বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেছেন, শুধু বড় অবকাঠামো ও ডিগ্রি দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় হয় না। জ্ঞান সৃষ্টি, জমা ও বিতরণ- এ তিনটি শর্ত পূরণ করতে পারলেই কেবল একটি প্রতিষ্ঠানকে বিশ্ববিদ্যালয় বলা চলে।
সম্প্রতি বেসরকারি নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (এনএসইউ) স্প্রিং সিমেস্টারে ভর্তি হওয়া (স্নাতক) শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বসুন্ধরার নিজস্ব ক্যাম্পাসে বিবিএ, ইটিই, ইইই, স্থাপত্য, অর্থনীতি, ইংরেজি, আইন, ফার্মেসি, কম্পিউটার সায়েন্স, পরিবেশ বিজ্ঞান, মাইক্রোবায়োলজি, বায়োটেকনোলজি, বায়োকেমিস্ট্রি ও কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দেড় সহস্রাধিক নতুন শিক্ষার্থীকে বরণ করে নেয়া হয়।
অধ্যাপক মান্নান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠিয়েই বাবা-মার দায়িত্ব শেষ নয়। দায়িত্বশীল অভিভাবক হিসেবে সন্তানের সার্বক্ষণিক খোঁজ নেওয়া অভিভাবকদের দায়িত্ব। সন্তানের সঙ্গে পর্যাপ্ত সময়ও ব্যয় করতে হবে। তা না হলে সমাজে আরও অনেক ‘ঐশী’র সৃষ্টি হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. গৌর গোবিন্দ গোস্বামীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন এনএসইউ ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ও এফবিসিসিআই’র সাবেক সভাপতি এম এ কাসেম। সম্মানিত অতিথি ছিলেন এনএসইউ ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য এম এ হাসেম এবং রেহানা রহমান। আরও বক্তব্য রাখেন স্কুল অব হিউম্যানিটিস অ্যান্ড সোস্যাল সায়েন্সের ডিন প্রফেসর ড. সেলিম সারোয়ার, স্কুল অব হেলথ অ্যান্ড লাইফ সায়েন্সের ডিন প্রফেসর ড. জি ইউ আহসান, স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ফিজিক্যাল সায়েন্সের ডিন প্রফেসর ড. মোঃ সিরাজুল ইসলাম, স্কুল অব বিজনেস অ্যান্ড ইকোনমিক্সের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মাহবুব রাহমান প্রমুখ। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মোঃ শাহজাহান। বারো বছর স্কুল এবং কলেজে শিক্ষা সাধনার পর বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে উচ্চশিক্ষার নতুন অধ্যায়ে পদার্পণের এ দিনটি ছিল শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ বুনিয়াদের প্রথম দিন।
অনুষ্ঠানে ভর্তি পরীক্ষায় মেধাবী স্থান পাওয়া শিক্ষার্থীদের পুরস্কৃত করা হয়। এ সময় সিনিয়র শিক্ষক, বিভাগীয় প্রধান, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।