করোনার কারণে সৃষ্ট শিখত ঘাটতি পূরণে আগামী আগস্ট মাস থেকেই কাজ শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
২৫ জুলাই রাজধানীর একটি হোটেলে মালালা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এডুকেশন চ্যাম্পিয়ন নেটওয়ার্ক, বাংলাদেশের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, করোনার কারণে আমাদের শিখন ঘাটতি হয়েছে। তবে কোথায় ঘাটতি হয়েছে, কী করতে হবে, তা নিয়ে এরই মধ্যে গবেষণা করেছে আমাদের পরীক্ষা উন্নয়ন ইউনিট। গবেষক ও শিক্ষাক্রমের সঙ্গে যারা যুক্ত তারা কর্মশালা করেছেন, পূর্ণাঙ্গ পরিকল্পনা হয়েছে। শিখন ঘাটতি পূরণে আমরা দ্রুত কাজ শুরু করবো। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে বৈঠক হবে। সেখান থেকে তারিখ চূড়ান্ত হবে। তবে সেটা আগামী মাস থেকেই শুরু হবে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতা নেয়ার আগে ২০০৯ সালে কারিগরিতে এনরোলমেন্ট ছিল ১ শতাংশ। ক্ষমতায় আসার পর ২০২০ সালের মধ্যে ২০ শতাংশ নিশ্চিত করার টার্গেট নেয়া হয়েছিল। তখন অনেকেই বলেছিল, এটা সম্ভব হবে না। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে এনরোলমেন্ট হয়েছে ১৭ শতাংশের বেশি।
ডা. দীপু মনি আরও বলেন, নতুন কারিকুলামে আমরা কারিগরি শিক্ষায় জোর দিচ্ছি। কিন্তু এখানে একটা সমস্যা হলো, শিক্ষক সংকট। যারা কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত হচ্ছেন, তারা শিক্ষকতার চেয়ে এই দক্ষতা দিয়ে চাকরি করছেন। কারণ, তার এই শিক্ষায় শিক্ষকতার চেয়ে অন্য পেশায় আয় বেশি। এজন্য আমরা প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন আনতে চাচ্ছি, যার মাধ্যমে শিক্ষক শিক্ষার্থীর কাছে নয়, শিক্ষার্থী শিক্ষকের কাছে যাবেন।