বিশেষ খবর



Upcoming Event

বাবার সাথে লা মেরিডিয়ানে আমার এক্সাইটিং দু’দিন!

ক্যাম্পাস ডেস্ক শিশু ক্যাম্পাস
img

॥ ওয়াসির হেলাল ॥
৫ম শ্রেণি, সহজপাঠ স্কুল, ঢাকা

লা মেরিডিয়ান, আমার দেখা বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর হোটেল। অন্য ফাইভস্টার হোটেলগুলোর চেয়ে শিল্প-সুন্দরে এটি একেবারেই আলাদা; লেটেস্ট এবং ইউনিক। বাবার সাথে আমি দু’বার এ হোটেলে থেকেছি। প্রথমবার ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ থাকার পর খুব ভালো লাগায় বাবার কাছে বায়না ধরেছি আবার নিয়ে যাওয়ার জন্য। তখন বাবা বলেছিলেন আচ্ছা ঠিক আছে, লা মেরিডিয়ান যখন তোমার এতই ভালো লেগেছে, তোমাকে আবারও নিয়ে যাবো। এরপর ২০ এপ্রিল ২০১৯ সত্যি সত্যি বাবা আমাকে আবারও লা মেরিডিয়ানে নিয়ে গেলেন। এখন আমি লা মেরিডিয়ানে থাকার সেই গল্পই করবো আপনাদের সাথে।
লা মেরিডিয়ান হচ্ছে লেটেস্ট ফাইভ স্টার হোটেল। এর সবকিছুই সুন্দর ও গর্জিয়াস, বিশেষত রুমগুলো ছিল দারুণ সুন্দর এবং এরিসটোক্রেটিক। বাবা আগেই ফোন করে দু’রকম রুমের কথা বলে রেখেছিলেন। হোটেলে যাওয়ার পর বাবা আমাকে প্রথমে একটা রুম দেখাতে নিয়ে যান। সেই রুম দেখার সময় একজন স্টাফ এসে বলেন আরো একটা বড় রুম আছে, সেটি আপনাদের পছন্দ হতে পারে; চলুন সেই রুমটি দেখাই। আমরা ঐ রুমটা দেখতে যাই। বাবা তখন আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন, কোন্ রুম তোমার পছন্দ হয়েছে? এই বড় রুমটা আমার পছন্দ হয়েছে বলে বাবাকে জানালাম। বাবা তখন লা মেরিডিয়ানের সেই স্টাফকে জানিয়ে দিলেন ঠিক আছে, আমরা এই বড় রুমটাতেই থাকবো। এরপর আমাদের চেক-ইন পর্ব। আমরা আবার গ্রাউন্ড ফ্লোরে যাই। চেক-ইন প্রসেস করতে তাদের একটু বেশি সময় লেগেছিল। তাই আমি সেই ফাঁকে কিছু দুষ্টুমি করছিলাম। আর তারা যত দেরি করছিল, আমি তত দুষ্টুমি বাড়িয়ে দিচ্ছিলাম যাতে তারা বিরক্ত হয়ে তাড়াতাড়ি চেক-ইন পর্ব শেষ করে ফেলে। সেখানে থাকা চকলেট ও জুস খেতে খেতে চেক-ইন পর্ব শেষ হলো এবং আমরা উপরে গেলাম।
