সবার জন্য মানসম্মত শিক্ষা এখনও নিশ্চিত করতে পারেননি বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ ফিজিক্স অলিম্পিয়াড-’১৭ উদ্বোধনকালে শিক্ষামন্ত্রী এ অভিমত ব্যক্ত করেন। একই সঙ্গে তিনি বলেন, শিক্ষার মান বাড়াতে পাঠ্যপুস্তক সহজ করতে হবে, পরীক্ষা পদ্ধতি সহজ ও আকর্ষণীয় করতে হবে এবং বইয়ের বোঝা কমাতে হবে।
বাংলাদেশ ফিজিক্স অলিম্পিয়াডের সভাপতি অধ্যাপক ড. খোরশেদ আহমেদ কবিরের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, বাংলাদেশ ফিজিক্স অলিম্পিয়াড কমিটির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান শিক্ষাবিদ মুহাম্মদ জাফর ইকবাল, কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন, ডাচ-বাংলা ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল কাশেম মোঃ শিরিন, ঢাবি পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ও অলিম্পিয়াড কমিটির আহবায়ক অধ্যাপক ড. আব্দুস সাত্তার এবং কমিটির সভাপতি ড.খোরশেদ আহমেদ কবির। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর শুরু হয় বিজ্ঞান মেলা। শিক্ষামন্ত্রী দু’দিনব্যাপী বাংলাদেশ ফিজিক্স অলিম্পিয়াড-২০১৭’র উদ্বোধন করে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন উদ্ভাবনী নিয়ে আয়োজিত টেক ফেয়ার ঘুরে দেখেন। মেলায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে সাতটি দল অংশ নেয়।
অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘ ঘোষিত শিশুদের স্কুলে নিয়ে আসা এবং মেয়েদের সমতা অর্জন করা আমাদের বিরাট অর্জন। জাতিসংঘের লক্ষ্যের সঙ্গে আরেকটি ছিল মানসম্মত শিক্ষা দিতে হবে। আমরা সবার জন্য সেই মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে পারিনি। তার জন্য অবশ্যই সময় প্রয়োজন। আমরা আমাদের দেশে সব শিশুকে স্কুলে নিয়ে আসছি, আগে অর্ধেক শিশুও স্কুলে আসত না। জাতিসংঘ ঘোষিত এমডিজি অনুযায়ী আমাদের দু’টি চ্যালেঞ্জ ছিল। প্রথমটি হচ্ছে ’১৫ সালের মধ্যে সব শিশুকে স্কুলে নিয়ে আসতে হবে। আরেকটি হচ্ছে প্রাথমিক পর্যায়ে মেয়েছেলের মধ্যে সমতা অর্জন ও মানসম্মত শিক্ষা দেয়া। আমরা প্রায় সবাইকে স্কুলে নাম লেখাতে পেরেছি। কিন্তু সকলে স্কুলে আসে না। সেটা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি। ২০১২ থেকে ’১৫ সালের মধ্যে আমরা সমতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। প্রাথমিক স্তরে মেয়ে এখন শতকরা ৫১, ছেলে ৪৯। মাধ্যমিক স্তরে ৫৩ মেয়ে আর ৪৭ ছেলে। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শতকরা ৪৫ মেয়ে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হচ্ছে।
গবেষণার কথা উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে আমরা গবেষণার ওপর জোর দিচ্ছি। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গবেষণা আরও বাড়াতে হবে। গবেষণার মাধ্যমে নতুন জ্ঞান সৃষ্টি করতে হবে। আমরা এখন অন্যদেশ থেকে জ্ঞান ও প্রযুক্তি আমদানি করি। জ্ঞান, প্রযুক্তি ও দক্ষতা রফতানি করার যোগ্যতা আমাদের অর্জন করতে হবে। আমাদের নতুন প্রজন্ম অনেক মেধাবী।