দেশের শিক্ষাখাতের উন্নয়নে বেসরকারি বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
৩১ মে রাজধানীর এলজিইডি ভবনের অডিটোরিয়ামে শিক্ষার অধিকার বিষয়ে জাতীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী এ আহ্বান জানান। সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ২০১৪ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ভারতের বিশিষ্ট শিক্ষা উদ্যোক্তা কৈলাস সত্যার্থী, পল্লী কর্মী সহায়ক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. কাজী খলিকুজ্জামান আহমদ, ক্যাম্পেইন ফর পপুলার এডুকেশনের সমন্বয়ক ও নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শুধু সরকারি অর্খে শিক্ষার সমস্ত ব্যয়ভার বহন সম্ভব নয়। এটি শুধু আমাদের মতো দেশের নয়, উন্নত দেশের জন্যও প্রযোজ্য। তাই বেসরকারি খাতেও শিক্ষার পেছনে বিনিয়োগ প্রয়োজন।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষাখাতে যখনই বেসরকারি বিনিয়োগ আসে, তখন তারা এটাকে লাভের জায়গা হিসেবে ধরে নেন। এই মনোভাব বাদ দিতে হবে। দেশ ও জনগণের কল্যাণে অবদান রাখার অংশ হিসেবে শিক্ষাখাতে বিনিয়োগ করতে হবে। তাহলেই আমরা আমাদের কাঙ্খিত লক্ষ্য অর্জনে সক্ষম হবো।
তিনি বলেন, ৬ বছর আগে যখন দায়িত্ব নিয়েছিলাম, তখন শতকরা ৯ জন শিশু স্কুলের বারান্দায় উঠতো না। ৪৮ ভাগ ৫ম শ্রেণির আগেই ঝরে পড়তো। ৯ম শ্রেণিতে ওঠার আগে স্কুলে আসা বন্ধ হত শতকরা ৮২ জন শিক্ষার্থীর। এখন শতকরা ৯০ জনের নামই স্কুলে লেখাতে সক্ষম হয়েছি আমরা।
৫ম এবং ৮ম শ্রেণির পাবলিক পরীক্ষা বাতিলের দাবি সম্পর্কে তিনি বলেন, এটা হচ্ছে অস্থায়ী অবস্থা। কিন্তু ছেলেমেয়েদের স্কুলে আকৃষ্ট করার জন্যই এ ব্যবস্থা নেয়া হয়। এছাড়া প্রাথমিকে শিক্ষার্থীদের মধ্যে জেন্ডার বিষয়ে সচেতনতা আনতে পেরেছি। আগামী ৩ থেকে ৫ বছরের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা পর্যায়েও এই সমতা অর্জন করতে সক্ষম হবো।
ভারতের বিশিষ্ট শিক্ষা উদ্যোক্তা কৈলাস সত্যার্থী বলেন, সকলের জন্য সমান শিক্ষার অধিকার প্রয়োজন। পাশাপাশি শিক্ষার গুণগত মানও নিশ্চিত করতে হবে। শিক্ষা ক্ষেত্রে বিনিয়োগ, অসমতা প্রভৃতি এখনও বড় চ্যালেঞ্জ।