আমাদের এই বড় রুমটা ছিল সত্যিই খুব মডার্ন। রুমে ঢুকার একটু পর বাবা প্রথমে জানতে চাইলেন, আমার কেমন লাগছে। কিছুক্ষণ পর বাবা আমাকে তার সামনাসামনি বসিয়ে বললেন তুমি যাতে সবসময়ে বড় চিন্তা করতে পারো, সেজন্যই বাবা তোমাকে বড় রুম দিয়েছি। আরও বললেন, ওয়াসির তুমি মনে রাখবে যে ‘বড় চিন্তা করতে হলে উপরের দিকে তাকাতে হবে, আর নিচের দিকে তাকাবে সতর্ক-সাবধান হবার জন্যে এবং অন্যদেরকে সাহায্য করার জন্যে’। এরূপ উপদেশমূলক একটু কঠিন ভালো ভালো কথা বাবা আগে ভাইয়াকে বেশি বলতেন, আর এখন ভাইয়াকে কম বলে আমাকে বেশি বলেন। তবে আপনাদেরকে কানে কানে বলে রাখছি ঐ সময়ে আমি বাবার সেসব কথার দিকে বেশি মনোযোগ দেইনি। কারণ রুমের অন্য জিনিসগুলো দেখার এবং ওয়েলকামিং বাস্কেটে ও ফ্রিজে কি আছে, সেসব দেখার ইচ্ছাটা তখন বেশি ছিল।
আমাদের রুম থেকে অনেক দূর পর্যন্ত পুরো লম্বা এয়ারপোর্ট রোড দেখা যায়; তাছাড়া সব প্লেনের উঠানামাও দেখা যায়। সেই রুমে অনেক বড় বেড ছিল, বাথরুমটাও ছিল খুব বড় এবং অত্যন্ত ব্যতিক্রমভাবে সাজানো। বিশাল একটা স্মার্ট টিভি ছিল সেই রুমের দেয়ালে। আমি কার্টুন চ্যানেলে বেশ কিছুক্ষণ কার্টুন দেখেছি। এরপর আমরা ফ্রেশ হয়েছি এবং আমাকে হোটেলটা ঘুরে দেখানোর জন্য রুম থেকে বাবা বাইরে নিয়ে যান।
লা মেরিডিয়ানে জাকুজি আছে, সুইমিংপুল আছে, সনা আছে, জিমসহ আরও অনেক কিছু আছে। জাকুজি হচ্ছে একটা ছোট্ট সুইমিংপুলের মতো। তাতে গরম পানি আছে, ম্যাসাজের ব্যবস্থা আছে, জাকুজিতে পানির মধ্যে স্টিলের একটা বেঞ্চ আছে। লা মেরিডিয়ানের জাকুজি আমার জন্য খুব ঈড়সভড়ৎঃধনষব; তাই তাতে বাবার সাথে নেমে আমি বার বার মজা করেছি। জাকুজিতে কিছুক্ষণ থাকার পর আমি সনাতে গেলাম। সনা হচ্ছে গরম বাষ্পের একটা রুম। যারা সুইমিংপুলে সাঁতার কাটে কিংবা জাকুজিতে ম্যাসাজ নেয়, তারা সনাতে স্টিম বাথও করে। কিন্তু সনাতে স্টিমের খুব গরম লাগায় আমি বেশিক্ষণ সেখানে থাকিনি; বাবা বেশিক্ষণ ছিলেন। সেই এরিয়ায় অনেকগুলো সুন্দর শাওয়ার ছিল, আমি শাওয়ারে গোসল করেছি। লা মেরিডিয়ানের সুইমিংপুলেও আমি নেমেছিলাম, কিন্তু অল্পসময় থেকেছি। কারণ ওটা ছিল বড়দের সুইমিংপুল। ছোটদের কোনো সুইমিংপুল ওখানে ছিল না। তাই এ হোটেলের সবকিছু ভালো লাগলেও সুইমিংপুল ভালো লাগেনি। আমি সুইমিংপুলের ডিপ সাইডে যাইনি; যেদিকে ডিপ কম, সেদিকে নেমেছি। পুল থেকে উঠে আমরা রুমে ফিরে আসি এবং আবার ভালো করে গোসল সেরে ডিনারে যাই।
