সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনের এলামনাই ফ্লোরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ৬ এমেরিটাস অধ্যাপককে সম্মাননা দেওয়া হয়। সংগঠনের ৬৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। সম্মাননাপ্রাপ্তরা হলেন- শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটউটের ড. সুলতানা সারওয়ারাতারা জামান, দর্শন বিভাগের ড. আব্দুল মতিন, ইংরেজি বিভাগের ড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, বাংলা বিভাগের ড. আনিসুজ্জামান, উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের ড. নাজমা চৌধুরী ও ক্লিনিকাল ফার্মেসি বিভাগের ড. আবুল কালাম আজাদ চৌধুরী এবং ঢাবি এলামনাই এসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বিচারপতি মোহাম্মাদ ইব্রাহীম (মরণোত্তর)। প্রত্যেককে স্বর্ণপদক ছাড়াও একটি ক্রেস্ট এবং উত্তরীয় পরিয়ে সম্মাননা জানানো হয়। এসোসিয়েশনের সভাপতি এ কে আজাদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সংগঠনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আখতারুজ্জামানন। অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন মহাসচিব রঞ্জন কর্মকার। ছাত্রাবস্থায় কারাগারের দিন নিয়ে বই লিখবেন অর্থমন্ত্রী সময় ও সুযোগ পেলে ছাত্র অবস্থায় কারাগারে অবস্থানের দিনগুলো নিয়ে বই লেখার কথা জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধরী সিনেট ভবনে আয়োজিত এক সম্মাননা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান। অর্থমন্ত্রী এমএ মুহিত বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের পড়াশুনার পাশাপাশি রাজনীতি শেখায়। বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের পেছনে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বড় ভূমিকা রয়েছে। আমার বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের স্মৃতি খুবই মধুর। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে আমি দুইবার জেলে গেছি। একবার কয়েক ঘণ্টার জন্য অন্যবার বেশি দিন ছিলাম। যখন হল ইউনিটের সভাপতি ছিলাম তখন ৪২ দিনের জন্য জেলে ছিলাম। আর এর জন্য দায়ী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও সচেতনমূলক কর্মকা-ে অংশগ্রহণ। সুযোগ পেলে এ ঘটনা নিয়ে বই লিখবো। অর্থমন্ত্রী এমএ মুহিত বলেন, জ্ঞানের ক্ষেত্রে তাদের (সম্মাননাপ্রাপ্ত) যে অবদান, সেটার স্বীকৃতি এ সম্মননার মাধ্যমে দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে এলামনাইদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। আশা করি ভবিষ্যতেও এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে। অনুষ্ঠানে অনুভূতি ব্যক্ত করে অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান বলেন, আমাকে সম্মানিত করার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। পাশাপাশি এলামনাই এসোসিয়েশনের সাফল্য কামনা করছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে শিক্ষাদানকারী আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে। আর বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ হচ্ছে জ্ঞান সৃষ্টি করা। সবাইকে এই বিষয়টির প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবে। অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় জ্ঞানের প্রতিষ্ঠান আবার সামাজিক প্রতিষ্ঠানও। আর একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য সামাজিক ভূমিকাও গুরুত্বপূর্ণ।