রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ জঙ্গিবাদী, মৌলবাদী ও স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি ছাত্রছাত্রীদের ব্যবহার করে সমাজে যাতে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে না পারে, সে ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, শিক্ষক ও অভিভাবকদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। ২৯ জুলাই রাজধানীতে সিটি ইউনিভার্সিটির দ্বিতীয় সমাবর্তনের ভাষণে রাষ্ট্রপতি বলেন, দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, কিছু শিক্ষিত যুবক জঙ্গিবাদী, মৌলবাদী ও স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি দ্বারা ব্যবহৃত হচ্ছে। এসব অপশক্তির কারণে জনগণের মধ্যে উচ্চশিক্ষা সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা সৃষ্টি হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের প্রতি তিনি জনগণের কল্যাণে কাজ করার আহ্বান জানান।
সমাবর্তনে অন্যদের মধ্যে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান, সিটি ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টির চেয়ারম্যান মকবুল হোসেন ও উপাচার্য এনআরএম বোরহান উদ্দিনও বক্তব্য রাখেন। সমাবর্তন বক্তব্য প্রদান করেন প্রফেসর ইমেরিটাস ড. এ কে আজাদ চৌধুরী।
আবদুল হামিদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে শিক্ষা ও গবেষণার শ্রেষ্ঠ স্থান। এখানে শিক্ষা, অবিরাম জ্ঞান চর্চা, মুক্ত চিন্তা ও বিভিন্ন বিষয়ের ওপর গবেষণা হয়ে থাকে। এতে চিন্তা ও জ্ঞানের জগৎ সম্প্রসারণ হয়।
নতুন স্নাতকদের অভিনন্দন জানিয়ে রাষ্ট্রপতি দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করার জন্য তাদের প্রতি আহ্বান জানান।
আবদুল হামিদ বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের মূল লক্ষ্যই ছিল একটি সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলা। দেশ সে লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে। শিক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন, পয়ঃনিষ্কাশন, কৃষি, আইসিটি এবং মাথাপিছু গড় আয় বৃদ্ধির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অসামান্য সাফল্য অর্জন করেছে।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। তিনি সরকারের এ পরিকল্পনা সফল করতে দল-মত নির্বিশেষে যার যার অবস্থান থেকে ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।