ডিনারে অনেক আইটেম ছিল। অনেকটা বুফে সিস্টেমের মতোই। আমরা খুব মজা করে ডিনার করি। সুইমিংপুল, সনা, জাকুজি করে আমাদের খুব খিদে লেগে গিয়েছিল, সেজন্য খাবারগুলো খুব মজা লেগেছিল। ডিনার শেষে আমরা কিছুক্ষণ ঘুরাঘুরি করে রুমে ফিরে আসি। এরপর দাঁত ব্রাশ করে শুয়ে পড়ি এবং বাবাকে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে যাই। মাঝরাতে আমার ঘুম ভাঙার পর দেখি বাবা তখনও আমার গায়ে হাত বুলাচ্ছেন; অর্থাৎ বাবা হয়তো ভেবেছিলেন যে, তখনো আমি ঘুমাইনি। আমাকে নিয়ে বাবার এসব বোকামির কথা ভাবতে আমি মজা পাই। আর আমি বড় হলে বাবার চেয়েও বেশি বুদ্ধিমান হবো, বড় লেখক হবো বলে বাবা বার বার বলেন সেজন্যও বাবাকে আমার আরেক রকম বেশি ভালো লাগে। দি প্যালেস রিসোর্ট ভিজিট সম্পর্কে লেখায়ও আমি বলেছি যে বাবার সাথে একা আদরে থাকা এই রাতগুলোই আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ রাত।
ভোরে ঘুম ভেঙে গেলে দেখি, বাবা নামাজ পড়ছেন। আমি তখন বাথরুমে দাঁত ব্রাশ করে বিছানায় এসে বসি। নামাজ পড়া শেষ করে বাবা আমাকে ফুঁ দিয়ে মাথায় হাত বুলিয়ে এবং জড়িয়ে ধরে অনেকক্ষণ আদর করে দেন। এরপর আমরা দু’জনে রুমে কিছুক্ষণ ফ্রি-হ্যান্ড এক্সারসাইজ করি। তারপর বাবা আর আমি জিমে গিয়ে এক্সারসাইজ করি। এরপর রুমে ফিরে শাওয়ার নিয়ে ব্রেকফাস্ট করার জন্য বের হই। লেটেস্ট রেসিপি রেস্টুরেন্টে গিয়ে বুফে ব্রেকফাস্ট করি। ব্রেকফাস্টে অনেক কিছুই ছিল, যেগুলো বেশি মজাদার, আমি সেগুলো খেয়েছি।
লা মেরিডিয়ানের লেটেস্ট রেসিপি রেস্টুরেন্ট সত্যিই অতুলনীয়। এখানে ডিনার কিংবা লাঞ্চে ৬/৭টি লাইভ কিচেন থাকে এবং কোনো কোনো সময়ে বুফে খাবারে দুইশ’র অধিক আইটেম থাকে। অর্থাৎ বাংলাদেশি, ইটালিয়ান, থাই, চাইনিজ, ইন্ডিয়ানসহ প্রায় সব কন্টিনেন্টাল খাবারই থাকে এবং দু’বার এ হোটেলে থাকার সময় ছাড়াও আমি অনেকবারই এই লেটেস্ট রেসিপি রেস্টুরেন্টে বাবার সাথে বুফে লাঞ্চ, ডিনার এবং রোজায় ইফতার করেছি। এতকিছু দিয়েও বুফে খাবারে একজনের বিল পড়ে ৫,৫০০ টাকা। এছাড়া তাদের ইটালিয়ান রেস্টুরেন্ট ফাভোলা’র রেসিপিগুলো অরিজিনাল ইটালিয়ান ফুড এর মতো।
