু’দিনের এই সম্মেলনে দশটি সেমিনার ও দু’টি কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
সমাপনী অনুষ্ঠানে আটটি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানকে দেশের আইসিটি ও বিপিও খাতে অবদান রাখায় বিশেষ পুরস্কার প্রদান করা হয়। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এসব প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তার হাতে পুরস্কার তুলে দেন। সমাপনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। বিশেষ অতিথি ছিলেন আইসিটি বিভাগের সচিব শ্যাম সুন্দর শিকদার, বেসিস সভাপতি মোস্তফা জব্বার, আইসিটি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বনমালী ভৌমিক ও এ্যাসোসিয়েশন অব কল সেন্টার বাংলাদেশের (বাক্য) সভাপতি আহমাদুল হক।
অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী বলেন, স্বপ্নহীন বা লক্ষ্যহীন জাতি কোনোদিন ভাল করতে পারে না। আমাদের তরুণদের স্বপ্ন আছে, লক্ষ্য আছে। আমাদের অগ্রগতি কেউ রুখতে পারবে না। সরকার আইসিটি খাতে তরুণদের প্রশিক্ষণ দিয়ে যোগ্য হিসেবে গড়ে তুলছে।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, তরুণদের প্রযুক্তি ক্ষেত্রে আরও বেশি আগ্রহী করে গড়ে তুলতে হবে। প্রতিবছর আড়াই লাখ তরুণ পড়ালেখা শেষ করে কর্মের বাজারে প্রবেশ করছে।