আমি যতবারই লেটেস্ট রেসিপি রেস্টুরেন্টে গিয়েছি, বাবার খুবই পরিচিত ইটালিয়ান সেফ গৎ. ঠধষঃবৎ ইবষষর তার নিজের হাতে তৈরি স্যামন ফিস, প্রন কিংবা ইমপোর্টেড বিফ বা অনুরূপ কিছু না কিছু স্পেশাল আইটেম দিয়ে আমাদেরকে মুগ্ধ করার চেষ্টা করেছেন। তাছাড়া কোনো কোনো সময়ে সেফ জামানও খাবারে অনেক চমৎকারিত্ব দেখিয়েছেন। যখন যার প্রেজেন্টেশন কিংবা ব্যবহার আমার ভালো লেগেছে, তার নাম আমি নোট করেছি কিংবা মনে রেখেছি। রেস্টুরেন্ট ম্যানেজার এম হাসান, টিপু সুলতান, হেদায়েতুল ইসলাম, রাসেল, হৃদয়, আরিফ আহমেদ, ফারহানা, সালমা তানজিমসহ সবার আচার-ব্যবহার, কথাবার্তা এমনই মনে হয়েছে যে উন্নত দেশের হোটেল-স্টাফদের মোস্ট মডার্ন ওয়েলকামিং পেয়েছি। তাছাড়া লা মেরিডিয়ানের রিসিপশন, রুম সার্ভিস সবই দেখেছি ব্যতিক্রম।
বাবার সাথে এ বিষয়ে আলাপ করলে বাবা দুষ্টুমি করে বলেন দেখবে না, এ হোটেলের শীর্ষ লিডার তথা ফাউন্ডার-চেয়ারম্যান আমিন আহমেদ সাহেব কোথাকার ব্যক্তিত্ব? তিনি যে লক্ষ্মীপুরের লক্ষ্মী ব্যক্তিত্ব, তা বাবা ভেঙে না বললেও আমি বুঝে নিয়েছি। আরো আশ্চর্যজনক যে, বাবা দু’একবার কানে কানে আমাকে ও ভাইয়াকে এও বলেছেন লা মেরিডিয়ানসহ ঢাকার বড় বড় ফাইভ স্টার হোটেলগুলোর উদ্যোক্তা কিংবা পরিচালনা লক্ষ্মীপুরের ব্যক্তিত্বগণের হাতে। বিশেষত নামকরা হোটেল দি ওয়েস্টিন এর চেয়ারপার্সন মিসেস সেলিনা আলী, রেডিসন ঢাকা ও রেডিসন চট্টগ্রাম এর একজন উদ্যোক্তা কর্নেল নূর নবী, হোটেল অরচার্ড এর চেয়ারম্যানসহ সরকারি হোটেল সোনারগাঁও ও শেরাটন এর চেয়ারম্যান কিংবা জিএম কখনো না কখনো লক্ষ্মীপুরেরই থাকেন। এটি অন্যদের জন্য ঈর্ষার কারণ হলেও তা লক্ষ্মীপুরের লক্ষ্মী সন্তানদের জন্য সাফল্যের কথা।
লেটেস্ট রেসিপি রেস্টুরেন্টে ব্রেকফাস্ট সেরে তারপর পুলসাইডে গিয়ে কিছুক্ষণ বসি। এরপর রুমে ফিরে ব্যাগ গুছিয়ে লবিতে যাই। বাবাকে বলে লবি রেস্টুরেন্ট ল্যাটিচিউড এ খুব মজার পেস্ট্রি খাই। এরপর রেস্টুরেন্ট থেকে কিছুদূর চলে গিয়ে বাবাকে আমার মনের আরেকটি কথা বললাম বাবা, এখানকার বড় কেকটি আমার পছন্দ হয়েছে, আমি কি এটি বাসায় নিয়ে যেতে পারি? আমার মনের কথা খুলে বলায় খুশি হয়ে বাবা তখনই বললেন, তুমি ঐখানে থাকতে এ কথাটি বলোনি কেন? আমি বললাম এদের এগুলোর দাম খুব বেশিতো, তাই তখন বলিনি। বাবা বললেন, তোমার মনের দামের চেয়ে কি কেকের দাম বেশি? তাড়াতাড়ি চলো আবার। এরপর অনেক দাম দিয়ে বাবা আমাকে সেটাও কিনে দেন। সেই কেকের প্যাকিং বক্সটাও অনেক সুন্দর। এভাবে সব আশা পূরণ করে লা মেরিডিয়ান থেকে বাসায় ফিরে আসি। বাসায় এসেও আমার বার বার লা মেরিডিয়ানে থাকার কথা মনে হতে থাকে। মনে মনে ভাবি, তৃতীয়বার কীভাবে বাবার সাথে লা মেরিডিয়ানে যাওয়া যায়! বাবাকে বললে বাবা ঠিকই আবারও আমাকে নিয়ে যাবেন। আমার কোনো আবদারই বাবা ফেলতে পারেন না। আমার সব চাওয়াগুলো বাবা পূরণ করে দেন। কখনো কোনো কিছু মানা করেন না এবং সেটাই হচ্ছে আমার জন্যে বড় সমস্যা। সেই কারণে আমি এখন একটু বড় হবার পর বাবার কাছে কিছু চাওয়ার আগে আমাকে চিন্তা করতে হয়। কারণ ওয়াসির-পাগল এই বাবাটা যে আমাকে কিছুই নিষেধ করেন না!
বাবার সাথে আমি থাকতে না পারার কারণে বাবা প্রায়দিনই আমাকে ফোন করেন, কোনো কোনো দিন বারংবার ফোন করেন এবং বলেন তোমাকে খুব মিস করছি, তোমাকে দেখতে-ধরতে ইচ্ছে করছে। আমার কাছাকাছি যখন কেউ থাকে না, তখন বাবা আমাকে শুধু বলতে থাকেন তোমার মন কি চায়, বলো। তোমার যা কিছু ইচ্ছা করে সবই বাবাকে সাথে সাথে বলবে। একটু বড় হয়ে আমি এখন বুঝতে পারছি যে বাবা আমাকে সব সময়েই যেন পুরো পৃথিবীটাই দিয়ে দিতে চান। তাহলে বলুনতো, বাবার চেয়ে কাকে আমি বেশি ভালোবাসতে পারি! আর আমি আরও বড় হলে বুঝার চেষ্টা করবো, সব বাবারাই কি এরকম? নাকি কেবল আমার বাবাই...। ওয়াসিরই যেন তার পৃথিবী এবং ওয়াসির’র প্রতি তার কাজ ও দায়িত্ব যেন সবকিছুর আগে। আমার স্কুল-বন্ধুরা লা মেরিডিয়ান হোটেলে বার বার থাকাতো দূরের কথা, তারা অনেকেই এ হোটেলটা চেনেই না। অথচ আমি এভাবেই লা মেরিডিয়ানে বাবার সাথে দু’বার থেকেছি এবং গিয়েছি কিন্তু বহুবার। এমনকি সুদূর হবিগঞ্জের পুটিজুড়িতে সেই সুবিশাল দি প্যালেস লাক্সারি রিসোর্টেও বাবা একা শুধু আমাকেই দু’বার নিয়ে গিয়েছিলেন এবং তা করেছেন তার সব কাজ ফেলে শুধু আমাকে আনন্দ দেবার জন্য। আর আমিও বাবাকে কত যে বিরক্ত করেছি, ফিরে আসতে চাই না বলে বলে সারাক্ষণ কেঁদেছি; চিৎকার করেছি আবারও থাকার জন্যে, ফিরে যাবার জন্যে। এখন বুঝতে পারছি বাবার ধৈর্য্যই আমার সব বাড়তি আনন্দের এবং বড় বেশি এনজয়ের বিষয়। তাই আমি ভাবছি আরো কিছুদিন যাক, তারপর আমাকে লা মেরিডিয়ানে অন্তত ৩ দিন থাকতে নিয়ে যাবার জন্য বাবাকে আবারও বলবো।


বিশ্ববিদ্যালয় কম্পাস পত্রিকার সংখ্যা সমূহ

আরো সংবাদ

শিশু ক্যাম্পাস

বিশেষ সংখ্যা

img img img